বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইসলামী জীবন

ইসলামী কর্মতৎপরতা

প্রকাশের সময় : ৩ এপ্রিল, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ছাত্র ও শ্রমিক সমাবেশ
আমিরুল মুজাহিদীন হযরত মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম (পীর সাহেব চরমোনাই) বলেছেন, সমাজ ও মানবতা যখন পাপাচার ও গোনাহের অন্ধকারে ডুবে যায় তখনই যুগে যুগে নবী-রাসূলদের পাঠিয়ে আল্লাহ মানুষদের হেদায়াত ও আলোর পথ দেখিয়েছেন। শেষ যুগে মহানবী বিশ্বনবী আকায়ে নামদার হযরত মুহাম্মদ মুস্তাফা (সা.)-এর আর কোনো নবী আগমন করবেন না। আজকে মহানবী (সা.)-এর অবর্তমানে তাঁর পবিত্র দায়িত্ব ও উত্তরসূরির ভূমিকা রাখছেন হক্কানি পীর-মাশায়েখ ও ওলামায়ে কেরাম। সোনার ও বিশুদ্ধচারী মানুষ হিসেবে তৈরি হতে হলে হক্কানি পীর-মাশায়েখ ও ওলামায়ের কেরামের সান্নিধ্য লাভ করে মহান আল্লাহ তায়ালার প্রকৃত সন্ধান এবং রাসূলের জীবনাদর্শের অনুসরণ করতে হবে। সম্প্রতি চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ জাম্মুরি মাঠে তিন দিনব্যাপী বার্ষিক ওয়াজ মাহফিল ও হালকায়ে জিকিরের উদ্বোধনী বয়ানে আমীরুর মুজাহিদীন হযরত মাওলানা সাইয়েদ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই উপরোক্ত কথা বলেন।
পীর সাহেব চরমোনাই আরও বলেন, ইসলাম একটি পরিপূর্ণ ও মানুষের স্বভাববান্ধব জীবনব্যবস্থা। ইসলামে ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্রসহ বিশ্বমানবতার চারিত্রিক, অবকাঠামো ও প্রাযুক্তিক উন্নয়নের দিকনির্দেশনা রয়েছে। ইসলাম রাষ্ট্রীয় আদর্শ হিসেবেও ন্যায়-ইনসাফ ও ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষের স্বাধীনতা, নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করে। সমাজে ইসলামী জীবনাদর্শের বাস্তব অনুসরণ করা হলে সমাজ থেকে সকল পাপাচার, অন্যায়, অসত্য, দুর্নীতি দূর হয়ে একটি পরিশুদ্ধ মানবদরদি ও কল্যাণকর রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হবে।
ইসলামী আন্দোলন ঢাকা
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর সেক্রেটারি মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম বলেছেন, প্রচলিত শাসন ব্যবস্থা মজলুম মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে ব্যর্থ হয়েছে। মজলুম মানুষের আর্তনাদে আকাশ-বাতাশ ভারি হয়ে উঠছে। এ থেকে মুক্তি পেতে হলে ইসলামের ছায়াতলে ফিরে আসতে হবে। যেখানে শাসক মানে জনগণের খাদেম।
সম্প্রতি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগরীর কদমতলী থানা শাখার মেরাজনগর ৯নং ওয়ার্ডের কমিটি গঠন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। আলহাজ ইমাম হোসেন পাটোয়ারীর সভাপতিত্বে এবং মুহা. নাছির উদ্দিনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কদমতলী থানা সভাপতি মাওলানা শাহজাহান নেজামী, সেক্রেটারি মাওলানা ক্বারী বাছির উদ্দিন মাহমুদ, শ্রমিক নেতা মুহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক।
আলোচনা সভা শেষে মাওলানা মোঃ মনির হোসাইনকে সভাপতি, মুহা. আবদুল জলিলকে সহ-সভাপতি, মুহাম্মদ নাছির উদ্দিনকে সেক্রেটারি ও মুহা. নজীল আহমদকে জয়েন্ট সেক্রেটারি করে ১৭ সদস্যবিশিষ্ট ৯নং ওয়ার্ড কমিটি পুনর্গঠন করা হয়।
মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম আরও বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর নানাভাবে ইসলামকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। এখন মসজিদের খতিব ও খুৎবাহ নিয়ন্ত্রণের কাজে হাত দিচ্ছে। এটা করলে ইসলামী জনতাকে সেন্টিমেন্টাল করে তুলবে। ফলে দেশে ভয়াবহ অবস্থা বিরাজ করবে। কাজেই ইফা ডিজির লাগাম টেনে না ধরলে ইসলামকে সর্বনাশ করে ফেলবে। অবিলম্বে ইফা ডিজির অপসারণ করে ইসলামী জনতার ক্ষোভ প্রশমিত করতে হবে।
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনা
মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত একমাত্র ইসলামী ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনার ৩ যুগ পূর্তি উপলক্ষে ঢাকা ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিশাল ছাত্র সমাবেশ ও লাখো কণ্ঠে ইয়া নবী সালাম আলাইকা পাঠ করা হয়। সম্প্রতি ছাত্রসেনার ৩৬ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সমাবেশ সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মদ নুরুল হক চিশতি সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট চেয়ারম্যান আল্লামা এম এ মান্নান। প্রধান বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট মহাসচিব আল্লামা এম এ মতিন। ছাত্র সমাবেশে প্রধান অতিথি আল্লামা এম এ মান্নান শিক্ষকদের চলমান আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানিয়ে বলেন, শিক্ষকদের অমর্যাদা করে মর্যাদাশীল জাতি প্রতিষ্ঠা করা যাবে না। দেশে আজ গণতন্ত্র, বাক ও ব্যক্তি স্বাধীনতা বলতে কিছুই নেই। রাজনৈতিক দলগুলো ও শাসকগোষ্ঠী নিজেদের দলীয় ও গোষ্ঠী স্বার্থে রাজনীতি করায় দেশবাসীর স্বার্থ উপেক্ষিত হচ্ছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন