ঢাকার কেরানীগঞ্জে কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে একটি নির্মাণাধীন গেট ধসে ৭ শ্রমিক আহত হয়েছে। আহত শ্রমিকদের ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা হচ্ছে মাঈন উদ্দিন, মোঃ ফারুক, মোঃ হারুন, মোঃ সোহরাব হোসেন, মোঃ হাবিবুল, মোঃ রবিউল ও মোঃ রাজা মিয়া। আজ রবিবার সকালে শ্রমিকরা কাজ করার সময় এই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও দ্বায়িত্বরত কারা রক্ষীরাদের কাছ থেকে জানা যায়,মোমতাজ ইঞ্জিনিয়ারিং নামে একটি প্রতিষ্ঠানের সাব ঠিকাদার রানি আহমেদ নামে এক ব্যক্তি কেরানীগঞ্জের রাজেন্দ্রপুরে কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে একটি গেট নির্মাণের কাজ গত ২/৩মাসে পূর্বে শুরু করেন। গত বৃহস্পতিবার সে ওই গেটের ছাদ ঢালাই দেন। আজ রবিবার সকালে ওই গেটের উপর দুইটি বিম নির্মাণের কাজ শুরু করেন শ্রমিকেরা। কাজ করার সময় হঠাৎ গেটের ছাদটি বিকট শব্দ করে নীচে ধসে পড়ে যায়। এসময় ছাদের উপড়ে ও নীচে থাকা সাতজন শ্রমিক গুরুতরভাবে আহত হয়। খবর পেয়ে কারারক্ষী ও আশেপাশের লোকজন আহত শ্রমিকদের উদ্ধার করে দ্রুত রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করে।এদিকে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ঢাকা-৪জোনের একদল কর্মী ঘটনাস্থলে এসে ধসে যাওয়া ছাদের নীচে আরো শ্রমিক চাপা পড়েছে কিনা তা খুঁজে বের করার জন্য ছাদটি ভেঙ্গে ফেলার কাজ করছেন। ফায়ার সার্ভিস ঢাকা-৪জোনের উপসহকারী পরিচালক মানিককুজ্জামান জানান,আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে ছাদের নীচে আরো কোন শ্রমিক চাপা পড়েছে কিনা তাদের উদ্ধারের জন্য আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।গনপুর্তমন্ত্রনালয়ের ইঞ্জিনিয়ার কায়সার আহমেদ চৌধুরী জানান,ঠিকাদার রানি আহমেদকে আজকে ওই গেটে কাজ করার জন্য কোন প্রকার অনুমতি দেয়া হয়নি। সে নিজেনিজেই এই কাজটি করেছে। তাই এর সকল দ্বায়িত্ব তার উপরেই বর্তাবে।তবে ঠিকাদার রনি আহমেদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যায়নি। আমির হোসেন নামে এক শ্রমিক জানান,ইব্রাহিম নামে এক শ্রমিক সরদার তাদের ১৫জন শ্রমিককে রাজধানী ঢাকা থেকে টাকা দিয়ে কাজ করার জন্য ভাড়া নিয়ে এসেছে। ইব্রাহিম হচ্ছে ঠিকাদার রনি আহমেদের লোক। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তিরা জানান,কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে একটি গুরুত্বপুর্ন জায়গায় এই গেট নির্মাণের কাজটি খুবই নি¤œমানের হওয়ায় তা ভেঙ্গে পড়েছে।তদন্ত সাপেক্ষে দায়ীদের তারা শাস্তি দাবী করেন। অপরদিকে আইজি প্রিজন ব্রিগ্রেডিয়ার জেনারেল ইফতেখার আহমেদ দুপুর ২টায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এব্যাপারে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মাহবুব আলমের মোবাইল ফোনে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি তেঘরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী মোঃ জজ মিয়া এরধরনের গুরুত্বপুর্ন জায়গায় নিম্নমানের কাজের তীব্র নিন্দা জানান এবং দোষীদের শাস্তির দাবী জানান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন