রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

নিবন্ধ

চিঠিপত্র : প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা বাতিল ও কোচিং বাণিজ্য নিষিদ্ধ হোক

প্রকাশের সময় : ২ এপ্রিল, ২০১৬, ১২:০০ এএম

পত্রিকায় পড়লাম, সরকার বর্তমান বছরের মে মাস থেকে প্রাথমিক শিক্ষার মেয়াদ বৃদ্ধির কাজ শুরু করবে। ২০০৯ সালের প্রবর্তিত হয়েছিল পঞ্চম শ্রেণির প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা। এতে বিগত ৭ বছরে কাক্সিক্ষত সুফল পাওয়া যায়নি। ফলে ২০১৮ সাল থেকে এ পরীক্ষা বন্ধের নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আমরা মনে করি, যে পরীক্ষা শিক্ষার্থীদের তেমন কোনো কল্যাণ বয়ে আনছে না, সে পরীক্ষা অপ্রয়োজনীয় ও মূল্যহীন। পরীক্ষার নামে শিশুরা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ছে। এতে করে তাদের মূল্যবান ও আনন্দময় সময় নষ্ট হচ্ছে।
অন্যদিকে কোচিং বাণিজ্য মহামারী আকার ধারণ করেছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে চালু হয়েছে বাধ্যতামূলক কোচিং বাণিজ্য। তাই আইন করে কোচিং বাণিজ্য ও শিক্ষা বাণিজ্য নিষিদ্ধ করার জন্য বিশেষ আবেদন জানাচ্ছি। এমনিতেই শিক্ষকদের বেতন সিংহভাগ দেওয়া হয় সরকারি তহবিল থেকে। সেহেতু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অনিয়ম ও কোচিং বাণিজ্য রোধে সরকার কঠোর হবে বলে আশা করি।
সৈয়দ সাইফুল করিম
মিরপুর ১, ঢাকা-১২১৬

ওয়াসার পানি
আমরা ঢাকা ওয়াসার নারায়ণগঞ্জ অঞ্চলের ২০ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। ওয়াসা আমাদেরকে শীতলক্ষ্যা নদী থেকে পচা, কালো, উৎকট গন্ধযুক্ত পানি পাম্পের সাহায্যে শোধনাগারে এনে নানা উপায়ে বিশুদ্ধ (!) করে সরবরাহ করছে। পানির রং কিছুটা পরিবর্তন হলেও উৎকট দুর্গন্ধ দূর হয় না। এই পানি দিয়ে অজু করা যায় না, গোসল করা যায় না, রান্না বা খাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। হালকা কালো রঙের পানি কী কাজে লাগবে? খাওয়ার পানি সরবরাহ করতে পারে না, এটা ওয়াসার ব্যর্থতা। কতদিন এভাবে চলবে? খাবার পানি নাই, রান্নার পানি নাইÑ জনগণের এহেন দুর্ভোগ নিরসন করবে কে? দুর্ভাগা ২০ নম্বর ওয়ার্ডবাসী। আশপাশের মহল্লায় গভীর নলকূপের স্বচ্ছ পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। কিন্তু ২০ নম্বর ওয়ার্ডেই গভীর নলকূপের পানির পরিবর্তে সরবরাহ করা হচ্ছে দুর্গন্ধময় পচা পানি।
অতি সম্প্রতি সোনাকান্দা পানি শোধনাগারটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করেন। এই শোধনাগার থেকে পুঁতিগন্ধময় পানি সরবরাহ করা হচ্ছে? ওয়াসাকে বলছি, মানুষের পানি খাওয়ানোর দায়িত্ব নিয়ে এমন প্রহসন করা হচ্ছে কেন? মাসিক পানির বিল ঠিকই আসছে। কিন্তু স্বচ্ছ পানি সরবরাহের কোনো উদ্যোগ নেই। এ ব্যাপারে সদাশয় সরকারের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
কাজী নজরুল ইসলাম
ওয়াসা ২৪, বন্দর
নারায়ণগঞ্জ-১৪১৪

গ্যাস ব্যবহারে সচেতন হোন
সম্প্রতি গ্যাসের চুলার বিস্ফোরণে একটি পরিবারের কয়েকজনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। প্রায়ই এমন ঘটনা ঘটছে। কেন এমন ঘটনা ঘটছে? কারণ অনুসন্ধান এবং ব্যবস্থা গ্রহণ কোনোটাই ঠিকমতো হচ্ছে না। সচেতনতার অভাবের পাশাপাশি বাড়িওয়ালাদের দায়িত্বজ্ঞানহীনতা, গ্যাসের লাইনে লিকেজ, গ্যাসের লাইন এবং চুলার সংযোগে লিক, রান্নার পরে সঠিকভাবে গ্যাসের চুলা বন্ধ না করা, চুলার নবগুলো সঠিকভাবে কাজ না করা এগুলো হলো দুর্ঘটনার প্রধানতম কারণ। একটি ম্যাচের কাঠি বাঁচাতে চুলা জ্বালিয়ে রাখা হচ্ছে।
ঘুমানোর আগে দেখা দরকার চুলা বন্ধ হয়েছে কিনা? মাঝে মাঝে বাড়িওয়ালাদের উচিত গ্যাসের লাইন চেক করা। গ্যাসের গন্ধ আছে। কোনো রকম গন্ধ টের পেলেই সঙ্গে সঙ্গে তার কারণ অনুসন্ধান করতে হবে। সামান্যতম সময় দেরি করা যাবে না। আমাদের অসচেতনতা যেন আমাদের মৃত্যুর কারণ না হয়। গ্যাস ব্যবহারে মিতব্যয়িতা, সচেতনতা আমাদের জন্যই মঙ্গলজনক।
মুহাম্মদ শফিকুর রহমান
মিরপুর ১২
ঢাকা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন