সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ইসলামী বিশ্ব

নতুন যুগের সূচনা করবে তুরস্কে

কার্যনির্বাহী ব্যবস্থা কার্যকরে এ সপ্তাহে দু’টি আদেশ জারি করবেন এরদোগান

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৪ জুলাই, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

 তুরস্কের নতুন কার্যনির্বাহী প্রেসিডেন্সিয়াল ব্যবস্থার জন্য বিদ্যমান আইনগুলির সমন্বয় সাধনের জন্য চলতি সপ্তাহে দু’টি প্রধান আদেশ জারি করবে ক্ষমতাসীন জাস্টিজ এন্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি (একেপি)। প্রেসিডেন্ট হিসেবে পুনর্নির্বাচিত এরদোগানের শপথ গ্রহণের পরপরই এই ব্যবস্থা সম্পূর্ণ কার্যকর হবে। আগামী ৯ জুলাই এরদোগান তার প্রথম প্রেসিডেন্সিয়াল ডিক্রি জারি করবেন; যেটি দেশটিতে নতুন যুগের সূচনা করবে। প্রেসিডেন্টের শপথগ্রহণের আগে সাংবিধানিক সংশোধনী দ্বারা নির্ধারিত নতুন এক্সিকিউটিভ সিস্টেমের একীকরণ নিশ্চিত করতে আদেশ জারি করার জন্য বিদ্যমান একে পার্টির ক্যাবিনেট কর্তৃপক্ষকে পার্লামেন্ট অনুমোদন দিয়েছে। নতুন ব্যবস্থায় প্রধানমন্ত্রীর পদ বাতিল করে তার সমস্ত কর্তৃত্ব নতুন নির্বাচিত প্রেসিডেন্টের নিকট স্থানান্তর করা হবে। মন্ত্রিসভা এই সপ্তাহে দু’টি আদেশ জারি করবে বলে আশা করা হচ্ছে, যা প্রধানমন্ত্রীর সংগঠন ও কর্তৃত্বের অধীনে ৮০০ আইনের সংশোধন করবে। প্রধানমন্ত্রীর পদ পুরোপুরি তুলে দিয়ে প্রেসিডেন্সিয়াল ব্যবস্থায় প্রতিস্থাপিত করতে প্রায় ৫ হাজার আইন সংশোধন করতে হতে পারে। মন্ত্রিপরিষদ সমস্ত আইন বাতিল করবে, যেটি মন্ত্রণালয়ের সাংগঠনিক কাঠামোর প্রয়োজনীয় শর্ত উপস্থাপন করবে। অতঃপর সকল মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীদের প্রেসিডেন্ট কর্তৃক নিযুক্ত করা হবে। এক্সিকিউটিভ সিস্টেমের যেকোনো বৈষম্য রোধ করতে নতুন সিস্টেম সম্পূর্ণরূপে একত্রীকৃত না হওয়া পর্যন্ত সকল প্রতিষ্ঠানের কর্তৃত্ব নিশ্চিত করতে মন্ত্রিসভা আইন প্রণয়ন করবে। প্রেসিডেন্টের শপথগ্রহণের পর একটি নতুন সরকার গঠন করা হবে এবং তারপর মন্ত্রিসভার আদেশ জারি করার কর্তৃত্ব বিলুপ্ত হয়ে যাবে। তারপর প্রেসিডেন্ট তার প্রথম আদেশ জারি করবে। এরপর নতুন মন্ত্রণালয় গঠিত হবে এবং নতুন সাংগঠনিক কাঠামো নির্ধারণ করা হবে। এতে মোট ১৬টি মন্ত্রণালয় থাকবে এবং আদেশ অনুযায়ী মন্ত্রণালয় গঠনের পর নতুন মন্ত্রীদের নিয়োগ দিবেন এরদোগান। মন্ত্রীদের নিয়োগের জন্য কোনো সময়সীমা নেই। তবে এই ১৬ জন মন্ত্রীকে একই সময়ে নিয়োগ করা হবে বলে জানা গেছে। নতুন মন্ত্রীদের নিয়োগের পরপরই আমলাতান্ত্রিক ক্যাডারদের নিযুক্ত করা হবে। এর আগে তুরস্কের ক্ষমতাসীন জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি (একেপি) স্থানীয় নির্বাচনের জন্য কাজ চালিয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেপ এরদোগান। ২০১৯ সালের মার্চে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ক্ষমতাসীন একে পার্টির কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত এবং নির্বাহী বোর্ডের সভায় এরদোগান এসব কথা বলেন। সভায় ২৪ জুনের নির্বাচনের বিশ্লেষণ তুলে ধরা হয়। নির্বাচনে ক্ষমতাসীন একেপি’র ভোট পূর্ববর্তী নির্বাচনের তুলনায় ৭ শতাংশ কমেছে। ২০১৫ সালের নভেম্বরের নির্বাচনে দলটি ৪৯ শতাংশ ভোট পেয়েছিল, কিন্তু ২৪ জুনের নির্বাচনে একেপি পেয়েছে ৪২ শতাংশ ভোট। সভায় নির্বাচনের ফলাফলের ব্যাপারে প্রেসিডেন্ট এরদোগান নিজের অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, নির্বাচনে প্রাপ্ত ভোট মূল্যায়নের মাধ্যমে আমরা আমাদের কাজ চালিয়ে যাব। হুরিয়েত ডেইলি নিউজ, আনাদোলু।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (5)
Md Abu Bakkar ৪ জুলাই, ২০১৮, ৩:১৫ এএম says : 0
জয়তু বস এরদোগান
Total Reply(0)
Tareq Sumon ৪ জুলাই, ২০১৮, ৩:২৪ এএম says : 0
Go ahead with congrats
Total Reply(0)
MD Mahbub Rahman ৪ জুলাই, ২০১৮, ৩:২৪ এএম says : 0
আলহামদুলিল্লাহ
Total Reply(0)
Jabed ৪ জুলাই, ২০১৮, ৩:২৪ এএম says : 0
আমিন
Total Reply(0)
Md. Yousuf ৯ জুলাই, ২০১৮, ৫:৫৭ পিএম says : 0
আলহামদুলিল্লাহ ।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন