সাতক্ষীরা এবং ময়মনসিংহে শনিবার দিবাগত রাতে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ তিনজন নিহত হয়েছেন। পুলিশের দাবি নিহতের মধ্যে দুজন মাদক ব্যবসায়ী এবং একজন ডাকাত। এসময় তিন এসআইসহ ৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে একটি ওয়ান শুটার গান, এক রাউন্ড গুলি ও বেশকিছু মাদকদ্রব্য। আমাদের সংবাদদাতা পাঠানো তথ্য নিয়ে ডেস্ক রিপোর্ট :
সাতক্ষীরা : সাতক্ষীরায় বন্দুকযুদ্ধে দুইজন নিহত হয়েছেন। পুলিশের দাবি তারা মাদক ব্যবসায়ী। গত শনিবার মধ্যরাতে সদর উপজেলার বাঁশদহা গ্রামের কয়ারবিল ব্রিজের পাশে এ ঘটনা ঘটে। উদ্ধার করা হয়েছে একটি ওয়ান শুটার গান, এক রাউন্ড গুলি ও বেশকিছু মাদকদ্রব্য। এ সময় আহত হয়েছেন ৫ পুলিশ সদস্য। গুলিতে নিহত মাদকব্যবসায়ীরা হলেন, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বাঁশদহা গ্রামের আব্দুল গণির ছেলে দেলোয়ার হোসেন (৩৮) ও কলারোয়া উপজেলার কেড়াগাছি গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে আবুল কালাম আজাদ (৪০)। তারা দুজনেই আন্তঃজেলা মাদকব্যবসায়ী বলে জানিয়েছে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলাও রয়েছে।
আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন, এসআই রিয়াদুল, এএসআই সুমন ,এএসআই মাজেদুল ও দুই কনস্টেবল রুবায়েত ও তুহিন। সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মারুফ আহমেদ জানান, শনিবার বিকালে মাদক ব্যবসায়ী দেলোয়ার ও আবুল কালামকে কিছু গাঁজা ও ফেনসিডিলসহ গোয়েন্দা পুলিশ বাঁশদহা বাজার থেকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদের সময় তারা স্বীকার করে যে রাতে মাদকের একটি বড় চালান ভারত থেকে আসবে। তাদেরকে নিয়ে মাদকের চালান উদ্ধারে যায় পুলিশ।
তিনি জানান, বাঁশদহার কয়ার বিল এলাকায় পৌঁছাতেই আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা তাদের সহযোগীরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে গুলি ছোড়ে। এ সময় পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। গোলাগুলির এক পর্যায়ে তাদের দুজনকে গুলিবিদ্ধ হয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায়। তাদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাদের মৃত ঘোষণা করেন। তাদের কাছ থেকে এ সময় একটি ওয়ান শুটার গান, ১ রাউন্ড গুলি ও বেশ কিছু মাদক দ্রব্য উদ্ধার করা হয়।
ময়মনসিংহ : ভালুকা উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্ধুকযুদ্ধে’ মুরাদ আকন্দ (৩০) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। পুলিশের দাবি মুরাদ একজন শীর্ষ সন্ত্রাসী ও ডাকাত সর্দার। গত শনিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে উপজেলার হাইজ্যাকের মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভালুকা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মনির হোসেন ও সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) সাইফুল ইসলাম আহত হয়েছেন।
ভালুকা মডেল থানার ওসি ফিরুজ তালুকদার জানান, গোপনে খবর পান হাইজ্যাকের মোড় এলাকায় কয়েকজন ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে। পরে সেখানে অভিযান চালালে ডাকাত দলের সদস্যরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এসময় পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি করে। গোলাগুলির এক পর্যায়ে ডাকাতরা পিছু হটলে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মুরাদকে পাওয়া যায়। তাকে চিকিৎসার জন্য দ্রæত ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মুরাদ ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ছিলেন। তার বিরুদ্ধে ৫টি ডাকাতির মামলা রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন