১৯৫৩ সালে তৎকালীন পাকিস্তান বিডব্লিউডি শাহজাহানপুর এলাকার ভূমিগুলো সরকারি স্টাফ কোয়ার্টার, পিডব্লিউডি স্টোর, মতিঝিল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, নতুন মহাসড়ক ইত্যাদি নির্মাণের প্রয়োজনে অধিগ্রহণ করে। অতঃপর বাসাবোর বন্যাকবলিত নি¤œ এলাকায় পাঁচ কাঠার প্লট ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে বরাদ্দ করা হয়। পুরো বাসাবো জুড়েই রয়েছে সারি সারি প্লট। ওই নকশায় বাসাবো খেলার মাঠটিও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। প্লান নম্বর ১৬, তারিখ ১২/৫/১৯৫২। প্লটগুলোর আকার ৯০ ফুটদ্ধ৪০ ফুট। প্লটগুলোর মধ্যে মাত্র দুটি সারির প্লট অন্যান্য সারির প্লটগুলোর চেয়ে লম্বায় ১০ ফুট করে বেশি। অর্থাৎ ১০০ ফুটদ্ধ৪০ ফুট। সেগুলোর প্লট নম্বর ২৫ থেকে ৩৯ এবং ৪০ থেকে ৫৪ পর্যন্ত মোট ৩০টি প্লট। কিন্তু ওই নকশা সংশোধন করে বড় প্লটগুলো বড় দেখানো হয়নি। সে সুযোগ গ্রহণ করে বর্তমানে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ বাড়ি নির্মাণের জন্য গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অনাপত্তি আদেশপত্র প্রার্থী আবেদনকারী রায়তদের হয়রানি করে চলেছেন। এ হয়রানি ও ভোগান্তি ইদানীং শুরু হয়েছে। আগে করা হতো না। ইতিপূর্বে অনেকেই নির্বিঘেœ অনাপত্তি আবেদনপত্র পেয়ে প্লটগুলোতে বহুতল বাড়ি নির্মাণ করে ফেলেছেন। তখন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের এ বিষয়ে মাথাব্যথা হয়নি। কিন্তু এখন মাথাব্যথা হচ্ছে এবং সহজে প্রতিবেদন ছাড় করছেন না। এ সমস্যার সমাধানে আমরা মনে করি নকশা সংশোধন করা আবশ্যক।
৬০ বছরের অধিককাল অতীত হয়ে গেছে। এ বিষয়ে কেউ কোনো আপত্তি করেননি। ইতোমধ্যে ঢাকা মহানগর জরিপ কাজ হয়ে গেছে। জরিপের পর্চায় বেশি জমিটুকু প্লটের সঙ্গে রেকর্ড করা হয়েছে। পর্চা ছাপানোও হয়ে গেছে। সুতরাং ঐ বেশি জমিটুকু প্লটের অংশে আগেও ছিল, এখনো নগর জরিপের মাধ্যমে আছে। কাজেই পিডব্লিউডি কর্তৃক ঐ বেশি জমি নিয়ে নেওয়ার কোনো অবকাশ নেই। নিতে গেলে ক্ষতিপূরণ করা এবং মামলা-মোকদ্দমায় জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা আছে। অতএব, এ বিষয়ে অবগতি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি- রাজারবাগ উপবিভাগ ২-এর নির্বাহী প্রকৌশলী, ঢাকা গণপূর্ত বিভাগ ১-এর নির্বাহী প্রকৌশলী এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট শাখার যুগ্ম সচিব মহোদয়ের। আশা করি, তারা সকলেই ওই বেশি জমিটুকু প্লটেরই অংশ হিসেবে নিঃশর্তে মেনে নেবেন।
ভুক্তভোগী রায়তবৃন্দ,
রাজারবাগ পুনর্বাসন জোন-২,
মধ্যবাসাবো, থানা সবুজবাগ, ঢাকা
বাংলা নববর্ষ উৎসবভাতা
আসন্ন ১৪২৩-এ বাংলা নববর্ষে যে উৎসবভাতা দেওয়া হচ্ছে, সেজন্যে আনন্দ আর ধরছে না। অন্যদের পাশাপাশি বিশেষ করে আমার কাছে এটি মহা আনন্দের ব্যাপার। নববর্ষ উৎসবভাতা চালু করায় সরকারি চাকরিজীবীদের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই। এখন মূল বেতনের শতকরা ২০ ভাগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। হয়তো একদিন তা ১০০ ভাগে উন্নীত হবে। আমার কথা হলো, ভবিষ্যতে যা হবে তার ক্রেডিট এখনই কেন নেবে না সরকার। এর প্রভাব পড়বে সমাজজীবনের সর্বস্তরে, পরতে পরতে। অতএব পরে নয়, এখুনি চাই মূল বেতনের শতকরা ২০ ভাগের বদলে ১০০ ভাগ বাংলা নববর্ষ উৎসবভাতা প্রদানের ঘোষণা, যা হবে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ায় সংকল্পবদ্ধ, সংস্কৃতিমনস্ক এই সরকারের পক্ষ থেকে সবচেয়ে বড় চমক।
তোফায়েল হোসেন খান
সহযোগী অধ্যাপক, গফরগাঁও সরকারি কলেজ, ময়মনসিংহ
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন