শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সম্পাদকীয়

সংসদীয় গণতন্ত্রে শক্তিশালী বিরোধী দল কেন প্রয়োজন

ড. আব্দুল হাই তালুকদার | প্রকাশের সময় : ৩১ মার্চ, ২০১৮, ১২:০০ এএম

সংসদীয় গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে বিরোধীদল অপরিহার্য। বিরোধী দল ছাড়া গণতন্ত্র বিকশিত ও কার্যকর হয় না। জনগণের আশা-আকাক্সক্ষা, চাওয়া-পাওয়া ও প্রয়োজন-প্রত্যাশা সংসদে তুলে ধরা ও সরকারের কাজের ত্রুটি-বিচ্যুতি তুলে ধরার জন্য বিরোধীদল আবশ্যক। জনমত ও জনপ্রত্যাশা উপেক্ষা করে সরকার নিজের ইচ্ছামত পরিকল্পনা নিয়ে অগ্রসর হলে তার প্রতিবাদ করা বিরোধীদলের দায়িত্ব। জনআকাক্সক্ষা পূরণে সরকার উদাসীন হলে বিরোধীদলের সংসদে ঝড় তুলতে পারে। সরকারের দুর্নীতি, দুঃশাসন ও অব্যবস্থাপনা সংসদে তুলে ধরে জনগণকে সচেতন ও প্রতিবাদী করে তুলতে পারে বিরোধীদল। এ কারণে বিরোধীদলকে সরকারের অঙ্গ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। শক্তিশালী বিরোধী দল না থাকলে সরকার স্বেচ্ছাচারী ও স্বৈরাচারী আচরণ করতে পারে। দেশের সাথে জনগণের সমস্যা-সংকট নিয়ে সংসদে প্রাণবন্ত আলোচনা হতে পারে। শক্তিশালী বিরোধীদল গণতন্ত্রের সৌন্দর্য। বিরোধীদল দুর্বল হলে সরকার তার সুবিধামত আইন পাশ করে জনগণকে চাপের মধ্যে রাখতে পারে। শক্তিশালী বিরোধীদল সরকারের গঠনমূলক সমালোচনার সাথে সঠিক পথ নির্দেশ করতে পারে। সরকার চাপে পড়ে জবাবদিহিতা ও দায়বদ্ধতার মধ্যে থেকে কাজ করতে বাধ্য হতে পারে। একনায়কতান্ত্রিক বা ফ্যাসিবাদী সরকার বিরোধীদল সহ্য করতে পারে না। ছলে বলে কৌশলে বিরোধীদল দমন ও নিষ্পেষণে ব্যস্ত থাকে। বিরোধীদল না থাকলে ফ্যাসিবাদী বা কর্তৃত্ববাদী সরকার খুব খুশি হয়। মুখে গণতন্ত্রের ফুলঝুরি ছুটালেও কাজে অগণতান্ত্রিক আচরণ করে। নানারকম মিথ্যা, বানোয়াট অভিযোগ এনে মামলা-হামলা করে বিরোধীদলের প্রতিবাদ-বিক্ষোভের মতো গণতান্ত্রিক শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা দিতে থাকে। প্রতিবাদ বা গণতান্ত্রিক কর্মসূচি নানা ছুতোয় পন্ড করে। সরকার নানারকম কূটবুদ্ধি ও কূটচালে বিরোধীদলকে দমন করে রাখে। অঘোষিত সেন্সরশিপ আরোপ করে কর্তৃত্ববাদী সরকার বিরোধীদলের রাজনৈতিক কর্মকান্ডের স্পেস সংকুচিত করে। কারও কথায় কান না দিয়ে নিজেদের সুবিধামত ও ইচ্ছামত কাজ করতে থাকে। কোনরকম ভালো পরামর্শেও কান দিতে চায় না। দেশ ও জনগণের কল্যাণে সিভিল সমাজ কোন পরামর্শ দিলে বা কোন শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করলে সরকার সহ্য করতে পারে না। কোন প্রতিবাদ বা আন্দোলন হলে গায়ের জোরে, লাঠির জোরে, আন্দোলন নস্যাত করে দেয়।
কর্তৃত্ববাদী সরকার একগুয়েমীভাবে নিজের ভবিষ্যতের দিকে দৃষ্টি দিয়ে কাজ করে। কাজের চেয়ে কথার উপর জোর দেয় ও জনগণকে রঙিন স্বপ্নে মাতিয়ে রাখে। মিডিয়াকে নিয়ন্ত্রণে রেখে সরকারের গুণগানে ব্যস্ত রাখতে চায়। প্রিন্ট মিডিয়া ও ইলেক্ট্রোনিক মিডিয়া নিয়ন্ত্রণে নেবার পর প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে দলীয়করণ শুরু করে। উৎকট দলীয়করণে প্রশাসন যন্ত্র ক্যাডার বাহিনীর মতো কাজ করে। প্রশাসন ও জনগণ মুখোমুখি দাঁড়ায়। জনগণের ট্যাক্সের টাকায় বেতন-ভাতা নিয়ে জনতার সেবক না হয়ে প্রভ‚ সেজে বসে। ঘুষ, দুর্নীতিতে দেশ ছেয়ে যায়। পা থেকে মাথা পর্যন্ত দুর্নীতির প্রকোপে দেশ থেকে আইনের শাসন উধাও হয়ে যায়। শত অপরাধ করলেও দলীয় নেতা-কর্মীরা প্রশাসনের আনুকূল্য সহজ হওয়ায় অপরাধীরা দ্বিগুণ উৎসাহে অকাম, কুকাম-দুর্নীতি প্রভৃতি অনৈতিক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ে। আর সরকার প্রশাসননির্ভর হওয়ায় তার উপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ শিথিল হয়ে পড়ে। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার অভাবে মানুষ আইনের শাসন থেকে বঞ্চিত হতে থাকে। ‘জোর যার মুল্লুক তার’ নীতি সমাজে চালু হয়। কর্তৃত্ববাদী সরকার ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করার লক্ষ্যে নানারকম ফন্দি-ফিকির খুঁজে নির্বাচনী নাটক করে আবার ক্ষমতায় ফিরে আসতে চায়। কর্তৃত্ববাদী শাসকরা যুগ যুগ ধরে ক্ষমতায় থাকতে চায়। তারা বিভিন্ন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান, প্রশাসন, মিডিয়া প্রভৃতি নিয়ন্ত্রণে নেবার পর বিচার বিভাগে হাত দেয়। বিচার বিভাগ নিয়ন্ত্রণে নেয়ার ফলে জনগণ প্রতিকার পাবার শেষ আশ্রয়স্থল হারায়। জনগণ ভোটাধিকার হারানোর পর চিন্তা ও কর্মের স্বাধীনতাও অনেকখানি হারিয়ে ক্ষমতাবানদের করুণার পাত্রে পরিণত হয়। নিপীড়ন, নির্যাতনসহ বহুমুখী সমস্যা সংকটে পড়ে নিজেদের স্বাধীনতা বিকিয়ে দেয়।
সংসদীয় গণতন্ত্র বাংলাদেশে অকার্যকর। সংসদে শক্তিশালী বিরোধীদলের অভাবে সংসদ নাট্যশালার অপবাদ পেয়েছে। গৃহপালিত বিরোধীদল জনগণের কথা না বলে সরকারের স্তাবকে পরিণত হয়েছে। বিরোধীদল একইসাথে সরকারে ও বিরোধীদলে থাকায় রাজনীতি সচেতন মানুষ ও রাজনীতি বোদ্ধাদের দ্বারা নিন্দিত, ধিকৃত ও সমালোচিত হয়েছে, হচ্ছে। সরকারের মন্ত্রী পরিষদে জাতীয় পার্টির তিনজন মন্ত্রী ও জাতীয় পার্টি প্রধান এইচ এম এরশাদ মন্ত্রীর পদ মর্যাদায় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত হওয়ায় বিরোধী দলের চরিত্র হারিয়েছে। এরূপ ঘটনা সংসদীয় গণতন্ত্রে বেনজির। এ দলের নেতা এইচ এম এরশাদ মাঝে মাঝে হুংকার ছেড়ে সরকার থেকে বেরিয়ে আসার ঘোষণা দিলেও এক অজানা কারণে তা আর হয়ে ওঠে না। সরকারে থাকতে না চাইলেও এরশাদ সাহেবের জাতীয় পার্টি প্রায় সরকারের মেয়াদ পূর্ণ করতে চলল। বিবেকের তাড়নায় ও দেশ বিদেশের রাজনীতি সচেতন মানুষের সমালোচনায় দংশিত হয়ে এরশাদ সাহেব সরকারি মন্ত্রিত্ব বাদ দিয়ে সত্যিকার বিরোধীদলের ভ‚মিকা পালন করতে চাইলেও সাড়ে চার বছরে তিনি তা করতে পারেননি। এ বিষয়ে তাকে অসহায় ও সরকারনির্ভরশীল মনে হয়। সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদের সংসদে দেয়া বক্তব্যে এ বিষয়টি আঁচ অনুমাান করা যায়। তিনি সংসদে সম্প্রতি বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রীকে বলেছিলাম, আমাদের মন্ত্রীগুলোকে উইথড্র করে নেন। আমাদের বিরোধী দলের ভ‚মিকা পালন করতে দিন। কিন্তু আমি জানি না সেটা কেন হয়নি’। তিনি আরও বলেছেন, ‘না হয় আমাদের ৪০ দলকে সরকারে নিন। বিরোধীদল দরকার নাই’। তার বক্তব্য থেকেই বুঝা যায়, কতটা অসহায় ও সরকারনির্ভরশীল জাতীয় পাটির নেতা-নেত্রীরা। সরকারে থাকতে না চাইলে তারা যে কোন সময় পদত্যাগ করে চলে আসতে পারেন। কারও দয়া বা করুণা ভিক্ষা করার আবশ্যকতা আছে কি? রাজনৈতিক দল নিজের স্বকীয়তা বজায় রেখে মর্যাদা নিয়ে রাজনীতি করবে এটিই প্রত্যাশিত। জাতীয় পার্টি নেত্রীর আক্ষেপের সুরে বলা কথাগুলো মানুষের হাসি ও কৌতুকের খোরাক যুগিয়েছে। একই সাথে সরকারে ও বিরোধীদলে থাকায় এ দলের নেতা-নেত্রীরা দেশে বিদেশে নানা প্রশ্নের সম্মুখীন হন। সঠিক জবাব দিতে না পারায় বিব্রতকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়ে উলটা-পাল্টা জবাব দেন। জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করে একত্রে সরকার গঠন বৈধ। কোন কারণে মতদ্বৈততা দেখা দিলে জোটের যে কোন শরীকদল জোট থেকে বেরিয়ে যেতে পারে। একসাথে সরকারে ও বিরোধীদলে থাকায় জাতীয় পার্টির বিশ্বাসযোগ্যতা ও জনপ্রিয়তা দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। সরকারের একদলীয় কর্তৃত্ববাদী শাসনের শরীক হওয়ায় জনগণ জাতীয় পার্টির দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। সরকারের সাথে জাতীয় পার্টির জনপ্রিয়তার পারদ দারুণভাবে নিম্নগামী। মানুষ তার মৌলিক অধিকার হারিয়ে কর্তৃত্ববাদী শাসনের যাঁতাকলে পিষ্ট হওয়ার জন্য জাতীয় পার্টিকেও দায়ী করে। জাতীয় পার্টি সরকারের অংশীদার হওয়ায় সরকারের দুর্নীতি, দুঃশাসন ও অগণতান্ত্রিক কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করতে পারছে না। দেশের সম্পদ লুটপাট ও বিদেশে পাচারের মহোৎসব শুরু হয়েছে। সরকারের দায়বদ্ধতা ও জবাবদিহিতা না থাকায় দুর্নীতি, লুটপাট বন্ধ করতে ফলপ্রসূ কার্যকর উদ্যোগ নিতে ব্যর্থ। ব্যাংকগুলো সব ফোকলা হয়ে পড়েছে। মানুষ ব্যাংকে টাকা রাখতে ভীত, সন্ত্রস্ত ও উদ্বিগ্ন। বিনিয়োগে দারুণভাবে স্থবিরতা ও রেমিটেন্স হ্রাস পাওয়ায় উন্নয়ন অগ্রগতি কেবল মুখের জোরে প্রচার করা হচ্ছে। বাস্তবে উন্নয়ন ঘটছে একটি বিশেষ শ্রেণির। যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক গবেষণা সংস্থা গ্লোবাল ফিনানশিয়াল ইনটিগ্রিটির (জিএফআই) প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এদেশে বিনিয়োগ বা খরচ করতে না পেরে ভুঁয়া এলসি খুলে হলমার্ক গ্রুপ একদিনে সোনালী ব্যাংক থেকে ১৫০০ কোটি টাকা পাচার করেছে। বেসিক ব্যাংক, ফারমার্স ব্যাংক এমনকি কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকেও হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট ও পাচার হয়েছে। গরিব দেশের টাকা পাচার করে ক্ষমতাবানরা বিদেশে সুরম্য অট্টালিকা বানিয়ে ভবিষ্যত আরাম আয়েশের ঝামেলামুক্ত জীবনকে নিঙ্কন্টক করছে।
দেশ আজ সর্বগ্রাসী সমস্যা-সংকটে নিপতিত। সামাজিক অস্থিরতা, আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি, রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, মূল্যবোধের চরম অবক্ষয়, শিক্ষাক্ষেত্রে চরম ধস, প্রভৃতি বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে কুঁরে কুঁরে খাচ্ছে। সরকার সমস্যা সমাধানে মনোযোগ না দিয়ে এমন সব মন্তব্য বিবৃতি দিচ্ছে তাতে অপরাধীরা দ্বিগুণ উৎসাহে অপরাধ সংঘটন করে চলেছে। যখন বলা হয়, ‘যুগ যুগ ধরে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে আসছে। বর্তমান আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির কল্যাণে প্রশ্নপত্র ফাঁস ধরা পড়ছে।’ এসব কথা শুনে হাসব না কাঁদব ভেবে পাই না। জাতির ভবিষ্যত কল্পনা করে শংকিত হতে হয়। সর্বক্ষেত্রে দুর্নীতির রাহুগ্রাস থেকে মুক্তি পেতে মানুষ আহাজারি করছে। দুর্নীতির হাত থেকে জাতি একদিন নিশ্চয় মুক্তি পাবে, তবে মানসম্মত শিক্ষার অভাবে জাতি যে অপূরণীয় ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে, তা থেকে মুক্তি পাবার পথ দেখছি না। শিক্ষামন্ত্রী পাশের হার ১০০% হলে বোধ হয় খুশি হবেন। কিন্তু তিনি তলিয়ে দেখছেন না যারা পাইকারীহারে পাশ করছে তারা কিছু শিখছে কিনা। শোনা যায়, পাতাগুণে নম্বর দেবার অলিখিত আদেশ নাকি পরীক্ষকদের দেয়া আছে। প্রশ্নফাঁসের সাথে পাতা গুণে নম্বর দেয়ায় লেখাপড়ার মান যে কতখানি নিম্নগামী কল্পনা করা যায় না। এসএসসি পাশ করার পর, ‘এসএসসি পাশ করেছি’-এর ইংরেজি অনুবাদ শুনে হতাশ হতে হয়। প্রশ্ন ফাঁস হওয়ায় ছেলেমেয়েরা লেখাপড়ার উৎসাহ হারিয়ে ফেলেছে। কখন প্রশ্ন পাওয়া যাবে এ আশায় তীর্থের কাকের মতো তাকিয়ে থাকে। প্রমাণিত প্রশ্ন ফাঁসের পরেও পরীক্ষা বাতিল করা হচ্ছে না, এটি আরও বেশি উদ্বেগজনক।
শুরুতে বলেছি সংসদীয় গণতন্ত্রে শক্তিশালী বিরোধীদল অপরিহার্য। বাংলাদেশে বিরোধীদল না থাকায় সংসদীয় গণতন্ত্রের চরিত্র হারিয়ে একদলীয় শাসন চলছে। সংসদের বাইরে দেশের সর্ব বৃহৎ রাজনৈতিক দলটি অবস্থান করায় গণতন্ত্রের সৌন্দর্য হারিয়ে গেছে। নামকাওয়াস্তে জাতীয় পার্টি বিরোধী দল হিসেবে টিকে আছে। এতে জনগণের কল্যাণের বদলে সরকারি দলের নেতাকর্মীদের পোয়াবারো। সরকারের সকল অগণতান্ত্রিক, দুর্নীতি, দুঃশাসনের দায়ভার জাতীয় পার্টিকে শেয়ার করতে হবে। মানুষ শক্তিশালী বিরোধীদল চায়। বেগম জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে দেখেছি মানুষের স্বতঃস্ফ‚র্ত অংশগ্রহণ ও তাদের চোখে মুখে তীব্র ক্ষোভ ও ঘৃণা।
বিএনপি থেকে বলা হচ্ছে, বেগম জিয়াকে সাজা দিয়ে তাকে রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার বাইরে রাখার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। কথাটি অনেকখানি সত্য। দুই কোটি টাকা, ৬ জন অভিযুক্ত। অভিযুক্তদের সকলে ধনাঢ্য ব্যক্তি। যাদের অঢেল টাকা, সামান্য টাকার জন্য তারা দুর্নীতি করবে- এটা বিশ্বাসযোগ্য নয়। দুই কোটি টাকা সুদে-আসলে ইতোমধ্যে ছয় কোটি হয়েছে। এ টাকার সাথে বেগম জিয়ার কোন সংশ্লিষ্টতা ছিল না। বৃদ্ধবয়সে তাকে নিয়ে টানা-হেঁচড়া করে তার ইমেজ নষ্ট করা যাবে না। অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করতে বেগম জিয়ার উপস্থিতি বাঞ্চনীয়। একটা ভালো নির্বাচন হলে বাংলাদেশের অনেক সমস্যা কেটে যাবে ও টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত হবে। ভালো নির্বাচনে সত্যিকার শক্তিশালী বিরোধীদল তৈরি হবে ও বাংলাদেশ ইমেজ সংকট থেকে মুক্তি পাবে বলে সকলে প্রত্যাশা করে।
লেখক: প্রফেসর (অব.) দর্শন বিভাগ ও সাবেক ডিন, কলা অনুষদ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (3)
মোঃ ফারুক হোসাইন ১ এপ্রিল, ২০১৮, ১২:২৫ এএম says : 0
ধন্যবাদ আপনা কে। বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে হলে একটি নিবাচিত সরকার প্রয়োজন। ভোটার বিহীন সরকার হলে তৃতীয় পক্ষ সুযোগ নিবে।উদাহরন:মায়ানমার
Total Reply(0)
Washim akram ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১০:২২ এএম says : 0
Answer gula amar vlo lagca...
Total Reply(0)
Washim akram ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১০:২৪ এএম says : 0
Answer gula amar vlo lagca...
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন