কোটা সংস্কারের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সুনির্দিষ্ট ঘোষণা না আসা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ। কত ভাগ কোটা কমানো হবে-এর সুনির্দিষ্ট ঘোষণাও চান আন্দোলনকারী।
বুধবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় পাঠাগারের সামনে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান।
সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা ও কোটা কমানোর সুনির্দিষ্ট ঘোষণা না আসা পর্যন্ত ক্লাস বর্জন এবং সড়ক অবরোধের কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়।
লিখিত বক্তব্যে রাশেদ খান বলেন, ‘সরকারের একেক ব্যক্তির একক ধরনের বক্তব্য আমরা গ্রহণযোগ্য মনে করি না।’
তিনি বলেন, যারা ভিসি স্যারের বাসায় হামলা চালিয়েছে ও আগুন দিয়েছে তারা সুবিধাভোগী ও অনুপ্রবেশকারী। আমরা তাদের গ্রেপ্তারের দাবি জানাই।
সাধারণ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে রাশেদ খান বলেন, যারা আমাদের আন্দোলনকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করবে, তাদের আপনার ধরিয়ে দিন। এদের সম্পর্কে সচেতন হোন।
সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলে আন্দোলনে না আসার জন্য যে হামলা চালানো হয়েছে তার তীব্র নিন্দা জানানো হয়। বাধাদানকারীদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারেরও দাবি জানানো হয়।
রাশেদ খান বলেন, ‘সুফিয়া কামাল হলের ছাত্রলীগের সভাপতি আমাদের এক বোনের ওপর বর্বরোচিত হামলা চালিয়েছে। তাঁকে আজীবন বহিষ্কারে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কার্যকরের দাবি জানাই।’
তিনি অভিযোগ করেন, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের আহ্বায়কদের আন্দোলন বন্ধ করে দেওয়া চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। তিনি এ ধরনের কাজের নিন্দা জানান। আন্দোলনে বাধা না দিয়ে বরং এতে একাত্ম হওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন, যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক আহমেদ প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন