শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

ব্যবসা বাণিজ্য

ব্যবসাবান্ধব বাজেট চায় এমসিসিআই

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৯ এপ্রিল, ২০১৮, ১২:০০ এএম

নির্বাচনকেন্দ্রীক নয়, জনকল্যাণ ও ব্যবসাবান্ধব বাজেট প্রস্তাবের দাবি জানিয়েছে মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই)। এতে সমর্থন জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মোরাররফ হোসেন ভূঁইয়া।
গতকাল রবিবার সেগুনবাগিচায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সম্মেলন কক্ষে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রাক-বাজেট আলোচনা সভায় এমসিসিআই এ দাবি জানায়। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মোরাররফ হোসেন ভূঁইয়া। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন-এনবিআর সদস্য কানন কুমার রায়, ফিরোজ শাহ আলম, রেজাউল হাসান, এমসিসিআই সহ-সভাপতি গোলাম মাইনুদ্দিন, এমসিসিআইয়ের সদস্য মর্ডান ইন্ডাস্ট্রিজ (বাংলাদেশ) লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ তারেক আলী, হাসান মাহমুদ প্রমুখ।
এমসিসিআই নেতারা বলেন, যেহেতু এটা নির্বাচনী বছর তাই সরকার নির্বাচনমুখী বাজেট প্রণয়ন করবে। তবে আমরা আশা করছি সরকার সত্যিকার অর্থে দেশের উন্নতির দিকে নজর রেখে বাজেট প্রণয়ন করবে। যে বাজেট জনকল্যাণ ও ব্যবসাবান্ধব হবে।
বর্তমানে ব্যাংকে তারল্য সংকট চলছে উল্লেখ করে এমসিসিআই নেতারা বলেন, ব্যাংক ব্যবস্থাপনার দিকে সরকারকে নজর দিতে হবে। বর্তমানে সব ব্যাংকই তারল্য সংকটে ভুগছে। এ অবস্থা থেকে ব্যাংকগুলো উত্তরণ ঘটাতে না পারলে বড় সমস্যায় পড়তে হবে। তাই এবারের বাজেটে ব্যাংক খাতে বিশেষ নজর দিতে হবে।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, আগামী বাজেট যেন জনকল্যাণমুখী হয় আমরা সে দিকে লক্ষ্য রাখবো। নির্বাচন সামনে আছে বলেই যে নির্বাচনী বাজেট করবো এমন কথা সঠিক নয়। কিছুটা নির্বাচনী প্রতিফলন থাকবে। তবে যেন সুষ্ঠু একটা বাজেট হয় অর্থাৎ ফিসক্যাল পলিসিতে ধারাবাহিকতা বজায় রাখার চেষ্টা করবো। কারণ অর্থনৈতিক কর্মকান্ড বাড়লে আয়কর বাড়বে। দেশ এগিয়ে যাবে। সেই বিষটিকেই আমরা গুরুত্ব দিবো।
প্রাক-বাজেট প্রস্তাবনায় এমসিসিআই লিখিতভাবে বেশকিছু দাবি জানায়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য-২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে সাধারণ করদাতাদের করমুক্ত আয়সীমা আড়াই লাখ থেকে বাড়িয়ে সাড়ে চার লাখ করার প্রস্তাব করা হয়। সর্বোচ্চ করহার ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করেছে এমসিসিআই। তাদের দাবি এ কর হারের সামান্য হ্রাসে ব্যক্তি করদাতার ক্ষেত্রে তাদের সত্যিকার আয়কর প্রকাশে উৎসাহিত করবে এবং কর ফাঁকি অনেকাংশে হ্রাস পাবে। এছাড়াও সামাজিক দায়বদ্ধতায় (সিএসআর) ব্যয়কৃত অর্থ সম্পূর্ণ আয়করমুক্ত রাখার দাবি করা হয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন