দুপচাঁচিয়া-তালোড়া সড়কের বিভিন্ন স্থানের কারপেটিং-এর পাথরসহ পিচ উঠে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে এই বর্ষা মৌসুমে সড়কের ছোট বড় গর্তে পানি জমে থাকায় এলাকাবাসীসহ যানবাহন চলাচলে চরম ভোগান্তী পোহাতে হচ্ছে। এ অবস্থা দেখে মনে হয় দেখার যেন কেউ নেই।
দুপচাঁচিয়া উপজেলা সদর থেকে ৭ কিলোমিটার দক্ষিণে বন্দরনগর তালোড়া পৌরসভা অবস্থিত। দুপচাঁচিয়া-তালোড়া ভায়া কুন্দ্রগ্রাম হয়ে নওগাঁর রানীনগর ও আরেকটি সড়ক তালোড়া থেকে রেললাইনের পাশ দিয়ে আলতাফনগর হয়ে নরশৎপুরের উপর দিয়ে আদমদিঘী উপজেলায় মিশেছে। দুপচাঁচিয়ার সাথে তালোড়ার যোগাযোগের একমাত্র এই সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন শত শত লোক চলাচল করে। এছাড়াও শস্য ভান্ডার হিসেবে পরিচিত এলাকার বিভিন্ন শস্য নিয়ে বিভিন্ন যানবাহনও চলাচল করে থাকে। বন্দরনগর তালোড়ায় সরকারি খাদ্য গুদাম, তালোড়ার রেল স্টেশনসহ বেশ কিছু এ্যালোমিনিয়াম ফ্যাক্টরি ও কারখানা রয়েছে। দুপচাঁচিয়া উপজেলা সদর থেকে ৭ কিলোমিটার দূরত্ব সড়কটির বিভিন্ন স্থানে কারপেটিং-এর পাথর পিচ ওঠে গর্তের সৃষ্টি হওয়ার ফলে সড়কটি দিয়ে চলাচলের সাধারণ মানুষসহ যানবাহনের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এই বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টিতে সড়কের গর্তগুলো পানিতে ভরে থাকছে। এতে এলাকাবাসীর দুর্ভোগ আরো বাড়ছে। সেই সাথে যানবাহনের দুর্ঘটনার আশংখাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। দুপচাঁচিয়া-তালোড়া এই সড়কটি সড়ক ও জলপথ বিভাগের আওতায় পড়ায় দুপচাঁচিয়া ও তালোড়া পৌরসভাসহ এলজিইডি কেউ সংস্কারের জন্য এগিয়ে আসছে না। এতে জন দুর্ভোগ আরো বৃদ্ধি পেয়েছে।
এ ব্যাপারে তালোড়া মেয়র আমিরুল ইসলাম বকুলের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, জনগুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি দ্রæত সংস্কারের জন্য এলজিইডি প্রধান কার্যালয়, সড়ক ও জলপথ বিভাগসহ মন্ত্রনালয়ে তিনি যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছেন। এ দিকে ভুক্তভোগীরা জনগুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি সংস্কারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রæত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন