শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সম্পাদকীয়

বেগম জিয়ার জামিন নিয়ে টালবাহানা : সাজা বৃদ্ধির আবেদন : অসুস্থতার আকস্মিক খবর রহস্যময়

মোবায়েদুর রহমান | প্রকাশের সময় : ৩ এপ্রিল, ২০১৮, ১২:০০ এএম

আবার ফিরে আসতে হলো বেগম খালেদা জিয়ার বিষয়ে। ভেবেছিলাম, যেহেতু সুপ্রিম কোর্টে তার জামিনের শুনানী হবে ৮ মে, অর্থাৎ এখনও ১ মাস ৬ দিন পরে, সেহেতু কিছুদিন পরে এই বিষয় লিখবো। এখন দুয়েক সপ্তাহ একটু ভিন্ন বিষয়ে লিখি। কিন্তু আমি কম্বল ছাড়তে চাইলে কী হবে, কম্বল তো আমাকে ছাড়তে চায় না। ঐ যে কথায় আছে, সম্বল তার কম্বল খানি। আমার অবস্থাও অনেকটা তাই। যেদিন সুপ্রিম কোর্টের ফুল বেঞ্চ বেগম জিয়ার জামিনের তারিখ প্রথমে ২২ মে এবং তারপর ৮ মে ধার্য করেন সেদিন আর এই বিষয় নিয়ে নতুন করে ভাবতে চাইলাম না। কারণ ঘটনা প্রবাহের গতিধারা দেখে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিল, কোথাকার পনি কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে। উকিল সাহেবরা যতই মার প্যাঁচ দিয়ে কথা বলেন না কেন যারা কম লেখা পড়া জানেন, তারা ঠিকই বুঝেছিলেন What is what. আপনি অনেক Brain storming করে যে সিদ্ধান্তেই উপনীত হন না কেন, দিনের শেষে দেখা যায় যে Public perception-ই চরম সত্য হয়ে দেখা দেয়।
আর হবে নাই বা কেন, চোখের সামনে দেখা গেলো ব্যাংক এবং অর্থনীতির ভয়াবহ লুণ্ঠন। অর্থমন্ত্রী তো নিজেই বলেছেন যে, যেভাবে টাকা পয়সা লুট হচ্ছে সেটাকে পুকুর চুরি বললেও কম বলা হবে। তার ভাষায় এগুলো হলো সাগর চুরি। এই সাগর চুরির দীর্ঘ ফিরিস্তি দিলে দুই একটি কলামে কুলাবে না। সেজন্য খুব সংক্ষেপে একটি বর্ণনা দিচ্ছি। যে বর্ণনা দেবো সেটি আমার নিজস্ব কোনো উক্তি বা আবিষ্কার নয়। এগুলো দেশের বিদগ্ধজনরা বলেছেন এবং পত্র পত্রিকায় ছাপা হয়েছে।
ড. মুহাম্মদ ফরাস উদ্দিন ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর। যতদূর মনে পড়ে, ১৯৬৪ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে মাস্টার্স করেছেন। তিনি বোস্টন ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচডি করেছেন। শুধু ছাত্রজীবন নয়, কর্মজীবনেও তিনি অত্যন্ত অমায়িক, বিনয়ী, মৃদুভাষী এবং নিরহংকারী ছিলেন। আমি যতদূর জানি সেই জানা মতে, তার শরীরে দুর্নীতির এক বিন্দু কালিও লাগেনি। সেই নিপাট ভদ্রলোক ফরাস উদ্দিন বলেছেন, ইলেকশন এলেই টাকা পাচার হয়। উদাহরণ স্বরূপ তিনি বলেছেন ২০০৭ সালে যত টাকা পাচার হয়েছে ২০০৮ সালে পাচার হয়েছে তার চেয়ে ৬০ শতাংশ বেশি। অনুরূপভাবে ২০১৩ সালে যত টাকা পাচার হয়েছে ২০১৪ সালে পাচার হয়েছে তার চেয়ে ৩০ শতাংশ বেশি। গত বছরের ১ জুলাই একটি দৈনিক পত্রিকায় খবর বেরিয়েছে যে, বিগত ১০ বছরে বাংলাদেশ থেকে পাচার হয়েছে ৬ লাখ কোটি টাকা। এই ধরনের অর্থনৈতিক দূর্বৃত্তায়নের অনেক তথ্যই আমার কাছে আছে। তবে আজ খুবই সংক্ষেপে কয়েকটি তথ্য দিচ্ছি।
সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নাম সুইস কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ২০১৭ সালে এই ব্যাংকের তথ্য মোতাবেক দেখা যায় যে, এই ব্যাংকে রাখা বাংলাদেশিদের টাকা ১ হাজার ১ শত ৪৯ কোটি টাকা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৫ শত ৬৬ কোটি টাকা। গ্লোবাল ফিনানসিয়াল ইন্টিগ্রিটি বলে একটি সংস্থা রয়েছে। তাদের রিপোর্ট থেকে দেখা যায় যে, ২০১৩ সালে সেখানে পাচার হয়েছিল ১ হাজার কোটি ডলার। অর্থাৎ ৮০ হাজার কোটি টাকা। ৯ বছরে এই পাচারের হার বেড়ে হয়েছে ৭ লক্ষ ২০ কোটি টাকা। বিশ্ব ব্যাংকের লিড ইকোনোমিস্ট ড. জাহিদ হোসেন বলেন, দুর্নীতিই এই পাচারের প্রধান কারণ। সেই একই গ্লোবাল ইন্টিগ্রিটি জানাচ্ছে যে, ২০০৫ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে পাচার হয়েছে ৩ লক্ষ ৫৭ হাজার কোটি টাকা।
একটু আগেই বলেছি, এসব পরিসংখ্যান দিয়ে আপনাদের ভারাক্রান্ত করতে চাচ্ছিলাম না। কিন্তু কী করবো, ২০১৬ সালের ২২ মার্চ ‘মানব জমিন’ পত্রিকার রিপোর্ট মোতাবেক জনতা ব্যাংকের কোনো এক কর্মকর্তার বাসায় যদি বস্তা ভর্তি ৭৮ লাখ টাকা পাওয়া যায়, তার অফিসের ড্রয়ারে যদি ১৫ হাজার টাকা নগদ পাওয়া যায় এবং বাকি ১ কোটি ২২ লক্ষ টাকা যদি সে খেয়ে ফেলে বা ভাগ বাঁটোয়ারা করে দেয় তাহলে মোট দুই কোটি টাকা লোপাটের জন্য তার কী বিচার হতে পারে না? ২ কোটি টাকা আত্মসাতের জন্য বেগম জিয়াকে যদি ৫ বছরের কারাদন্ড দেওয়া হয়, তারেক রহমানকে যদি ১০ বছরের কারাদন্ড দেওয়া হয় এবং তাদের প্রত্যেককে যদি ২ কোটি টাকারও বেশি অর্থদন্ড দেওয়া হয় তাহলে জনতা ব্যাংকের এই অফিসারকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয় না কেন?
\দুই\
পানামা পেপারসের অর্থ পাচারের কাহিনী প্রকাশ পেয়েছিল ২ বছর ১ মাস আগে। বাংলাদেশের যেসব ব্যক্তি এসব অর্থ পাচার করেছেন তাদের নামও পানামা পেপারস প্রকাশ করেছে এবং ঢাকার সংবাদপত্র সেই সব নাম ছাপিয়েছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত তাদের কেশাগ্রও স্পর্শ করা হয়নি কেন? বাংলাদেশের সরকার এবং এক শ্রেণির মিডিয়া উঠতে বসতে পাকিস্তানের পিন্ডি শ্রাদ্ধ করে। কিন্তু সেই পাকিস্তানেও পানামা পেপারসে মুদ্রা পাচারের সাথে তার নাম ছাপা হওয়ার কারণে পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট জনগণ কর্তৃক নির্বাচিত এবং অত্যন্ত জনপ্রিয় প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফকে পদত্যাগ করার নির্দেশ দেন। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ পাওয়ার চার ঘণ্টার মধ্যেই নওয়াজ শরীফ প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন। আমাদের দেশের সুপ্রিম কোর্ট পানামা পেপারস নিয়ে একটি শব্দও কি উচ্চারণ করেছেন?
আরো ছোট খাটো দুয়েকটি উদাহরণ দিয়ে এই অর্থ কেলেঙ্কারী এবং লুটপাট পর্ব শেষ করছি। অর্থমন্ত্রী আবদুল মুহিত অত্যন্ত উচ্চ কণ্ঠে সকলকে জানিয়ে এলান করে দিয়েছেন যে, একজন মাত্র ব্যক্তির দুর্নীতির কারণে জনতা ব্যাংক শেষ হয়ে গেছে। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার ঐ ব্যক্তিকে জনতা ব্যাংকের চেয়ারম্যান নিযুক্ত করেছিলেন। সেই ব্যক্তির নাম আবুল বারাকাত। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতির শিক্ষক এবং অর্থনীতি সমিতির সভাপতি। এই ব্যক্তি মৌলবাদী অর্থনীতি বলে অর্থনীতিতে একটি মহাতত্ত¡ এবং মহাথিসিস লিখে ফেলেছেন। বাংলাদেশের একটি ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দলের সহযোগিতায় যতগুলি আর্থিক প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছিল তার সবগুলির বিরুদ্ধে তিনি ‘জিহাদ’ ঘোষণা করেছেন। তখন জনগণ মনে করেছিলেন যে, তিনি একজন দেবতা। কতই না সৎ এবং সজ্জন ব্যক্তি এই আবুল বারাকাত। কিন্তু চেয়ারম্যান হওয়ার পর কী দেখা গেল? দেখা গেল যে, ব্যাংকের অন্তত ৫ হাজার কোটি টাকা তিনি এধার ওধার করেছেন। অর্থমন্ত্রী আবদুল মুহিতের কথায় দানবের ভয়াল মূর্তি নিয়ে জনগণের কাছে আবিভর্‚ত হলেন ওদের দেবতা।
সেটি নাহয় বোঝা গেল। কিন্তু অর্থমন্ত্রী আবদুল মুহিতের বক্তব্য অনুযায়ী আবুল বারাকাত নামক যে ব্যক্তি জনতা ব্যাংকটিকে শেষ করে দিলেন তার বিরুদ্ধে কি অ্যাকশন নেয়া হলো? আজ পর্যন্ত তার কেশাগ্রও স্পর্শ করা হয়নি। তার বিরুদ্ধে কোনো চার্জশিট তো দূরের কথা, তাকে দুদক বা পুলিশ একবারও ডাকেনি এবং কোনোরূপ জিজ্ঞাসাবাদ করেনি। এখনও তিনি মুক্ত মানব হিসেবে সারা ঢাকা গাড়ি দাবড়িয়ে বেড়াচ্ছেন। যেখানে আবুল বারাকাত ৫ হাজার কোটি টাকার নয় ছয় করেছেন সেখানে তার কেশাগ্রও স্পর্শ না করে বেগম জিয়াকে ২ কোটি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে ইতোমধ্যেই ৫ বছরের জেল দেওয়া হয়েছে এবং কারাদন্ড আরো ৫ বছর বাড়িয়ে সেটি ১০ বছর করার পাঁয়তারা করা হচ্ছে।
একইভাবে ধ্বংস করা হয়েছে সোনালী ব্যাংক। ২০১০-১২ সালে এই ব্যাংক থেকে ৩ হাজার ৬৪৮ কোটি টাকার অবৈধ ঋণের নামে লুটপাট করা হয়েছে। এর মধ্যে কুখ্যাত হলমার্ককেই দেওয়া হয়েছে ২ হাজার ৬৮৬ কোটি টাকা। বেসিক ব্যাংকের বাচ্চু সাহেব তো একজন মহারাজা। তারও কেশাগ্র কেউ স্পর্শ করতে পারে না। তার ব্যাংকে কম করে হলেও সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা লোপাট হয়েছে। বিসমিল্লাহ গ্রুপ লুট করেছে ২০০ কোটি টাকা।
\তিন\
লুটপাটের কাহিনী শেষ করবো বাংলাদেশ ব্যাংক দিয়ে। বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮১০ কোটি টাকা সাইবার লুণ্ঠনের কাহিনী সকলেই জানেন। গত ১ এপ্রিল রবিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিউইয়র্ক ও ম্যানিলার কর্তৃপক্ষীয় সূত্রে একটি চাঞ্চল্যকর খবর বেরিয়েছে। খবরটি নিশ্চয়ই সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলের নোটিশে এসেছে। আমরা এ সম্পর্কে কিছু বলবো না। কিন্তু সরকারকে বলবো, আপনারাও রিপোর্টটি পড়েছেন। তাহলে এ সম্পর্কে কোনো অ্যাকশন হচ্ছে না কেন? মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই এই ঘটনার তদন্ত করেছে। তাদের তদন্ত রিপোর্টে কী বলা হয়েছে? সেই রিপোর্ট প্রকাশ করা হয় না কেন? বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. ফরাস উদ্দিনকে এই ব্যাংক চুরির তদন্তভার দেওয়া হয়েছিল। তিনি যথারীতি তদন্ত করেছেন। তার অনুসন্ধানী রিপোর্টে নাকি বাংলাদেশ ব্যাংকের ৫ ব্যক্তি দায়ী। এই ৫ ব্যক্তি কারা? সমগ্র লুটপাটের কাহিনী জানতে ড. ফরাস উদ্দিনের রিপোর্ট প্রকাশ করা হচ্ছে না কেন? থলের বিড়াল বেরিয়ে আসবে বলে?
ঘুরে ফিরে বেগম জিয়ার প্রসঙ্গ এসে যায়। ২ কোটি টাকা কেন, ২ শত টাকাও যদি কেউ আত্মসাৎ করে তাহলে তারও বিচার হতে হবে। এখানে টাকার অংক বড় কথা নয়। কিন্তু প্রশ্ন হলো, ২ কোটি টাকার জন্য যদি ৫ বছরের জেল দেন এবং তারেক রহমানকে ১০ বছরের জেল দেন তাহলে এতক্ষণ ধরে যেসব কাহিনী বললাম সেখানে ২০/২৫ হাজার কোটি টাকা লুটপাটেরও জন্যও আজ ৩/৪ বছরেও একটি মামলাও দায়ের করা হয়নি কেন? কেন একজনকেও গ্রেফতার করা হয়নি?
সুতরাং খালেদা জিয়ার মামলাটি যে দুর্নীতির মামলা নয় সেটি বুঝতে তো আর অসুবিধা হয় না। ১০ বছর থেকে ১৫ বছর পর্যন্ত কারাদন্ড পাওয়া মন্ত্রীরা জামিনে আছেন এবং মন্ত্রিত্ব করে যাচ্ছেন। তাদের গায়ে ফুলের আঁচড়টিও পড়ছে না কেন? ইয়াবা সম্রাট আমিন হুদা রাজার হালে হসপিটালে থাকেন। আর খালেদা জিয়াকে ৩ দিন ডিভিশন না পেয়ে করুণ জীবন-যাপন করতে হয়। তার জামিনের জন্য নথির প্রয়োজন হয়। আর আওয়ামী ঘরানার ব্যক্তিদের জন্য কোনো নথির প্রয়োজন হয় না। খালেদা জিয়ার নথির কপি বকশীবাজার থেকে হাইকোর্টে যেতে ১৫ দিন সময় লাগে। ভাবখানা অনেকটা সেই পুঁথির কিচ্ছার মত। ঘোড়ায় চড়িয়া মর্দ হাটিয়া চলিল। অবশেষে হাইকোর্ট তাকে জামিন দেয় এবং সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার জজও সেই জামিন আটকে রাখেন না। অথচ তারপর একটি সাধারণ ৫ বছর জেলের জামিনের কেসের হিয়ারিং হওয়ার পরেও রায় দেওয়ার জন্য ২ মাসেরও বেশি সময় বিলম্ব করতে হয়। আর সেই ফাঁকে দুদক ৫ বছরের সাজা বৃদ্ধির জন্য হাইকোর্টে আপিল করে। আর এই ফাঁক ফোঁকরের মধ্য দিয়ে বেগম জিয়ার শারীরিক অসুস্থতার খবর কে বা কারা ফাঁস করে দেয়। কলকাতার প্রখ্যাত গায়িকা হৈমন্তি শুকলার গানের মত,
কোথা থেকে কখন যে কি হয়ে গেল
সাজানো ফুলের বনে ঝড় বয়ে গেল।
সেই শারীরিক অসুস্থতার খবরের পাশাপাশি আরেকটি খবর রাষ্ট্র হয়ে গেল যে চিকিৎসার জন্য বেগম জিয়াকে সরকার বিদেশে পাঠাবে। ওপরে এতক্ষণ ধরে যেসব তথ্য পরিবেশিত হলো, যেসব ঘটনা উল্লেখ করা হলো, সেসব তথ্য এবং ঘটনা বিশ্লেষণ করলে বোঝা যায় যে, দেশে এবার মাইনাস ওয়ান ফর্মুলা বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া চলছে। ফখরুদ্দিন মঈনুদ্দিনের সরকার মাইনাস টু করতে চেয়েছিল। মাইনাস টু তারা করতে পারেনি। কিন্তু একজনকে ক্ষমতায় বসানোর জন্য তারা স্বেচ্ছায় মই হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। সেই মই বেয়ে ক্ষমতায় গিয়ে এখন মাইনাস ওয়ান ফর্মুলা বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া চলছে। সেই মাইনাস ওয়ান দুইভাবে হতে পারে। দেশে রেখেও হতে পারে, আবার বিদেশে পাঠিয়েও হতে পারে।
journalist15@gmail.com

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (11)
কামাল ৩ এপ্রিল, ২০১৮, ২:৫৪ এএম says : 0
আল্লাহ ভরসা, কোন ষড়যন্ত্রই সফল হবে না। ইনশা আল্লাহ
Total Reply(0)
খালেদ ৩ এপ্রিল, ২০১৮, ২:৫৫ এএম says : 0
বাস্তবমূখী, যৌক্তিক এবং অত্যান্ত সময় উপযোগী একটি লেখা লেখককে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
Total Reply(0)
গোলাম মোস্তাফা ৩ এপ্রিল, ২০১৮, ২:৫৬ এএম says : 1
একটা কথা ভুলে গেলে চলবে না যে, এই দিন দিন নয় আরো দিন আরো ...........................
Total Reply(0)
চামেলী ৩ এপ্রিল, ২০১৮, ২:৫৭ এএম says : 1
এসব করে এবার আর কোন লাভ হবে বলে মনে হচ্ছে না
Total Reply(0)
Mohammed Islam ৩ এপ্রিল, ২০১৮, ৪:২৯ এএম says : 0
Very much appreciated writing. ...............................
Total Reply(0)
ইমরান ৩ এপ্রিল, ২০১৮, ১:৪০ পিএম says : 0
বিষয়গুলো নিয়ে দেশবাসী আজ গভীরভাবে উদ্বিগ্ন
Total Reply(0)
Omar Faruk Azad ৩ এপ্রিল, ২০১৮, ১:৪০ পিএম says : 0
সব কিছু মহান আল্লাহ ফয়সালা করবেন।
Total Reply(0)
Nazmul Rephat ৩ এপ্রিল, ২০১৮, ১:৪০ পিএম says : 0
Time will changed on due time
Total Reply(0)
Jalal Sarkar ৩ এপ্রিল, ২০১৮, ১:৪৩ পিএম says : 0
সময় বলে দিবে।কে কোথায় থাকে।
Total Reply(0)
Nishat Rouf ৩ এপ্রিল, ২০১৮, ১:৪৩ পিএম says : 0
দেশটা একার কারো না
Total Reply(0)
nurul alam ৩ এপ্রিল, ২০১৮, ৪:৩৮ পিএম says : 0
চোরে শোনেনা ধর্মের কাহিনী-প্রবাদটি এখন বেশী বেশী মনে পড়ে । নানারূপ নিষেধাজ্ঞার পরেও যৎকিঞ্চিৎ মিডিয়ায় আসছে তার এ ভয়াবহ চিত্র বড়ই ভয়ংকর । ভয়ংকর নানা দিক দিয়ে । বিশেষত: দুটি বিষয়ই জাতীয় জীবনের জন্য হুমকি । এক. দেশের এ অর্থ পাচার হয়ে দেশের ক্ষতি সাধন এবং দুই. এ অর্থ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে দেশ পরিচালনায় নিয়োজিতদের দায়িত্ব পালন না করা । আর দেশেতো আজ কয়েক বছর মানুষের জানমালের কী হালহকিকত দেশবাসী তা প্রতিনিয়ত উপভোগ করে চলেছেন । গত ১০ বছরে দেশে কত কোটি টাকার উন্নয়ন হয়েছে আর কত কোটি টাকা পাচার হয়েছে ? পদ্মা সেতু ও কয়েকটা ফ্লাইওভার এবং অন্যান্য মিলিয়ে ৬ লাখ কোটি টাকা হবে কী ? অবশ্যই না । তাহলে এ যে বিশাল দুর্নীতি তার জন্য কী করেছে দুর্নীতি কমিশন ? কী করেছে অন্যতম গণতান্ত্রিক সরকার ? রাস্তাঘাটে এখন উন্নয়নের গান বাজে । উন্নয়নের ব্যানার-পোষ্টারে চারিদিক একাকার । এখানে যা দেখলাম তা শুধু বিদেশে পাচারকৃত অর্থ । আর দেশের আভ্যন্তরে কী অবস্থা বিরাজ করছে ? প্রায় প্রত্যেকটি বিভাগে যে নৈরাজ্য চলছে তার বিভৎস চিত্র এবং নির্মমতায় আমরা প্রতিনিয়ত আক্রান্ত এবং বিব্রত হচ্ছি । প্রতিবাদ করার সাহস কারো হচ্ছেনা । দেশের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী থেকে আরম্ভ করে রাষ্ট্রীয় সকল প্রতিষ্ঠান একতরফাভাবে বেশী বেতন আর দলীয় আনুগত্য পেয়ে যে অনৈতিক কর্মযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে তার কু-ফল জাতি অহর্নিশি ভোগ করে চলেছে । দেশ যেন কিছু লোকের অনৈতিক অধিকারের জন্য সৃষ্টি । তারা তাদের ইচ্ছেমত যখন যাকে ইচ্ছা তাকে হেস্থনেস্থ করবে । যখন যাকে ইচ্ছে তাকে কারগারে নিক্ষেপ করবে, যখন-তখন ক্রস ফায়ারের নাটক তৈরি করবে, যখন ইচ্ছে হল একটার পর একটা মামলা রজ্জু করবে এবং রিমান্ডের পর রিমান্ড ইস্যু করে কারো কারো জীবনটাকে নি:শেষ করে দেবে, কেউ ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করতে চাইলে তাকে দেশ হতে তাড়িয়ে দেয়া হবে আর রস্তা-ঘাট, গ্রাম, পাড়া, মহল্লায় যখন তখন দল বিশেষের কর্মী বাহিনীর তান্ডব যেন হরহামেশা ঘটনা । বেগম জিয়া গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করে দেশকে গণতন্ত্রে ফিরিয়েছেন । তিনবার দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন । স্বামীর অবর্তমানে সকল প্রতিকুল পরিবেশে প্রিয় দেশ ছেড়ে যাননি । ১/১১ তে কোন সুবিধা নিয়ে ক্ষমতায় যেতে যিনি রাজি হননি তাঁকে এবং তার দলকে আজ কেন এভাবে নির্যাতন করা হচ্ছে ? স্বীকৃত দুর্নীতিবাজরা আজ প্রকাশ্যে বুক উচিয়ে চলছে । পক্ষান্তরে অন্যদের ওপর চলছে ষ্টিম রোলার ।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন