শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

ঈদে নিরাপত্তা জোরদার

উমর ফারুক আলহাদী | প্রকাশের সময় : ১৫ জুন, ২০১৮, ১২:০০ এএম

ঈদকে সামনে রেখে রাজধানীসহ সারা দেশে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। জাতীয় ঈদগাহসহ দেশে যে সব এলাকায় গুরুত্বপূর্ণ ঈদের জামায়াত অনুষ্ঠিত হবে সেখানে নেয়া হয়েছে অধিকতর বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ঈদ কেন্দ্রিক নিরাপত্তায় সারা দেশে নিয়মিত পুলিশের বাইরেও লক্ষাধিক অতিরিক্ত পুলিশ এবং সাড়ে ৮ হাজার র‌্যাব সদস্য মোতায়েন থাকবে। এছাড়া ঈদে রাজধানীর লোক সংখ্যা কম থাকবে। এ বিষয়টি মাথা রেখে পাড়া মহল্লায় থাকবে পুলিশের বিশেষ টহল টিম।
পুলিশ জানায়, জাতীয় ঈদগাহ্ ময়দান এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। ইতোমধ্যেই সিসিটিভি বা ক্যামেরা স্থাপন করে সার্বক্ষণিক সকল কার্যক্রম সদর দপ্তর থেকে মনিটর করা হচ্ছে। জাতীয় সংসদ ভবন, বিমান বন্দর, কূটনৈতিক এলাকা, মহাসড়কে বাস, ফেরি ও রেলওয়ে স্টেশন এলাকা ও শপিং মলসমূহে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। নিয়মিত পুলিশের পাশাপাশি নিরাপত্তার দায়িত্বে আছে র‌্যাব পুলিশের টহলদল। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন এজেন্সি ও সাদা পোশাকধারী সদস্যদের টহল ও নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় থেকে ও পুলিশ সদরদপ্তর থেকেও দেশের সকল জেলার এসপিদেরকে ঈদের ছুটিতে জনগণের জীবন নির্বিঘœন করা ও গুরুত্বফুর্ণ স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদার করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল গতকাল ইনকিলাবকে বলেন, আমরা জঙ্গি দমনে সফল হয়েছি। তারপরেও সব কিছু বিবেচনায় রেখেই নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। নাশকতার আশঙ্কা নেই। তারপরেও আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের সর্তক থাকতে বলা হয়েছে।
র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ বলেছেন, সব ধরনের ঝুঁকির বিষয় মাথায় রেখেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা সাজানো হয়েছে। জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে নামাজ আদায়কারী মুসলিদের আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণে নেই। দেশের জঙ্গিদের ওপর আমাদের কঠোর নজরদারি রাখা হয়েছে। এদের সর্বাংশে নির্মূল না করা পর্যন্ত কাজ করছি। র‌্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) বেনজীর আহমেদ বলেছেন, ঈদকে সামনে রেখে র‌্যাবের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। র‌্যাবের ডিজি বলেন, ইতোমধ্যে নগরীর বিপণিবিতাগুলোর নিরাপত্তার দিকে নজর দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন স্টেশন, ফেরিঘাট, লঞ্চঘাটে র‌্যাবের ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে। র‌্যাব সদর দপ্তর জানায়,ঢাকাসহ দেশব্যাপী গুরুত্বপূর্ণ ঈদের জামাত, যাত্রী পরিবহন, গার্মেন্ট শিল্প, বিপণী বিতান, বাস ও রেলস্টেশন, লঞ্চ টার্মিনাল এবং ফেরি ঘাটে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থ জোরদার করা হয়েছে। ঈদ উপলক্ষে যাতে মানুষ নির্ভয়ে বিভিন্ন গন্তব্যে পৌঁছাতে পারে সে জন্য র‌্যাাব-পুলিশ সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধির পাশাপাশি ইউনিফর্মে নিরাপত্তা প্রদানের মাধ্যমে চাঁদাবাজ, ছিনতাইকারী এবং টিকেট কালোবাজারীদের গ্রেফতারের ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। ঢাকা শহরের বড় বড় ঈদের জামাতে স্থাপন করা হয়েছে র‌্যাবের অস্থায়ী ক্যাম্প।
এছাড়া এবার ড্রোনের মাধ্যমে আইন-শৃঙ্খলা পর্যবেক্ষণের মধ্য দিয়ে কঠোর নিরাপত্তায় অনুষ্ঠিত হবে শোলাকিয়ার ঈদ জামাত। কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে প্রতি বছর দেশের সর্ববৃহত্ ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। ধারণা করা হয় এ জামাতে তিন লক্ষাধিক মুসল্লি একসঙ্গে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেন।
আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, আমরা প্রত্যেকটা হাইওয়েতে স্পেশাল এরেজমেন্ট করেছি। আমাদের নরমাল জনবলের অতিরিক্ত জনবল দিয়েছি এবং সমন্বিতভাবে আমরা জেলা পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ, রেঞ্জের রিজার্ভ ফোর্স সবাই মিলেই ব্যবস্থা নিচ্ছি। আমরা বিভিন্ন জায়গায় কন্ট্রোল রুম করেছি। অন্যান্য যারা কাজ করছে তাদের সঙ্গে যাতে আমরা সমন্বয় করতে পারি। এর বাইরে আমাদের কিছু ওয়াচ টাওয়ার আছে, চেক পোস্ট আছে। সব কিছু মিলিয়ে আমরা মনে করছি আমরা যে সব ব্যবস্থাগুলো নিয়েছি নির্বিঘ্নে মানুষ তাদের গ্রামে ফিরে যেতে পারবে। এই ঈদটা মানুষ সঠিকভাবে করতে পারবে বলে আমরা মনে করছি। ঈদের আনন্দ ও ঈদ উদযাপন নির্বঘ্ন করতেই নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানো হয়েছে। বিশেষ করে ঈদের জামায়াত, মহাসড়ক ,রেল বাস টার্মিনাল, লঞ্চ ঘাট ও বিপনীবিতানে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। ঈদে সর্তকতার সাথে দায়িত্ব পালনের জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন