সাতক্ষীরার শ্যামনগর-কালিগঞ্জ উপজেলার মধ্যদিয়ে প্রবাহিত আদি যমুনা নদীর বন্দোবস্ত বাতিলের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (২৯ এপ্রিল) বেলা ১২টায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে আদি যমুনা বাঁচাও আন্দোলন কমিটির নেতৃবৃন্দ এই সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আদি যমুনা বাঁচাও আন্দোলন কমিটির আহবায়ক অধ্যক্ষ (অব.) আশেক-ই-এলাহী।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ইছামতি নদী থেকে উৎপত্তি হয়ে কালিগঞ্জ-শ্যামনগরের মধ্যদিয়ে প্রবাহিত আদি যমুনা নদী শ্যামনগরের মাদার নদী ও মালঞ্চ নদী হয়ে সাগরে মিশেছে। ৩২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এ নদীর সাথে ৫০টিরও বেশি বিল ও খালের সংযোগ রয়েছে। ২০০৪ সালে আদি যমুনার ৪র্থ ও ৫ম খ- বন্দোবস্ত দেওয়া হয়। এতে ফুসে ওঠে স্থানীয়রা। শুরু হয় আন্দোলন। পরে আদি যমুনা বাঁচাও আন্দোলন কমিটি হাইকোর্টে রিট করলে হাইকোর্ট ৫ম খ-ের বন্দোবস্ত বাতিল করে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১০ সালে ৪র্থ খণ্ডের বন্দোবস্ত বাতিলের দাবিতে হাইকোর্টে রিট করা হয়। রিটের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট রুল জারি করে। যা এখনও বিচারাধীন।
২০১৩ সালে শ্যামনগরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) আদি যমুনা নদী বন্দোবস্ত না দেওয়ার পক্ষে মতামত দিয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে প্রতিবেদন দেন। একই সাথে তৎকালীন জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্লুইস গেট সংলগ্ন কোন নদী বা খাল বন্দোবস্ত না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
কিন্তু সম্প্রতি আদি যমুনা নদী ফের বন্দোবস্ত দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে এ লক্ষ্যে টাকাও গ্রহণ করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, আদি যমুনা নদী শ্যামনগর উপজেলার পানি নিষ্কাশনের একমাত্র পথ।
যা বর্ষা মৌসুমের জলাবদ্ধতা থেকে উপজেলাবাসীকে রক্ষা করে। এজন্য সাতক্ষীরা-৪ আসনের সংসদ সদস্য আদি যমুনার বন্দোবস্ত বাতিলের জন্য ডিও এবং উপজেলার নয়টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইতোপূর্বে লিখিত আবেদনও করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে আদি যমুনার বন্দোবস্ত বাতিলের দাবি জানানো হয়।
এ সময় আদি যমুনা বাঁচাও আন্দোলন কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন