রোববার, ১২ মে ২০২৪, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১, ০৩ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

ব্যবসা বাণিজ্য

জলবায়ু পরিবর্তন: ক্ষতি মোকাবেলায় জাতীয় কাঠামো প্রণয়ন দাবি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১ এপ্রিল, ২০১৮, ১২:০০ এএম

জলবায়ু পরিবর্তনজনিত দূর্যোগের ক্ষতি (লস এন্ড ড্যামেজ) মোকাবেলায় একটি জাতীয় কাঠামো প্রণয়নসহ চার দফা দাবি জানানো হয়েছে। গতকাল শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানানো হয়।
উন্নয়ন সংগঠন নেটওয়ার্ক অন ক্লাইমেট চেঞ্জ, বাংলাদেশ (এনসিসি’বি) ট্রাস্ট, সেন্টার ফর পার্টিসিপেটরি অ্যাকশান এ্যান্ড রিসার্চ (সিপিআরডি), কোস্টাল ডেভোলপমেন্ট পার্টনারশীপ (সিডিপি) ও খ্রীষ্টান কমিশন ফর দি ডেভেলপমেন্ট অব বাংলাদেশ (সিসিডিবি) আয়োজিত ওই সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্য উত্থাপন করেন এনসিসিবি’র কো-অর্ডিনেটর মিজানুর রহমান বিজয়। বক্তৃতা করেন সিপিআরডি’র নির্বাহী পরিচালক মো. শামছুদ্দোহা ও সিসিডিবি’র অ্যডভোকেসি কো-অর্ডিনেটর মো: আতিকুল হক ।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অনেকেই এলাকা, এমনকি দেশ ছাড় বাধ্য হয়েছে। কেউ ঝড়-জলোচ্ছাসের কারণে বাড়ি-ঘর ও সম্পদ হারিয়েছে। কারো বাড়ি-ঘর নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। আবারো দূর্যোগের কারণে এলাকায় খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। আবার কোথাও ফসলী জমি নষ্ট হয়েছে। ফলে অনেকেই এলাকা ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। এই অবস্থায় বিপন্ন মানুষের জীবন ও সম্পদ রক্ষায় সামাজিক সুরক্ষা বেষ্টনী গড়ে তুলতে হবে।
আরো বলেন, অভিযোগ প্রক্রিয়াকে টেকসই করতে অভিযোজন পরিকল্পনায় দরিদ্র মানুষকে গুরুত্ব দিতে হবে। জেলা-উপজেলাভিত্তিক স্থানীয় অভিযোজন পরিকল্পনা নিতে হবে। প্রত্যন্ত এলাকার ঝুঁকি বিবেচনায় নিয়ে জাতীয় পরিকল্পনা চ‚ড়ান্ত করতে হবে। এক্ষেত্রে গণ অংশগ্রহণ ও স্বচ্ছতার মাধ্যমে অবিলম্বে জাতীয় ভাবে ন্যাশনাল অ্যাডাপটেশন প্লান (ন্যাপ) তৈরি করতে হবে। এছাড়া জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত জাতীয় স্টিয়ারিং কমিটিতে ১০ শতাংশ এনজিও ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ২০০৯ সালে গঠিত গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড-এর ‘প্রস্তুতিমূলক কর্মসূচি’ এর আওতায় বাংলাদেশ গত মাসে ‘জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা প্রণয়ন ও ত্বরান্বিত’ করতে প্রায় ২৩ কোটি টাকার একটি প্রকল্প সহায়তা পেয়েছে। অবিলম্বে এই কার্যক্রম শুরু করতে হবে। তবে তার আগে এই প্রকল্পের ত্র“টিগুলো বিবেচনায় নিতে হবে।
লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করা হয়, এই প্রকল্পের আওতায় পরিবেশগত ঝুঁকিতে থাকা অঞ্চল (সুন্দরবন, পাহাড়ি অঞ্চল প্রভৃতি) ও ক্ষুদ্র জাতিস্বত্তার বিপদাপন্নতাকে যথেষ্ট গুরত্ব দেওয়া হয়নি। খসড়া ন্যাপ প্রস্তাবনায় দু’টি পৃথক ইকোসিস্টেমে পরীক্ষামূলকভাবে এলাকাভিত্তিক স্থানীয় অভিযোজন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের সুপারিশ থাকলেও বর্তমান প্রকল্প প্রস্তাবনায় তার উল্লেখ নেই। অথচ নেপালের স্থানীয় অভিযোজন পরিকল্পনা প্রণয়নের অভিজ্ঞতাকে বাংলাদেশে কাজে লাগিয়ে জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন বিষয়ে একটি অগ্রগামিতা সৃষ্টি করা সম্ভব ছিলো বলে দাবি করা হয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন