শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নিবন্ধ

চিঠিপত্র : শ্রমের যথাযথ মর্যাদা চাই

প্রকাশের সময় : ২৫ জানুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

কোনো শ্রমকে ছোট করে দেখা কোনো দেশ বা জাতির জন্য সুফল বয়ে আনে না। বরিশালের একটি টেক্সটাইল মিল যার নাম সোনারগাঁও- সে প্রতিষ্ঠানে শ্রমের মূল্য এতটাই সামান্য যে, বর্তমান বাজারের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেয়া শ্রমিকদের পক্ষে খুবই দুষ্কর। আর মূল কথা হলো, এ প্রতিষ্ঠানে ডিউটি ১ম শিফট, সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। অর্থাৎ ১২ ঘণ্টা করে প্রতি শিফটে ডিউটি। কিন্তু আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা ৮ ঘণ্টা করে নির্ধারণ করে দেয়ার পরেও কেন ১২ ঘণ্টা? হোক ১২ ঘণ্টা যদি সেখানে ওভার টাইম থাকে। সোনারগাঁও টেক্সটাইল মিলের আশপাশের লোকজনের কাছ থেকে জানতে পারি, ওখানকার কিছু শ্রমিক তাদের অর্থনৈতিক চাহিদা মেটানোর জন্য অবৈধ পথ অবলম্বন করতেও কুণ্ঠিতবোধ করে না। আমি ঐ ওয়ার্ডের সাবেক কমিশনারের সঙ্গে আলাপ করে জানতে পারি, ঐ টেক্সটাইল মিলের অনেক শ্রমিক ক্যান্সারজনিত কারণে মারা যাচ্ছে। আমার মনে হয় অনকোলোজি বিভাগের শিক্ষার্থীরা ঐ প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকের ওপর জরিপ চালালে এখনও ক্যান্সারে আক্রান্ত বহু শ্রমিকের সন্ধান পাবেন। ঐ কমিশনার মনে করেনÑ এর প্রধান কারণ হলো : ১) ১২ ঘণ্টা (রাত) ডিউটি, ২) টেক্সটাইলের ডাস্ট, ৩) বেতন স্বল্পতা। কেন এই হতদরিদ্র শ্রমিকের ওপর অমানবিক শ্রম? পরিশেষে, সোনারগাঁও টেক্সটাইল কর্তৃপক্ষ ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছিÑ যাতে তারা দরিদ্র ও অসহায় শ্রমিকদের কথা চিন্তা করে ডিউটির সময় হ্রাস করেন এবং বেতন বৃদ্ধির সার্বিক ব্যবস্থা নেন।
মো. সেফাত উল্লাহ শিমুল
শিক্ষার্থী, সমাজবিদ্যা বিভাগ, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়।

চাই সেচ সমস্যার দ্রুত সমাধান
সেচবহির্ভুত কৃষিজমিকে সেচের আওতায় আনতে সারাদেশে গভীর নলকূপ স্থাপন করা হয়। বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) নিয়ন্ত্রণে থাকা এসব নলকূপের মধ্যে অকেজো হয়ে যায় ১ হাজার ৪২৫টি। সম্প্রতি ৮৬১টি মেরামত করা হলেও এখনো অকেজো রয়ে গেছে ৫৬৪টি। একটি গভীর নলকূপ থেকে প্রায় ৭০-৯০ একর জমিতে পানি সেচ দেয়া সম্ভব। ফলে এসব নলকূপ অকেজো হওয়ায় প্রায় ৫০ হাজার একর জমিতে পর্যাপ্ত পানি পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না। আবার বিকল্প উপায়ে অগভীর নলকূপ স্থাপন করা হলেও তা কৃষকের খরচ বাড়িয়ে দিচ্ছে। গভীর নলকূপের মাধ্যমে একরপ্রতি জমিতে ১ হাজার ৮০০ থেকে সর্বোচ্চ ২ হাজার টাকা খরচ হলেও এখন কৃষককে দিতে হচ্ছে ৩-৪ হাজার টাকা। যা মেটাতে কৃষকরা হিমশিম খাচ্ছেন।
বর্তমান সরকার বিএডিসিকে শক্তিশালী করতে কার্যকর উদ্যোগ নিয়েছে। মেরামতযোগ্য গভীর নলকূপগুলোকে মেরামত করে স্থাপনের পাশাপাশি যেসব নলকূপ একেবারেই মেরামতকরা সম্ভব নয়, সেগুলো কারিগরি কমিটির মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করে বিক্রি করে দেয়া উচিত। বিএডিসির অধীনে থাকা রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে অকেজো হয়ে পড়া নলকূপ মেরামতের জন্য ১৭০ কোটি ৮৬ লাখ টাকার একটি প্রকল্প গ্রহণ করে প্রতিষ্ঠানটি। এ প্রকল্পের মাধ্যমে ২০১৪-১৫ অর্থবছর পর্যন্ত ৮৬১টি সচল করা হয়। প্রকল্পটির মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করে বিক্রি করে দেয়া উচিত। বিএডিসির অধীনে থাকা রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে অকেজো হয়ে পড়ো নলকূপ মেরামতের জন্য ১৭০ কোটি ৮৬ লাখ টাকার একটি প্রকল্প গ্রহণ করে প্রতিষ্ঠানটি। এ প্রকল্পের মাধ্যমে ২০১৪-১৫ অর্থবছর পর্যন্ত ৮৬১টি সচল করা হয়। প্রকল্পটির মেয়াদ শেষের মধ্যে আরো ১৩৯টি নলকূপ মেরামত সম্ভব হলেও বাকিগুলো অকেজো অবস্থায় রয়ে গেছে। অকেজো নলকূপ সচল করার মাধ্যমে ৩০ হাজার ৮০০ হেক্টর জমি সেচের আওতায় এসেচে, যাতে করে প্রতি বছর প্রায় ১ লাখ ৮ হাজার টন বাড়তি খাদ্যশস্য উৎপাদন আশা করা যাচ্ছে। পরিশেষে, সরকার কৃষকদের ব্যয়ভারের বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নেবে এবং কৃষি উন্নয়নের মাধ্যমে দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে অকেজো নলকূপগুলোর ব্যাপারে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
মো. রেদোয়ান হোসেন
বঙ্গবন্ধু টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ
কালিহাতি, টাঙ্গাইল।

বাঘারপাড়ার ইটভাটা কি সরবে?
যশোর জেলার বাঘারপাড়া উপজেলায় এশিয়ার বৃহত্তম বটবৃক্ষমূলে অবস্থিত ‘জহরপুর রামগোপাল বহুমুখী বিদ্যালয়।’ প্রতিষ্ঠানটি ১৯৬৪ সালে প্রতিষ্ঠিত। কিন্তু কিছুদিন থেকে এ প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীরা দুর্গতিতে পড়েছে। স্কুলের ১০০ গজ উত্তরে রয়েছে একটি ইটভাটা। শীতকালে উত্তর দিক থেকে আসা বাতাসের সঙ্গে ইটভাটার কার্বন ডাই-অক্সসাইডযুক্ত কালো ধোঁয়া স্কুলের ভেতরে প্রবেশ করছে। এ কারণে এরই মধ্যে কিছু শিক্ষার্থীসহ কয়েকজন শিক্ষক শ্বাসকষ্টজনিত রোগে ভুগছেন। অনেকে নাকে রুমাল ও মাস্ক পরে ক্লাস নিচ্ছেন। সে এক দুঃসহ যন্ত্রণা। এখন যে অবস্থান, ওখান থেকে স্কুল সরাতে হবে নতুন ইটভাটা সরাতে হবে। স্কুলে পড়ানোর জন্য ছাত্রদের অসুস্থ বানিয়ে ফেলা কারো কাম্য নয়। কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ, দ্রুত ইটভাটা বন্ধ বা সরানোর ব্যবস্থা করুন।
ইন্তাজুল ইসলাম
এনায়েতপুর, গেওরনগর, যশোর।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন