শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

গ্রামের চেয়ে শহরে ধর্ষণের ঘটনা বেশি গত তিন মাসে ১৭৬ শিশু ধর্ষিত হয়েছে

বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরাম

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২ এপ্রিল, ২০১৮, ১২:০০ এএম

দেশে ধর্ষনের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। আর এ সংখ্যা গ্রামের চেয়ে শহরে বেশি। সারাদেশে গত তিন মাসে (জানুয়ারি-মার্চ) ১৭৬ শিশু ধর্ষিত হয়েছে। গত জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে শিশু ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ৫৫টি করে। এবং মার্চ মাসে এ সংখ্যা ৬৬টি। অর্থাৎ প্রতিমাসে গড়ে ৫৯ শিশু ধর্ষণের শিকার হচ্ছে। এছাড়াও ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে ২১ শিশুকে। বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরাম এক প্রতিবেদন এ তথ্য প্রকাশ করেছে।
বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরামের রিসার্চ, ইনফরমেশন অ্যান্ড ডকুমেন্টেশন শাখার প্রোগ্রাম অফিসার আজমী আক্তার বলেন, গ্রামের চেয়ে শহরে ধর্ষণের ঘটনা বেশি ঘটতে দেখা গেছে। এর কারণ মূলত নগর কেন্দ্রিক ভাসমান মানুষের বসবাস। যেখানে কেউ কারো খবর রাখে না। সেই সাথে বস্তি এলাকায় ভবঘুরে-মাদকাসক্ত লোকের আনাগোনা বেশি। এছাড়া শহরে কর্মজীবী বাবা-মায়ের অবর্তমানে পারিবারিক সুরক্ষা বলয় না থাকায় শহর কেন্দ্রিক ধর্ষণ বাড়ার অন্যতম কারণ।
বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরামের মতে শিশু ধর্ষণের ঘটনা অব্যাহতভাবে বৃদ্ধির কারণ মূলত, বিচারহীনতা এবং বিচার প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রিতা। নির্যাতন করার পরও অপরাধী আইনের আওতায় না আসা, মামলা হলে দুর্বল চার্জশিট দেওয়া ও দরিদ্র অভিভাবক অনেক সময় অল্প টাকায় আসামির সাথে আপোস করে মামলা তুলে নেওয়া।
শিশু যৌন নির্যাতন বন্ধে রায় দ্রুতগতিতে কার্যকর করে অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার দাবি জানায় বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরাম। একইসাথে শিশুর বাবা-মাকে সচেতন ও সতর্ক থাকতে পরামর্শ দেয় সংস্থাটি।
১৫টি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত শিশু অধিকার লংঘনের সংবাদ পর্যবেক্ষণ এবং বিশ্লেষণ করে তারা এ সংক্রান্ত একটি পরিসংখ্যান প্রকাশ করেন।
পরিসংখ্যানে দেখানো হয়েছে, গত বছরের একই সময়ে ১৪৫ জন শিশু ধর্ষণের শিকার হয়। গত বছরের এই সময়ের তুলনায় শিশু ধর্ষণের সংখ্যা ১৭.৬১ শতাংশ বেশি হয়েছে চলতি বছরে।
ধর্ষণের হাত থেকে রেহাই পায়নি প্রতিবন্ধী শিশুরাও। গত তিন মাসে ৮ প্রতিবন্ধী শিশু ধর্ষিত হয়েছে। এছাড়াও গণধর্ষণ হয়েছে ২০ শিশু, ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ২৫ শিশুকে।
পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে ১৩-১৮ বছরের শিশুরাই ধর্ষণের শিকার বেশি হচ্ছে। গত তিন মাসে ৫৭ শিশু ধর্ষিত হয়েছে। ৭-১২ বছরের ক্ষেত্রে এ সংখ্যা ৩৭ আর ১-৬ বছরের ক্ষেত্রে ১৫ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ১৮ বছর বয়সের নিচে ধর্ষক যেমন আছে তেমনি ৪৫ বছরের উপরের বয়সেরও ধর্ষক রয়েছে।
২০১৭ সালে প্রথম ৩ মাসে ১৪৫টি শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছিলো। যাদের মধ্যে ৩১ জনকে গণধর্ষণ ও ৯ জন প্রতিবন্ধী শিশু রয়েছে। ১৩টি শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে। ধর্ষণের শিকার মূলত কন্যা শিশু হলেও বাদ যায়নি ছেলে শিশুও। ২০১৭ তে ১৪টি ছেলে শিশুকে বলাৎকারের ঘটনা ঘটেছে মর্মে পরিসংখ্যানে উল্লেখ করা হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
গনতন্ত্র ২ এপ্রিল, ২০১৮, ১২:৩৭ এএম says : 0
জনগন বলছেন, ""বিশ্ব এখন সবচেয়ে বড় মানবিক সংকটে "" আমরা সবাই ভাল আছি তাইনা ৷এইতো চলে যাচ্ছি রকেটের গতিতে,কারো সাথে দেখা হলে,কেমন আছেন বললে,উত্তরে বলি ভাল আছি,সময় নাই ভাই,আচ্ছা পরে দেখা হবে ৷ আসলে সত্যি কথা বলতে কি জানেন আমরা স্বার্থপর,নিজ পরিবার -পরিজন নিয়ে সকলেই ব্যস্ত৷আমাদের দেশে,আমাদের সমাজে কি হচ্ছে তা দেখেও না দেখার ভান করি ৷ সবাই মনে করি এটা আমার দায়িত্ব না ৷সরকার আছে প্রশাসন আছে উনারা দেখবেন আমি স্বার্থপর এভাবে পাশ কেটে যাই ৷অন্যের সমস্যায় আগাইয়া না আসলে,আপনার সমস্যায় কে আসবে ?আপনি –আমি কি নিশ্চিত যে আমাদের কোন না কোন সমস্যা হবে না ৷আসুন আমরা সবাই এ সমস্ত নারকীয়,অমানবিক,ঘৃন্যনীয় ও পশুত্বের বিরুদ্ধ আওয়াজ তুলি ৷এসব কাহিনী পড়লে মনে হয় আমরা এখন প্রাচীন বর্বারিয়ান যুগে পৌছে গেছি বা বাস করছি ৷সরকার,প্রশাসন,সমাজ,মানব অধিকারী সংঘ,ছাত্র-শিক্ষক,বুদ্ধিজীবি আমরা সবাই কি জীবন্ত লাস?ওরা কয়জন যারা এ সমাজকে জিম্মী বানিয়ে ফেলেছে ৷ এদের কি নিরাপত্তা পাওয়ার কোন অধিকার নাই,কার কাছে পাবে আশ্রয়,কোন নিরাপত্তা কোঠরিতে রাখবো,কে দিবে পাহারা ?
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন