রাখাইন প্রদেশের রোহিঙ্গাদের ওপর নিপীড়ন ও সহিংসতা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে ইউরোপীয় দেশ জার্মানি। দেশটির পার্লামেন্টে এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব আনা হয় সরকার দলীয় জোট ও কয়েকটি বিরোধী দলের পক্ষ থেকে। আইনপ্রণেতাদের ব্যাপক সমর্থনে প্রস্তাবটি পাস হয়েছে। তুরস্কের সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সির খবরে জানানো হয়েছে, প্রস্তাবে চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেলের জোট সরকারকে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের ওপর প্রভাব খাটিয়ে রোহিঙ্গাদের মানবাধিকার হরণ বন্ধ ও স্বীকৃতি দেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। পাস হওয়া প্রস্তাবে রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব নিশ্চিত করে তাদের পূর্ণাঙ্গ রাজনৈতিক অধিকার ফিরিয়ে দিতে মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। স্থানীয় সময় গত বৃহস্পতিবার রাতে জার্মান পার্লামেন্টে রোহিঙ্গা নিপীড়ন বন্ধে পাস হয়। ওই প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ‘রোহিঙ্গাদের পূর্ণাঙ্গ নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার ও মিয়ানমারের নাগরিকত্ব মেনে নিতে হবে।’ ১৯৮০’র দশকে সামরিক জান্তা সরকারের আমলে পাস হওয়া এক আইনের বলে রাখাইনের রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্বের অধিকার কেড়ে নেয় মিয়ানমার। দীর্ঘদিন ধরে রাষ্ট্রহীন থাকা এই জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে কাঠামোগত সহিংসতা জোরালো হলে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে রোহিঙ্গারা। জার্মান পার্লামেন্টে পাস হওয়া প্রস্তাবে ‘রোহিঙ্গাদের নিরাপদ, স্বেচ্ছা এবং কার্যকর প্রত্যাবাসনের’ আহ্বান জানানো হয়। জার্মানির সরকারি জোট এবং কয়েকটি বিরোধী দল যৌথভাবে এই প্রস্তাব আনে। এর মধ্যে রয়েছে ক্ষমতাসীন ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স, তাদের জোটসঙ্গী সোস্যাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (এসপিডি) ও বিরোধী ফ্রি ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (এফডিপি) এবং দ্য গ্রিনস। প্রস্তাবে সমর্থন জানায় সোস্যালিস্ট লেফট পার্টি। তবে প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দিয়েছে ডানপন্থি অলটারনেটিভ ফর জার্মানি (এএফডি)। আনাদোলু।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন