রাজশহীর তানোরে পুলিশের বিশেষ অভিযানের কারণে মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারীরা বিপাকে পড়েছে। বেড়েছে ফেন্সিডিল ও ইয়াবা, গাজা ও চুলাই মদের দাম। ফলে বিক্রেতা ও ক্রেতারা অতিরিক্ত টাকায় দিয়েও পাচ্ছেনা তাদের কাঙ্খিত মাদক। আর যারা অতিরিক্ত টাকা দিয়ে থানার বাইরে হতে মাদক ক্রয়করে নিয়ে আসছেন । তারা গোপনে বনজংগোলে গিয়ে পান করে নিরবে বাড়ীতে প্রবেশ করছে।
পুলিশ সূত্রে জানায়, তানোরের ২টি পৌরসভা ও ৭টি ইউনিয়নের গত একমাসের বিশেষ অভিযানে ৩১টি মাদক দ্রব্য আইনে মামলা দেয়া হয়েছে এবং গ্রেফতার হয়েছে ৩১জন। এদেরে মধ্যে কালিগন্জের মাদক ব্যবসায়ী নাজমুল ইসলাম, রায়তন বর্ষের শহিদুল ইসলাম, গোকুল গ্রামের আনছার আলীসহ চলতি মাসে ৩১জনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
এলাকাবাসী ও বিশিষ্টজনরা জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাদক বিরুদ্ধে আইন শৃংখলা বাহিনীকে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশের পর সারা দেশের ন্যায় তানোর থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানের কার্যক্রম শুরু করেন। ফলে কয়েকদিনের অভিযানে এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ও বিভিন্ন ধরনের অপরাধ প্রবণতা কমে গেছে। গ্রামঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় যেখানে সন্ধ্যার পরে মাদকসেবীদের কারণে রাস্তায় চলাফেরা করতে সাধারণ মানুষ প্রতিনিয়ত বিড়ম্বনার শিকার হতো, সেখানে পুলিশের বিশেষ অভিযানের ফলে এখন মাদকসেবীদের মাতলামি চোখে পড়ে না। এমনকি গৃহপালিত পশু চুরি রোধ করতে তানোরের সকল ভুটভুটি, নছিমন চালককে থানায় ডেকে রাতের আধারে কোন পরিচিত মানুষ ছাড়া গৃহপালিত পশু পরিবহন করতে নিষেধ করেছে। ফলে তানোরে গৃহপালিত পশু চুরির ঘটনা বহুলাংশে হ্রাস পেয়েছে। তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রেজাউল ইসলাম জানান, পুলিশ জনগণের বন্ধু ও পুলিশের প্রতি সাধারণ মানুষের নেতিবাচক মনোভাব দুর ও এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশের মাদক বিরোধী কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। আগামীতেও আমাদের এসব কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন