চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার সৈয়দপুর গ্রামে পুলিশের সাথে বন্ধুকযুদ্ধে ৮ মাদক ও ডাকাতি মামলার আসামী, দুধর্ষ ডাকাত জাকির (৪০) নিহত হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি দেশীয় পাইপগান, ব্যবহৃত ৪টি গুলি, বড় ও ছোট সাইজের ৪টি ছুরি, ১টি চাপাতি ও ১টি মাটি খনন কাজে ব্যবহৃত সাবল উদ্ধার করে। এ সময় আহত হয় ৫ পুলিশ সদস্য।
বৃহস্পতিবার (১৪ জুন) ভোর আড়াইটায় (২.৩০) টায় ওই গ্রামের সাবেক চেয়ারম্যান জুনাব আলীর বাগানবাড়ীতে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে টহল পুলিশকে দেখে ডাকাতদল পুলিশের উপর গুলি ছোঁড়ে। এতে পুলিশও আত্মরক্ষার্থে গুলি চালালে ডাকাত জাকির নিহত হয়।
নিহত জাকির হাজীগঞ্জ উপজেলার ২নং বাকিলা ইউনিয়নের স্বর্ণা গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফের ছেলে। সে এরআগে ডাকাতি ও মাদক মামলায় একাধিকবার হাজীগঞ্জ থানায় গ্রেফতার হয়। ২/৩ মাস পূর্বে ডাকাতির মালা-মালসহ পুলিশ তাকে আটক করেছিল। সেই মামলায় জামিনে এসে আবারো ডাকাতি ও মাদক ব্যবসা শুরু করে বলে জানান, পুলিশ।
গোলাগুলিতে আহত পুলিশ সদস্যরা হচ্ছেন: সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মোস্তাফিজুর রহমান, পুলিশ সদস্য-সিদ্দিকুর রহমান, মামুন মিয়া, কামরুল ইসলাম ও সাখাওয়াত হোসেন। আহতরা হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ জানায়, রাত ২.৩০ টার দিকে ডাকাতির প্রস্তুতি খবর জানতে পেরে টহল পুলিশসহ ১৫ জন পুলিশ সদস্য ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। এ সময় স্থানীয় জনগনও টের পেয়ে আশ-পাশে অবস্থান নেয়। পুলিশ ডাকাতদের দিকে এগিয়ে গেলে তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকে। গোলাগুলির এক পর্যায় একজন ডাকাত সদস্য নিহত হয়। বাকিরা সব পালিয়ে যায়। ভোর ৪টার দিকে আহত ডাকাত সদস্যকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মো. আজাদকে মৃত ঘোষণা করেন।
হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাবেদুল ইসলাম জানান, নিহত ডাকাতের প্রথমে পরিচয় পাওয়া যায়নি। পরে স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে জানতে পারি সে চিহ্নিত ডাকাত জাকির। তার বিরুদ্ধে হাজীগঞ্জ থানায় মাদক ও ডাকাতির ৮টি মামলা রয়েছে। ময়না তদন্তের জন্য তার মরদেহ চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন