শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নিবন্ধ

চিঠিপত্র : পৌরসভা নির্বাচনের আগে ও পরে

প্রকাশের সময় : ১৮ এপ্রিল, ২০১৬, ১২:০০ এএম

টাঙ্গাইল জেলা সদরের কাগমারী ব্রিজের পাশে আছে বিশাল এলাকাজুড়ে পৌর এলাকার ময়লার ভাগাড়। মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং মুহাম্মদ আলী কলেজগামী ছাত্রছাত্রীসহ এলাকাবাসীকে বছরের পুরোটা সময় এর তীব্র উৎকট গন্ধ সহ্য করতে হয়। গত ৩০ ডিসেম্বর পৌরসভা নির্বাচনের প্রায় এক মাস আগে দেখি কোনো দুর্গন্ধ নেই। বুঝলাম একমাত্র নির্বাচনই পৌরপিতার টনক নড়াতে পেরেছে। কেমিক্যাল ছিটানোর ফলে কোনো দুর্গন্ধ আসছে না। সঙ্গে কাগমারী মোড়ের দুর্দশাগ্রস্ত রাস্তা তড়িঘড়ি ইট-সুড়কি দিয়ে মেরামত করা হয়। জীর্ণ লাইটগুলো জ্বলে ওঠে পুরোদমে। সেই আলোয় জনপ্রতিনিধির প্রশংসায় সরগরম হয়ে ওঠে চায়ের টংগুলো। অতঃপর পৌরসভা নির্বাচন শেষ। ময়লার ভাগাড় আবার তার দুর্গন্ধময় পরিবেশ ফিরিয়ে এনেছে। ত্বরিত সংস্কারে দেয়া ইট-সুড়কিগুলো সরে গিয়ে গর্তগুলো আগের মতোই জেগে উঠেছে এবং চায়ের টংগুলোও আস্তে আস্তে ঘুমোতে শুরু করেছে। কারণ পৌরপিতা নির্বাচিত হয়ে গেছেন। তার একটু ঘুম দরকার। তবু পৌরপিতার কাছে আমাদের আশার পারদটা সবসময় উপরের দিকে। তিনি শীঘ্রই যথাযথ ব্যবস্থা নেবেনÑ এই প্রত্যাশা।
ইহসান আজিজ, শিক্ষার্থী, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, টাঙ্গাইল।

পেনশনভোগীদের দুর্ভোগ ঘোচান
দেশ অনেক এগিয়ে গেলেও কমেনি পেনশনভোগীদের দুর্ভোগ। প্রত্যেক মাসের প্রথম সপ্তাহে হিসাবরক্ষণ অফিসে গেলেই দেখা যাবে বয়স্ক ব্যক্তিগণ কিভাবে হিসাবরক্ষণ অফিসের বারান্দায় সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বসে থেকে মাসিক পেনশন পাওয়ার অপেক্ষা করতে থাকেন। সরকারের সকল মন্ত্রণালয়, দপ্তর, বিভাগ, অফিস, প্রতিষ্ঠানের হাজার হাজার অবসরভোগী রয়েছেন। যারা প্রতি মাসের প্রথম সপ্তাহে মাসিক পেনশন গ্রহণের জন্য হিসাবরক্ষণ অফিসের বারান্দায় জমায়েত হন তাদের অবস্থা নিজের চোখে না দেখলে অনুমান করা কঠিন- তারা কতটা কষ্ট ভোগ করে মাসিক পেনশন তোলেন। সরকারি যে যে নিয়ম ও দিকনির্দেশনা অনুসরণে হিসাবরক্ষণ অফিসগুলো পেনশন প্রদানের ব্যবস্থা করে থাকে ঠিক একই নিয়ম অনুসরণে পেনশনভোগীদের শেষ কর্মস্থলের অফিস প্রধানগণ পেনশন প্রদানের ব্যবস্থা করতে পারেন। পরিশেষে বয়োজ্যেষ্ঠ নাগরিকদের দুর্ভোগ ঘোচাতে বিষয়টি সদয় বিচেনার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
মোঃ শাহ আলম, গ্রাম ও ডাকঘর ঃ ভৈরবপুর, কিশোরগঞ্জ।

রংপুরে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রয়োজন
উত্তরাঞ্চলে কৃষির উন্নয়ন ও কৃষি শিক্ষার মান উন্নয়নে একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন। এ অঞ্চলের অধিকাংশ মানুষের জীবিকা কৃষিকাজ। ধান ও অন্যান্য ফসল উৎপাদনে এই অঞ্চলের মাটি অত্যন্ত উপযোগী। দিনাজপুরের ধান, রংপুরের পাট, পীরগঞ্জের কলা ও পঞ্চগরের লিচুসহ অন্যান্য ফসলের তুলনা হয় না। তাছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনের কথা মাথায় রেখে দেশের উত্তরাঞ্চলের কৃষিব্যবস্থা ও কৃষিশিক্ষাকে অধিক গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন। দেশের উত্তরাঞ্চলের মানুষ কৃষিকাজকে অন্যান্য পেশা থেকেও অনেক ভালো মনে করে। চাহিদা ও উপযোগিতা কাজে লাগাতে এবং কৃষিশিক্ষা ও কৃষিকাজের মান বাড়াতে একটি পূর্ণাঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় চায় এই অঞ্চলের সচেতন মানুষ। বিশেষ করে এখানকার পীরগঞ্জে নীল দরিয়া নামক স্থানে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য পর্যাপ্ত জায়গা রয়েছে যা পুরাকীর্তি সমৃদ্ধ ও দর্শনীয় একটি স্থান। এই অঞ্চলটি দিনাজপুর ও গাইবান্ধা জেলার প্রান্ত সংলগ্ন হওয়ায় লাখ লাখ শিক্ষার্থী যানজটমুক্ত গ্রামীণ ও মনোরম পরিবেশে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাবে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
মো. নুর আলম, চতরা, পীরগঞ্জ, রংপুর।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন