মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নিবন্ধ

চিঠিপত্র : রায়পুরার চরাঞ্চলের দিকে দৃষ্টি দিন

প্রকাশের সময় : ৫ এপ্রিল, ২০১৬, ১২:০০ এএম

হাওর-বাঁওড়, নদী-নালা ও খাল-বিলবেষ্টিত নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলার দুর্গম চরাঞ্চলের চিত্র অত্যন্ত শোচনীয়। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি ও বিশ্বায়নের এই যুগেও অনগ্রসর ও পশ্চাৎপদ এই চরাঞ্চলবাসী শিক্ষা, স্বাস্থ্য, চিকিৎসা, বিদ্যুৎ ও গ্যাসসহ ন্যূনতম নাগরিক সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত। এছাড়া এখানকার যোগাযোগ ব্যবস্থা অত্যন্ত নাজুক হওয়ায় যাতায়াতের ক্ষেত্রেও প্রতিদিন অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে চরাঞ্চলবাসীকে। ফলে তাদের জীবনযাত্রার মান শুধু নি¤œমুখীই নয়, তাদের জীবনযাপনও নানা সমস্যায় জর্জরিত। এমনকি প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও নানা প্রতিকূলতার কারণে এখানকার জনজীবন বিপর্যস্ত। উপজেলা ও থানা প্রশাসনের সকল জনমুখী কার্যক্রমের সুফল চরাঞ্চলবাসীর কাছে পৌঁছে না। এ অবস্থায়, রায়পুরা উপজেলাকে পুনর্গঠন করে চরাঞ্চলের ছয়টি ইউনিয়ন নিীেয় পাড়াতলী গ্রামটিকে কেন্দ্র করে পাড়াতলী নামে আরেকটি উপজেলা গঠন করা যেতে পারে। তাছাড়া সরকারি উদ্যোগে এই চরাঞ্চলের বিশিষ্ট কৃতীসন্তান দেশবরেণ্য কবি শামসুর রাহমানের স্মৃতিবিজড়িত পাড়াতলীতে কবির নামানুসারে ‘কবি শামসুর রাহমান কলেজ’ প্রতিষ্ঠা করা হলে একদিকে যেমন আমরা এই মহান কবির স্মৃতির প্রতি যথার্থ সম্মান প্রদর্শন করতে পারি, অন্যদিকে শিক্ষা বঞ্চিত এই চরাঞ্চলের হতদরিদ্র ছাত্রছাত্রীদের উচ্চশিক্ষার পথও সুগম হতে পারে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
এরশাদুর রহমান চন্দন
গ্রাম ও ডাকঘর : পাড়াতলী, রায়পুরা, নরসিংদী

শাখা নদীগুলোকে বাঁচাতে হবে
দেশের বিভিন্ন স্থানে নদ-নদীগুলো পানিশূন্য হতে চলেছে। পানিপ্রবাহ কমতে কমতে অনেক নদীই এখন প্রায় মরাখালে পরিণত হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রাকৃতিক কারণ ছাড়াও বিভিন্ন স্থানে অপরিকল্পিতভাবে বাঁধ নির্মাণ, অবাধে বালু উত্তোলনসহ বিভিন্ন বিরূপ কার্যক্রম গ্রহণের ফলে অনেক স্থানে নদীর প্রধান উৎসমুখ বন্ধ হয়ে গেছে। এর ফলে এসব নদ-নদী নাব্যতা হারিয়ে ফেলেছে। পানির অভাবে নদীনির্ভর মানুষ জীবিকা হারাতে বসেছে। অথচ এক সময় পানি প্রবাহের গতি ছিল প্রবল। নদীর পার্শ্ববর্তী নি¤œাঞ্চলগুলো ৬ মাস পানির নিচে থাকত। নদীর ওপর নির্ভরশীল মৎস্যজীবীরা সচ্ছল জীবনযাপন করতেন। এভাবে চলতে থাকলে এক সময় মানচিত্র থেকে হারিয়েী যাবে এ সব নদী। পদ্মা নদীর অনেক শাখা নদীরই আজ অস্তিত্ব নেই। মুশা খাঁ, ত্রিমোহিনী এসব নদী আজ আর নেই। নদীগুলো মরে যাওয়ায় আধুনিক সেচ সুবিধা থেকে হািজার হাজার মানুষের জীবনযাত্রা অচল হয়ে পড়েছে। নদীর ওপর নির্ভরেশীল এসব মানুষের জীবনে নেমে এসেছে চরম অসহায়ত্ব। অভিজ্ঞ মহলের অভিমত-বড়ালের ওপর অপরিকল্পিতভাবে বাঁধ নির্মাণের ফলে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এসব শাখা নদীগুলোকে বাঁচিয়ে তুলতে পর্যাপ্ত পানি সরবরাহের ব্যবস্থা নিতে হবে। পাশাপাশি নদীগুলো পুনরুদ্ধারের জন্য বাঁধ অপসারণ ও তলদেশ খননসহ ডেজিং-এর মাধ্যমে উৎসমুখ খুলে দিতে হবে। মনে রাখতে হবে নদী না বাঁচলে প্রকৃতি টিকিয়ে রাখা সম্ভব হবে না।
মো. রেদোয়ান হোসেন
শিক্ষার্থী, বঙ্গবন্ধু টেক্সটাইল
ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, টাঙ্গাইল

এনআইডি সার্ভার উন্মুক্ত করা হোক
যদি প্রশ্ন করা হয়, আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি কোথায় কোন কোন কাজে ব্যবহার করেছেন? তাহলে হয়তো অনেকেই সঠিক উত্তর দিতে পারবেন না। এটি মনে রাখা যেমন কঠিন তার চেয়েও বেশি কঠিন এই তথ্যটি খুঁজে বের করা। কারণ এনআইডি সার্ভার সরকারি-বেসরকারি বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান (যেমনÑ বিমানবন্দর, ব্যাংকসমূহ এবং মোবাইল ফোন অপারেটরসমূহ) ব্যবহার করলেও যাদের তথ্য দ্বারা এটি সমৃদ্ধ হয়েছে সেই নাগরিকরাই এই তথ্যের সুবিধা থেকে বঞ্চিত। একজন এনআইডি হোল্ডারের কোনোভাবেই জানার কোনো উপায় নেই যে, তার আইডি কার্ড নম্বরটি কোথায় কোথায় ব্যবহৃত হয়েছে? এনআইডি সার্ভারেও এই সুযোগটি রাখা হয়নি। একটি আইডি কার্ড নম্বর ব্যবহার করে কোন কোন ব্যাংকে হিসাব খোলা হয়েছে, কোন কোন অপারেটরের সিমকার্ড কেনা হয়েছে, ওই আইডি কার্ড ব্যবহার করে কোনো আগ্নেয়াস্ত্র কেনা হয়েছে কিনা বা কোথায় কোন কোন কাজে তার আইডি নম্বর বা আইডি কার্ডটি ব্যবহৃত হয়েছে তা বের করার সুযোগ নেই। একজন নাগরিক তার এনআইডি ব্যবহার করে কোন কোন প্রতিষ্ঠান থেকে কী কী ধরনের সেবা গ্রহণ করেছে তা তালিকা আকারে পাওয়া গেলেই এনআইডি সার্ভারের সার্থকতা প্রমাণিত হতো।
বর্তমান এনআইডি সার্ভার ব্যবস্থায় যেটুকু সুযোগ আছে তা হলো নিজের তথ্যগুলো মিলিয়ে দেখা। উল্লিখিত সুবিধাটি থাকলে একজন নাগরিক নিজেই নিজের কার্ডটি ভেরিফাই করতে পারতেন এবং নিশ্চিত হতে পারতেন যে, তিনি কোথায় কোথায় কোন কোন কাজে নিজের এনআইডি ব্যবহার করেছেন। কোনো গরমিল পাওয়া গেলে তিনি তা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরেও আনতে পারতেন। এই সুবিধা থাকলে সরকারও খুব সহজেই নির্দিষ্ট কোনো নাগরিকের তথ্যসমূহ ও তার গৃহীত সেবাসমূহ সম্পর্কে তথ্য উদঘাটন করতে পারতেন। কিন্তু এই সুবিধা না থাকায় একজনের আইডি কার্ড তার অগোচরেই অন্য কেউ ব্যবহার করছে কিনা তা জানার কোনো উপায় নেই।
তবে এমনটি হচ্ছে, যার প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে মোবাইল সিমকার্ড রেজিস্ট্রেশনে। সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা যখন কোনো নাগরিকের কাছ থেকে আইডি কার্ড গ্রহণ করে তা নিজেদের সার্ভারে ইনপুট দিচ্ছে তখন তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে এনআইডি সার্ভারের সঙ্গে মার্জ করে দেওয়া উচিত। এনআইডি সার্ভারে প্রত্যেক কার্ডধারীর জন্য একটি লগইন ব্যবস্থা থাকবে যেখানে লগইন করে তিনি নিজের আইডি কার্ডের বৃত্তান্ত দেখতে পারবেন। এতে করে একজনের তথ্য অন্যজন দেখতে পাবে না কিন্তু নিজের তথ্য নিজে যাচাই করার সুযোগ থাকবে।
সাজ্জাদ হোসেন রিজু,
ঝিনাইদহ

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন