বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার রক্তদহ বিলে নির্মাণকৃত ক্রোসড্যাম এলাকার কৃষকের যেন মরণ ফাঁদ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অল্প বৃষ্টিতেই বিলপার ও এর আশপাশ এলকার কৃষকের মৌসুমীর প্রায় ৫০০ হেক্টর ইরি-বোরোর পাকা, আধাঁ ধান পানির নীচে তলিয়ে, যেতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যে প্রায় অর্ধেক আধাপাকা ধান তলিয়ে গেছে। এলাকার ভুক্তভোগি কৃষকরা বলেছন, ক্রোসড্যাম নির্মাণের পর থেকে গত কয়েক বছর যাবৎ এই বিল এলাকার ইরি-বোরো ধান ঘরে তোলা সম্ভব হয় না। এসব ধান রক্ষা করতে বরেন্দ্র প্রকল্পের অপরিকল্পিত নির্মানকৃত ক্রোসড্যাম অপসারণের দাবীতে বিলপারের ১৫-২০ গ্রামের কৃষকরা দীর্ঘদিন ধরে উপজেলা প্রশাসনের নিকট স্বারকলিপি প্রদান এবং মানববন্ধন কর্মসুচিসহ বিভিন্ন কর্মসুচী পালন করেও কোন ফল পাচ্ছেনা। জানা যায, খড়ামৌসুমে যেন কৃষকরা সবিধা ভোগ করতে পারে সেই চিন্তা করে কৃষকদের ফসলে সেচ ব্যবস্থার জন্য আদমদীঘি উপজেলার পার্শ্বে ঝিনা এলাকায় বরেন্দ্র প্রকল্প দুটি ক্রোসড্যাম নির্মাণ করে। কিন্ত সুবিধা তো দূরের কথা সেই ক্রোসডাম এখন কৃষকদের মরণ ফাঁদ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অল্প বৃষ্টিপাতে রক্তদহ বিলও এর আশপাশের প্রায় ৫০০ হেক্টর জমির পাকা, আধাঁপাকা ইরি-বোরো ধান পানির নীচে তলিয়ে যায়। এতে আদমদীঘি উপজেলার কদমা, করজবাড়ি, গনিপুর, দমদমা, প্রসাদখালী, সান্দিড়া, ছাতনি, ঢেঁকড়া, ডাঙ্গাপাড়াসহ প্রায় ১৫-২০ গ্রামের কৃষকেরা তাদের ধান নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছে। উপজেলার সান্দিড়া গ্রামের কৃষক খলিখ জানান, এবার তার ৯ বিঘা জমির আধাপাকা ধান পানির নীচে তলিয়ে গাছে। বিল পারের বোদলা গ্রামের ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক হিটলার ও টুটুল বলেন গত কয়েক বছরর যাবৎ আমরা বিলের ইরি-বোরো একমুঠো ধান ঘরে তুলতে পারছি না। এ ষিষয় নিয়ে আমরা স্থানীয় চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী আফিসারকে আবহিত করেও কোন ফল পাওয়া যাচ্ছেনা। এ ব্যাপারে সান্তাহার ইউপির চেয়ারম্যান এরশাদুর হক টুলু ও আদমদীঘি সদর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান সাথে কথা বললে তারা বলেন বিষয়টি আদমদীঘি উপজেলা নিবার্হী অফিসার ও জেলা প্রশাসাককে বলার পর নির্বাহী অফিসার ও জেলা প্রশাসক আমাদেরকে বলেছেন, বরেন্দ্র প্রকল্প কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠক করে তদন্তের পর ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন