ইসরাইলি বিমান ও হামাসের রকেট হামলা নিয়ে গাজা সীমান্তে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। ২০১৪ সালের গাজা যুদ্ধের পর এই প্রথম ইসরাইলি সেনারা ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়েছে। এতে দুই ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে অন্তত ১৪ জন। ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু আরো শক্ত পদক্ষেপ নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। খবর-বিবিসি, আলজাজিরা, আনাদলু, প্রেসটিভি।
খবরে বলা হয়েছে, শনিবার নেতানিয়াহু দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী এভিগডর লিবারম্যান ও চিফ অব স্টাফ গাদি এইনকট এবং সিকিউরিটি সার্ভিসের প্রধানদের সঙ্গে আলোচনার পর গাজায় আরো কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, অবরুদ্ধ গাজার বিভিন্ন স্থাপনায় বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী। আল-কাতিবা এলাকার একটি নির্মাণাধীন ভবনে বিমান হামলায় দুই ফিলিস্তিনি কিশোর নিহত হয়েছে। যাদের বয়স ১৫ ও ১৪ বছর। এ ছাড়া আহত হয়েছে অন্তত ১৪ জন।
ইসরাইলি সেনাবাহিনী দাবি করেছে, গাজা থেকে শতাধিক রকেট হামলা চালানো হয়েছে। এতে কয়েকজন ইসরাইলি সামান্য আহত হয়েছে।
গণমাধ্যমগুলো বলছে, ২০১৪ সালের পর শনিবার আবার ভয়াবহ বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। ওই সময়ের গাজা যুদ্ধে ইসরাইলি হামলায় ২২৫১ জন সাধারণ ফিলিস্তিনি নিহত হয়। আর ফিলিস্তিনিদের রকেট হামলায় ইসরাইলের ৬৬ জন সেনা নিহত হয়।
ইসরাইল বলছে, সর্বশেষ হামলায় অন্তত দুটি ভূগর্ভস্থ টানেল ধ্বংস করা হয়েছে।
তবে গাজা শাসনকারী হামাসের মুখপাত্র ফাওজি বারহুম লিখিত বিবৃতিতে বলেছেন, ইসরাইল ফিলিস্তিনি শিশুদের বেপরোয়াভাবে টার্গেট করছে এবং দুই শিশুকে হত্যা করেছে।
প্রসঙ্গত, গাজা সীমান্তে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনরত ফিলিস্তিনিদের ওপর গুলি চালালে শনিবার ২০ বছর বয়সী এক যুবকের মৃত্যু হলে সর্বশেষ উত্তেজনার সূত্রপাত হয়।
নিজেদের ভিটে-মাটি থেকে উচ্ছেদ হওয়া ফিলিস্তিনিদের ফেরত যাওয়ার অনুমতি এবং ১১ বছর ধরে গাজার ওপর আরোপিত অবরোধ প্রত্যাহারের দাবিতে গত ৩০ মার্চ থেকে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে আসছেন ফিলিস্তিনিরা। গাজা সীমান্তের এই কর্মসূচিতে ইসরাইলি সেনাদের গুলিতে ইতোমধ্যে ১৩৮ জন ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া এক লাখ ৬০ হাজারের বেশি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন