কোটা সংস্কার আন্দোলনের যুগ্ম-আহবায়ক মোহাম্মাদ রাশেদ খাঁনসহ অন্যদের মুক্তির দাবি জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা। এ দাবিতে আজ রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদে মানববন্ধন করে ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্স্যুরেন্স বিভাগের শিক্ষার্থীরা। মানববন্ধনে প্রায় দুইশতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেয়। রাশেদ এ বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন লেখা সংবলিত ফেস্টুন প্রদর্শন করে। তাতে লেখা- ‘চাইতে গিয়ে অধিকার সইব সব অত্যাচার’, ‘চারিদিকে রব উঠাও আমার ভাইদের মুক্তি দাও’, ‘আর নয় অনাচার এবার চাই অধিকার’, ‘মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার কর’, ‘রাশেদ ছাড়া ক্লাসে ফিরব না’ ইত্যাদি।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, কোটা সংস্কারের যৌক্তিক আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছিল রাশেদ খাঁন। কিন্তু সরকার তাদের এ যৌক্তিক আন্দোলনকে ব্যাহত করে দেয়। সরকার দলীয় সংগঠন (ছাত্রলীগ) আন্দোলনকারীদের উপর নৃশংস হামলা চালায়। এ আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা রাশেদ খাঁনসহ অন্যদের গ্রেফতার করে পুলিশ। পরবর্তীতে তাদের রিমান্ডে নেয়। আমরা রাশেদসহ গ্রেফতারকৃতদের দ্রুত মুক্তির দাবি জানাই।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্স্যুরেন্স বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী নাজমুল হাসান রাফি বলেন, আমাদের বিভাগের বড় ভাই রাশেদ রিমান্ডে। তিনি যৌক্তিক আন্দোলনের নেতা ছিলেন। অথচ তাকে গ্রেফতার করে প্রশাসন রিমান্ডে নিয়েছে। আমরা এ অত্যাচারের প্রতিবাদ জানাই। এছাড়া অন্যান্য আন্দোলনকারীদের উপর যে হামলা হয়েছে তার বিচার জানাই। একই সাথে গ্রেফতারকৃতদের মুক্তির দাবি জানাই।
রাফি আরো জানান, আমরা রাশেদ খাঁনের মুক্তির দাবিতে গত বৃহস্পতিবার ক্লাস বর্জন করেছিলাম। আজ সকালেও ক্লাস বর্জন করেছি।
প্রসঙ্গত, গত ৩০ জুন ঢাবির কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে কোটা সংস্কার আন্দোলনের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করতে গিয়ে হামলার শিকার হন আন্দোলনকারীরা। হামলার প্রতিবাদে ২ জুলাই বিক্ষোভ মিছিল করতে এসেও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আবার হামলার শিকার হন তারা। এ সময় ছাত্রী নির্যাতনের অভিযোগ উঠে। এ নিয়ে দুইদিনে তাদের প্রায় ১৫ জনের মতো আহত হন। এছাড়া অনেকেই গ্রেফতার হন। আন্দোলনকারীরা অভিযোগ করেন, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় এবং বহিরাগতরা তাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। যদিও ছাত্রলীগ তা অস্বীকার করেছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন