রোববার, ১৬ জুন ২০২৪, ০২ আষাঢ় ১৪৩১, ০৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

দেশের ঋণমান স্থিতিশীল

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : | প্রকাশের সময় : ২৪ জুলাই, ২০১৮, ১২:০২ এএম

আন্তর্জাতিক তিনটি স্বনামধন্য ক্রেডিট রেটিং এজেন্সির মূল্যায়নে বাংলাদেশের ক্রেডিট রেটিং বা ঋণমানের ভবিষ্যৎকে স্থিতিশীল বলা হয়েছে। রেটিং এজেন্সি মুডিস, স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড পুওরস (এসঅ্যান্ডপি) এবং ফিচের সর্বশেষ ক্রেডিট রেটিং গত রোববার প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এজেন্সিগুলো বাংলাদেশের রেটিং আগের মতোই রেখেছে। মুডিসের রেটিং ‘বিএ৩’ এবং এসঅ্যান্ডপি ও ফিচের রেটিং ‘বি মাইনাস’। এগুলোর মান একই। সবচেয়ে বড় রেটিং হলো ‘১এএএ’ বা সর্বোচ্চ গ্রেড। বাংলাদেশের রেটিং হলো নি¤œমধ্যম গ্রেডের এবং এর আউটলুক বা ভবিষ্যতের জন্য আভাস হচ্ছে ‘স্থিতিশীল’।
কোনো দেশের ক্রেডিট রেটিং বিনিয়োগকারীদের সে দেশের সম্ভাবনা ও ঝুঁকি সম্পর্কে একটি ধারণা দেয়। ঋণমান হলো কোনো দেশের ঋণ পরিশোধের যোগ্যতা। ঋণমানের মূল্যায়ন থেকে কোনো দেশের রাজনৈতিক ঝুঁকিসহ সামগ্রিক ঝুঁকি সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।
বাংলাদেশ সম্পর্কে মোটাদাগে সংস্থাগুলোর মূল্যায়ন হলোÑ স্থিতিশীল আউটলুক মূলত শক্তিশালী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা, পরিমিত সরকারি ঋণ এবং সহজ শর্তের তহবিল পাওয়ার সুযোগের কারণে। আর চ্যালেঞ্জের মধ্যে রয়েছে স্বল্পমাত্রার রাজস্ব আয়, ব্যাংক খাতের দুর্বলতা, অবকাঠামো উন্নয়নে ঘাটতি প্রভৃতি। রাজনৈতিক ঝুঁকির মধ্যে আগামী জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার ঝুঁকি দেখছে সংস্থাগুলো।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মুডিস এ নিয়ে টানা নয় বছর বাংলাদেশের ক্রেডিট রেটিং ‘বিএ৩’ এবং আউটলুক ‘স্থিতিশীল’ রাখল। তাদের মূল্যায়নে বলা হয়েছে, তারা আশা করে, তৈরি পোশাক রফতানিনির্ভর অর্থনৈতিক কার্যক্রম চলমান থাকবে। সরকারের ঋণের বোঝা তুলনামূলক কম ও স্থিতিশীল থাকবে। তবে নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন না করায় রাজস্ব আয় স্বল্পমাত্রারই থাকবে। রাজস্ব ঘাটতি এবং প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতার অভাবে ভৌত ও সামাজিক অবকাঠামোর উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হবে। আগামী নির্বাচন অর্থনীতিতে বড় কোনো আঘাত হানবে না- এমন ধারণা থেকে তারা বিনিয়োগ পরিবেশের উন্নতি আশা করেছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন