আজ ছিল বহুল প্রত্যাশিত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন। ছোট পরিসরে ২ হাজার ২৬০ জন রোহিঙ্গা আজ মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সীমান্তের এপার ওপারে সব ছিল ঠিক ঠাক।
সকাল থেকে বাংলাদেশ মিয়ানমার সীমান্তে দেশী বিদেশী সংস্থার কর্মকর্তাসহ মিডিয়া কর্মীরাও ছিল উন্মূখ।
কিন্তু রোহিঙ্গাদের অনিহার কারণে প্রত্যাবাসন শুরু করা যায়নি। তারা ' 'যাইতাম নয়, নযাইযুম' বলে শ্লোগান দিয়ে তাদের ৫ দফা দাবীর পক্ষ বিভিন্ন প্লে কার্ড বহন করে।
তাদের দাবীর মধ্যে আছে, গণহত্যার বিচার, সেখানে নাগরিকত্ব, নিরাপত্তা ও তাদের সহায় সম্পদ ফিরে পাওয়ার নিশ্চয়তা।
গত প্রায় এক বছর চেস্টার পর রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে একটি ঐকমত্যে পৌঁছেছে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার।
সম্প্রতি দুই দেশের সমন্বয়ে গঠিত জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের সভায় এই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়। ফলে আজ ১৫ নভেম্বর বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের একটি দল মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের কথা রয়েছে।
সে লক্ষ্যে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে টেকনাফের কেরুনতলী ও বান্দরবানের ঘুমধুমের দুইটি ট্রানজিট ক্যাম্প প্রস্তুত করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত হওয়াগেছ শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার এবং জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের সদস্য মো. আবুল কালাম সূত্রে।
প্রত্যাবাসনের অংশ হিসেবে প্রথম দফায় ২ হাজার ২৬০ জন রোহিঙ্গাকে মিয়ানমার ফেরত পাঠানোর কথা রয়েছে।
কিন্তু নানা অজুহাতে রোহিঙ্গারা মুয়ানমারে ফিরে যেতে রাজি নয় বলে জানাগেছে। এতে করে আজকের প্রত্যাবাস কার্যক্রম অনিশ্চত বলে জানাগেছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন