বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত ফার্নেস অয়েলসহ সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম সর্বনি¤œ পর্যায়ে পৌঁছেছে বিশ্ববাজারে। ফলে বিদ্যুতের উৎপাদন খরচ আগের চেয়ে অনেক কমেছে। এমন পরিস্থিতিতে বিদ্যুতের দাম না কমিয়ে বাড়ানোর চিন্তা-ভাবনা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, কোনো যুক্তিতেই বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর সুযোগ নেই। বরং দাম কমানোর ঘোষণা দেওয়া উচিত। জানা গেছে, এরই মধ্যে গ্যাসের দাম বৃদ্ধির সুপারিশ করেছে বিতরণ কোম্পানিগুলো। এটা যদি করা হয় তাহলে শিল্পে উৎপাদন খরচ বাড়বে। জিনিসপত্রের দামও বেড়ে যাবে। শুধু তাই নয়, সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয়ও বাড়বে। সুতরাং সরকারের কাছে আমাদের অনুরোধ এই যে, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের বিল বাড়াবেন না।
লিয়াকত হোসেন খোকন
রূপনগর, ঢাকা।
স্কুলে মনোবিজ্ঞান শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া প্রসঙ্গে
সরকার দেশের প্রতিটি স্কুলে একজন করে মনোবিজ্ঞান শিক্ষক নিয়োগ দেবে বলে সম্প্রতি শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ জানিয়েছেন। সংবাদটি নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। মনোবিজ্ঞানী স্কুলে থাকলে শিক্ষার্থীরা অনেকভাবে উপকৃত হবে। বিশেষ করে যেভাবে কিশোর অপরাধসহ নানা সমস্যা সমাজে তথা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে পরিলক্ষিত হচ্ছে, তাতে কিছুটাও হলেও এর প্রকোপ কমবে। মন্ত্রী মহোদয় অবশ্য বলেছেন যে, ইভটিজিংসহ বিভিন্ন কিশোর অপরাধ প্রশমনে মনোবিজ্ঞানীরা ভূমিকা রাখতে পারবেন। এক্ষেত্রে কাউন্সিলিংয়ের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বয়ঃসন্ধিকালীন অস্থিরতা দূর করতেও মনোবিজ্ঞান শিক্ষকরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন। তিনি আরো বলেছেন, শারীরিক ও মানসিক সুষ্ঠু বিকাশের মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থীর পড়ালেখায় মনোযোগী করতে ডিগ্রিপ্রাপ্ত প্রফেশনাল মনোবিজ্ঞানী পাওয়া না গেলে সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট স্কুলেরই কর্মরত একজন শিক্ষককে এ বিষয়ে প্রশিক্ষিত করে আপাতত মনোবিজ্ঞান শিক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হবে। এ ব্যাপারে প্রতিটি স্কুল থেকে কর্মরত শিক্ষকদের মধ্য থেকে ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাবে বলে মনে করি। পরিশেষে, দেশের প্রতিটি স্কুলে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরে আসুকÑ এ কামনাই করি।
মো. শহীদুর রহমান
সহকারী শিক্ষক
বারাজান এসসি উচ্চবিদ্যালয়, কালীগঞ্জ, লালমনিরহাট
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নি¤œ আয়ের কর্মচারীদের আবাসন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীরা বরাবরই যথাযথ আবাসন সুবিধা থেকে বঞ্চিত। বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় কর্মচারীদের বসবাসের জন্য সীমিত আকারে যে আবাসিক ভবন রয়েছে তাও কবুতরের খোঁপ। যেখানে পরিবার-পরিজন নিয়ে কর্মচারীরা গাদাগাদি করে বসবাস করে। নি¤œ আয়ের কর্মচারীদের বাইরে বাসা ভাড়া নেওয়া সামর্থ্যে কুলায় না। তাই বাধ্য হয়ে তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যেখানে খালি জায়গা রয়েছে সেখানেই নিজ খরচে আবাসন গড়ে তোলে। তেমনি একটি জায়গা গ্রিন রোডের আমবাগান এলাকা। কিছু দিন আগে একটি দৈনিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক এলাকা আমবাগান নিয়ে ‘ঢাবির জমিতে কর্মচারীদের রমরমা ঘরভাড়া ব্যবসা’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল। এতে কর্মচারীদের বসবাসের করুণ চিত্র যেমন ফুটে উঠেছে, তেমনি তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে ঘর ভাড়া বাণিজ্যেরও। অতিরিক্ত ভাড়া দেওয়ার কারণে এলাকার পরিবেশ অস্বাস্থ্যকর এবং ঘিঞ্জি হয়ে পড়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আমবাগানের এই আবাসিক এলাকার ব্যাপারে বেশ কয়েকবার মাননীয় উপাচার্য মহোদয়ের নজরে আনা হয়েছে। শোনা যাচ্ছে, এখানে শিক্ষকদের আবাসন, ছাত্রদের আবাসিক হল ও বাণিজ্যিক ভবন তৈরি করা হবে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে এখানে বসবাসরত কর্মচারীদের উচ্ছেদ করার কথা উঠেছে। তাহলে তারা যাবে কোথায়? পরিশেষে, আমবাগান আবাসিক এলাকায় বসবাসকারী নি¤œ আয়ের কর্মচারীরা যাতে ঘরভাড়া বাণিজ্য ত্যাগ করে সুস্থ ও সুন্দর খোলামেলা পরিবেশে বসবাস করতে পারে সে ব্যাপারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ কামনা করি।
রতন কুমার প্রসাদ
আমবাগান, গ্রিন রোড, ঢাকা।
টেলিটকের নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ জরুরি
টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন একটি টেলিযোগাযোগ কোম্পানি। বর্তমানে আমাদের দেশে টেলিটক ছাড়া আরো পাঁচটি মোবাইল ফোন অপারেটর রয়েছে। তারা প্রত্যেকেই খুব প্রভাবশালী। আমাদের দেশের অধিকাংশ গ্রাহকই বিদেশি মালিকানাধীন কোম্পানির সিমকার্ড ব্যবহার করেন। যার কারণ একটাই যেসব জায়গায় তাদের নেটওয়ার্ক পাওয়া যায়। টেলিটক যদি তাদের নেটওয়ার্ক দেশের সর্বত্র ছড়িয়ে দেয় তাহলে সবাই এই রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সিমকার্ড ব্যবহার করবে। যার ফলাফলস্বরূপ টেলিযোগাযোগ মাধ্যম থেকে পাওয়া লাভের যে অংশ বিদেশি কোম্পানি পেয়ে থাকে সেই লাভের পুরোটা পাবে রাষ্ট্র। সুতরাং আশা করি, দেশের টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির কথা মাথায় রেখে টেলিটকের নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের দিকে সরকার সদয় দৃষ্টি দেবে।
মো. নিজাম উদ্দিন
ইংরেজি অনার্স (১ম বর্ষ)
মৌলভীবাজার সরকারি কলেজ, মৌলভীবাজার।
ড্রাগ লাইসেন্স ও শিক্ষিত বেকার
বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে ওষুধ ব্যবসা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। এই ওষুধ ব্যবসার পূর্বশর্ত হলো ড্রাগ লাইসেন্স, যা গত ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৫ থেকে প্রদান বন্ধ। আমাদের দেশে প্রতিবছর শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা বাড়ছে কিন্তু সেই তুলনায় কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়ছে না। ওষুধ ব্যবসা সামাজিকভাবে ভালো অবস্থানে থাকায় শিক্ষিত বেকাররা এই ব্যবসার দিকে ঝুঁকছে। কিন্তু নতুন ড্রাগ লাইসেন্স গ্রহণের সুযোগ না থাকায় সেবামূলক কর্মসংস্থানের এই খাতটি বন্ধ হয়ে গেছে। তাছাড়া ফার্মাসিস্টের জন্য স্বল্পমেয়াদি যে কোর্স চালু ছিল সেটাও বর্তমানে বন্ধ করে রাখা হয়েছে। অথচ বাজার নজরদারি বাড়িয়ে নতুন ড্রাগ লাইসেন্স প্রদান পুনরায় চালু করলে যেমন শিক্ষিত বেকাররা কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবে, তেমনি সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আদায় থেকে বঞ্চিত হবে না।
রাজীব
শিক্ষিত বেকার, গোপালগঞ্জ।
চুনারুঘাটে বিদ্যুতের লোডশেডিং
গরম পড়ার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়েছে বিদ্যুতের ঘন ঘন আসা-যাওয়া। মাঝে মাঝে ঘোষণা দিয়েও কয়েক দিন ধরে উদযাপিত হয় লোডশেডিং উৎসব। একে স্বাভাবিক জীবনযাপনের একটা অংশ করে নিয়েছে চুনারুঘাটের সব শ্রেণির মানুষ। অফিস-আদালতের কাজ, পড়াশোনা, গৃহস্থালি কাজ ছাড়াও বিদ্যুৎনির্ভর বাসস্থানগুলোর আলো-বাতাস-পানি বন্ধ থাকার মতো অনাকাক্সিক্ষত ঘটনায় অভ্যস্ত হয়ে পড়ছেন ভুক্তভোগীরা। চুনারুঘাট উপজেলা সদর তথা চুনারুঘাট পৌরসভায় প্রায়ই দেখা যায়, বাসাবাড়ির লোকজন পানি সংগ্রহ করতে বালতি, কলসি, হাঁড়ি-পাতিল নিয়ে ছোটাছুটি করছেন। কল-কারখানা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে সমস্যার কথা বলাবাহুল্য। অথচ লোডশেডিং এড়ানোর জন্য গত বছর এখানে বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। এই উপকেন্দ্র স্থাপনের পর লোডশেডিংয়ের মাত্রা দিন দিন বাড়ছে। গরমে-ঘামে অপেক্ষায় অস্থির চুনারুঘাট উপজেলার মানুষ বিদ্যুতের অনবরত লোডশেডিং থেকে রেহাই পাবেন কবে, তা একমাত্র কর্তৃপক্ষই বলতে পারেন।
আশরাফুল ইসলাম
চুনারুঘাট, হবিগঞ্জ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন