শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

হিজলায় ভূমি জরিপ ও রেকর্ডের বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত সমাপ্ত

হিজলা (বরিশাল) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১০ এপ্রিল, ২০১৮, ১২:০০ এএম

হিজলায় ০৭ এপ্রিল দেবুয়া বাজার মাঠ মঞ্চে কারসাজি, দুনীতি অবৈধ অনুপ্রবেশ ভুমি জরিপ সেটেলমেন্ট রেকর্ড বাতিলের দাবিতে এক নিন্দা-প্রতিবাদ ও বিক্ষোভসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের পরিচালক মহোদয় এ,বি,এম ফজলুর রহমান, বিশেষ অতিথি ছিলেন বরিশাল বিভাগিয় জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসার আহসান হাবিবও তাদের অধিনস্ত সফর সঙ্গী কর্মকর্তাগন। সভায় প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, বরিশাল-৪ আসনের এমপি পংকজ নাথ ৭৫ জেল দক্ষিন চর দেবুয়া, ৪১ জে,এল খৈলা মৌজার জরিপ কার্যক্রম স্থগিত আদেশ ও ৪২ জে, এল চরকিল্লা ৪৩ জে,এল চরকিল্লা পুবের চর মৌজার জরিপ কার্যক্রম বাতিলের দাবিতে একখানা অভিযোগ পত্রের ডিও লেটার মাননীয় ভূমি মন্ত্রী মহোদয়ের বরাবর দাখিল করেন যার স্মারক নং ৩১.০৩.২৬৯২.০০৩.২০.০১৫.১৭ (খন্ড-১)- তারিখ ০৩/২০১৮ খ্রিঃ। মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় উক্ত ডিও লেটার আমলে নিয়ে মার্জিন করে ভুমি জরিপ অধিদপ্তরের পরিচালক মহোদয়কে অনতিবিলম্বে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নিতে আদেশ দেন বলে জানান। আজ আমরা সরেজমিন ৪২ ও ৪৩ নং মৌজার সংলগ্ন নদীতে প্রদক্ষিন করে আপনাদের মাঝে সভায় উপস্থিত হই। আপনাদের দাবি ও অভিযোগ শুনতে। সভাস্থলে উপস্থিত ভুক্তভোগী মালিকগনের মধ্যে বন্দবস্ত কেস নং ৮৩হি/৯৪-৯৫ এর মালিক দক্ষিন চর দেবুয়া মৌজার বাসিন্দা মজিবুল হক কাজী এর স্ত্রী নুরজাহান বলেন আমরা ১ একর জমি বন্দবস্ত পেয়ে পরিবার বর্গ নিয়ে বাড়ি ঘর বানিয়ে বসবাস করি এবং মাঠ জরীপে ৯৫ নং খতিয়ানে ১ একর জমি রেকর্ড পাই। কিন্তু ৩১ ধারায় সেটেলমেন্ট আপিলের হাকিম আবুল হোসেন আমাদের সম্পূর্ণ বঞ্চিত করে। টাকার বিনিময়ে অপরিচিত লোকের নামে রেকর্ড দেন। অপর ভুক্তভোগী জেয়াউদ্দিন কাজী সহ ৬টি পরিবার বর্গের কর্তাগন জানান আমাদের বসত ভিটা আমাদের কে রেকর্ড না দিয়ে অন্যদের রেকর্ড দেওয়ার পায়তারা চালায়। দেবুয়া আঃ মন্নান ফকিরের ছেলে মোঃ মামুন ফকির সভাস্থলে বলেন আমাদের ক্রয়কৃত বাড়ি ঘরের ৩০ শতাংশ জমি আপিলে আমাদেরকে দেওয়ার পরেও পুনরায় দখল নাই এমন ব্যাক্তিকে টাকার বিনিময়ে তার নামে পুনরায় খতিয়ান খুলে দেন। খৈলা মৌজা নজর আলী মৃধার ছেলে আঃ রশিদ মৃধা বলেন মাঠ পর্চায় আমার ৪ একর জমি রেকর্ড পাই। ৩১ ধারা ডিবি পর্চা আমার নামে মাত্র ২ একর জমি রেকর্ড হয়। বাকি ২ একর জমি অপরিচিত লোকের নামে রেকর্ড করে দেন হাকিম আবুল হোসেন। সভাস্থলে অনেক ভুক্তভোগীদের কথা শুনে পুনরায় তিনি সভায় বলেন আমি আপনাদের অভিযোগের সততা মিলে। এছাড়া উপজেলা ভুমি জরিপ ও রেকর্ড অফিসের রেকর্ড বহিতে অযস্ত্র অনিয়ম ভুয়া জাল জালিয়াতি বন্দবস্ত ও সিকস্তি খতিয়ানগুলিতে ব্যাপক ভুয়া ৩৫ ধারায় নামজারি দেখা যায়। এব্যাপারে বড়জালিয়া ইউনিয়ন ভুমি অফিসের তসিলদার মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন পরিচালক মহোদয়কে বলেন ইহা সম্পূর্ণই জাল জালিয়াতি কর্মকান্ড মাত্র। সভায় তিনি ভুমি জরিপ ও রেকর্ড কার্যক্রম উল্লেখ্য মৌজাগুলিতে ৩ মাসের জরিপ ও রেকর্ড স্থগিত করা ঘোষণাসহ সকল ভুক্তভোগীদের জমির মালিকানা রেকর্ড পাওয়ার যথাযথ ব্যবস্থা করবেন বলে সভায় সকলকে আস্ত করেন। এছাড়া সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বিভাগীয় জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসার আহসান হাবিব, হিজলা গৌরব্দী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও হিজলা উপজেলা আওয়ামী সাধারন সম্পাদক মিলন মিয়া প্রমুখ।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন