সমাজে প্রতিটি প্রতিষ্ঠান ভেঙ্গে যাচ্ছে। এ ভাঙ্গাটাকে আমরা দু’ভাবে নিতে পারি। ভাঙ্গন ও গঠনের জন্য ভাঙ্গন। গতকাল ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের ৬০ বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষে এসডিজি’র ১৬তম গোলের ওপর আয়োজিত সেমিনারে সাবেক রাষ্ট্রদূত এম. হুমায়ুন কবির একথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা পরিবর্তন প্রক্রিয়ার মধ্যদিয়ে নতুন করে ভাবতে পারছি কি না অথবা নিজেকে দক্ষ করে তুলছি কি না তা ভেবে দেখতে হবে। শান্তির ক্ষেত্রে তিনি স্থিতিশীল শান্তি বা প্রগতিশীল শান্তি চাচ্ছি কিনা সেটা আমাদের নিজেদেরকে বেছে নিতে হবে। প্রয়োজনে আমাদেরকে পূন:আবিস্কার করতে হবে। সমাজ এবং জাতিকে সংঘবদ্ধ থাকার সফলতার উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে সংঘবদ্ধভাবে যুদ্ধ করে আমরা এই দেশ স্বাধীন করেছি। সুতরাং বাইরের শক্তির মদদ থাকলেও নিজেদের ঐক্যবদ্ধতার কারণে অনেক বড় অর্জন করা সম্ভব।
সেমিনারে বক্তারা বলেন, অবিমিশ্র বলে কিছু নেই। আমরা এসডিজি’র অন্যতম লক্ষ্য ‘কেউ বাইরে থাকবেনা’ প্রক্রিয়ায় ভোক্তা এবং উৎপাদক দু’ভাবেই নিজেদেরকে দেখতে পারি। এসডিজি’র লক্ষ্য নির্ধারণে বাংলাদেশের দক্ষ অংশগ্রহণ ছিল। রাজধানীর আহ্ছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের সেমিনার হলে অনুষ্ঠিত উক্ত সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সেন্টার ফর এথিক্স এডুকেশনের সিইও এবং সাবেক জাতিসংঘের অধিকর্তা কাজী আলী রেজা। মূল প্রবন্ধের উপর আলোচনা করেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনির্ভাসিটির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সৈয়দ মিজানুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ শিশু একাডেমীর গ্রন্থাগার পরিচালক রেজিনা আক্তার। সভাপতিত্ব করেন ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের সাধারণ সম্পাদক ড. এস. এম. খলিলুর রহমান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের ইউনিক-২ প্রকল্পের পরিচালক গোলাম ফারুক হামিম। সেমিনারে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত থেকে মতামত ও প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন