শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

নওগাঁর ছোট যমুনা নদীতে সাঁতার কাটতে গিয়ে রুয়েট শিক্ষাথী মৃত্যু

২৭ ঘন্টা পর ভেসে উঠলো লাশ

নওগাঁ জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৭ জুন, ২০১৯, ৮:০০ পিএম

নওগাঁ ছোট যমুনা নদীতে সাঁতার কাটতে গিয়ে শাফি মাহমুদ রিফাত নামের রুয়েটের মেধাবী শিক্ষাথির্র নদীতে পানিতে ডুবে মৃত্যু হয়েছে। এর সাথে সলিল সমাধী হয়েছে এক দরিদ্র পরিবারের সোনালী স্বপ্ন আর প্রত্যাশার। ওই শিক্ষার্থীর মরদেহ ঘটনার ২৭ ঘন্টা পর ভেসে উঠেছে। বৃহস্পতিবার দুপুর ১টায় সে তলিয়ে যায়। শুক্রবার ঘটনাস্থালের প্রায় দেড়’শ গজ দূরে ডিগ্রীর মোড় খেয়া পারাপার ঘাটে বিকেল পৌনে ৩টার দিকে তাঁর লাশ ভেসে উঠে। তবে ঘটনার পর থেকে রাজশাহী ফায়ার সার্ভিসের দু’জন ডুবুরী অভিযান চালিয়ে যাচ্ছিলেন। 

নওগাঁ সদর মডেল থানা ও পরিবারের সুত্রে জানা যায়, নওগাঁ শহরের কোমাইগাড়ি পূর্ব পাড়্’ার দরিদ্র সিরাজুল ইসলামের ছেলে শাফি মাহমুদ রিফাত রাজশাহী ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি (রুয়েট)-এর চুড়ান্ত বর্ষের শিক্ষার্থী। অত্যন্ত মেধাবী হওয়ায় চরম দারিদ্রতা সত্বেও তার বাবা খুব কষ্ট করে ছেলেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার খরচ যুগিয়ে যাচ্ছেন। প্রত্যাশা একটিই যে ছেলে একদিন ইঞ্জিনিয়ার হয়ে বাবার মুখ উজ্জলসহ সংসারের অভাব দূর করবে। একটি সোনালী স্বপ্নের জাল বুনে চলেছিলেন তার বাবা। কিন্ত ছোট যমুনার রুপালী জলে ডুবে সে স্বপ্ন আর প্রত্যাশার সলিল সমাধি ঘটেছে।
রিফাত ঈদের আগের দিন রাজশাহী থেকে বাড়ি আসেন। ঈদের পরদিন বৃহষ্পতিবার বেলা ১টার দিকে তার অপন চাচাতো ভাই কে ডি সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেনীর ছাত্র উল্লাস-এর সাথে পাশেই ছোট যমুনা নদীতে গোসল করতে যান রিফাত। নদীতে গিয়ে মনে ইচ্ছা জাগে সাঁতার দিয়ে নদীর ওপার যাওয়ার। দু’জনে সাঁতার দিতে শুরু করে। উল্লাস নদীর ওপার যেতে পারলেও রিফাত মাঝপথে আটকে যায়। উল্লাসকে ডেকে বলে সে আর যেতে পারছেনা। ক্রমেই সে পানিতে তলিয়ে যেতে থাকে। এই অবস্থ্ াদেখে ভাইকে বাঁচাতে উল্লাস নদীর পাড়ে কলাগাছ আনতে যায়। কলাগাছ এনে আর রিফাতকে দেখতে পায় নি। ততক্ষনে সে পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
নওগাঁ ফায়ার সার্ভিসে সংবাদ দিলে রাজশাহী থেকে দু’জন ডুবুরী এসে উদ্ধার অভিযান শুরু করেন। বৃহষ্পতিবার বেলা আড়াইটা থেকে সন্ধা ৭টা পর্যন্ত প্রথম ধাপে অভিযান চালিয়ে মরদেহ উদ্ধার করতে না পেরে অভিযান স্থগিত করেন। শুক্রবার সকাল থেকে পুনরায় মরদেহ উদ্ধার অভিযান শুরু করেন ডুবুরীরা। এরইমাঝে শুক্রবার বিকেল পৌনে ৩ টার দিকে প্রায় ২৭ ঘন্টা পর বিফাতের লাশ ঘটনাস্থলের প্রায় দেড়’শ গজ দূরে ডিগ্রীর মোড় খেয়া পারাপার ঘাটে ভেসে উঠে।
এলাকার সকল মানুষ বলেছেন রিফাত একদিকে ছিলেন যেমন মেধাবী অন্যদিকে খুবই ভদ্র। সকলেই তাকে খুব ভালোবাসতেন। ফলে এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন