আগামীকাল রোববারের মধ্যে আরো ৭% হজযাত্রী রিপ্লেসমেন্ট দেয়ার দাবী জানিয়েছে বাংলাদেশ হজযাত্রী ও হাজী কল্যাণ পরিষদ। অপেক্ষমান ৫ হাজার হজযাত্রী’র হজে যাওয়ার লক্ষ্যেই ৭% হজযাত্রী রিপ্লেসমেন্ট অনুমোদন দিতে হবে। রিপ্লেসমেন্টের যৌক্তিক দাবী পূরণ না করায় সউদী আরবে হজের যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করার পরেও অপেক্ষমান ৫ হাজার হজযাত্রী হজে যেতে পারছেন না। ফলে হজযাত্রীর অভাবে গতকাল শুক্রবার বিমানের দু’টি হজ ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। বাংলাদেশে হজযাত্রী ও হাজী কল্যাণ পরিষদের সভাপতি এডভোকেট আলহাজ ড. আব্দুল্লাহ আল-নাসের গতকাল শুক্রবার স্থানীয় একটি হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন। প্রত্যেক এজেন্সি তাদের মোট হজযাত্রীর মধ্যে সর্বোচ্চ আট শতাংশকে ওই নিয়ম মেনে রিপ্লেসমেন্ট করছে গতকাল বিকেল ৫টা পর্যন্ত। বাংলাদেশ হজযাত্রী ও হাজী কল্যাণ পরিষদ ও হাব ওলামা সোসাইটি’র যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, হাব ওলামা সোসাইটি’র সহ-সভাপতি মাওলানা তাজুল ইসলাম আশরাফী, হাবের ইসি’র অন্যতম সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: তাজুল ইসলাম, মাওলানা মোজাম্মেল হোসেন, মুফতী হেদায়েত উল্লাহ হাদী, হজযাত্রী ও হাজী কল্যাণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ আব্দুল বাতেন, কামরুজ্জামান ও হজ গাইড ওয়েলফেয়ার সোসাইটি’র সভাপতি আলহাজ হারুন উর রশিদ।
ড. আব্দুল্লাহ আল নাসের বলেন, হজের জন্য প্রাক নিবন্ধন করা হয়েছে প্রায় দেড় বছর আগে। নিবন্ধিত হওয়ার পরও অনেক হজযাত্রী শারীরিক বা আর্থিক সমস্যা কিংবা অন্য কারণে হজে যেতে পারছেন না। আবার সরকার হজযাত্রী রিপ্লেসমেন্টের সীমা বেঁধে দেয়ায় সেই শূনস্থান পূরণ হচ্ছে না। বিমানের হজের টিকেট অবিক্রিত থাকার এটাও একটা কারণ। এবার ৮% হজযাত্রী রিপ্লেসমেন্ট দেয়া হয়েছে মাত্র। গত বছর সর্বমোট ১৫% হজযাত্রী রিপ্লেসমেন্ট দেয়া হয়েছিল। তিনি প্রতি বছর ১০ % থেকে ১৫% হজযাত্রী রিপ্লেসমেন্টের ব্যবস্থা চালু রাখতে জোর দাবী জানান। এর ফলে হজ ফ্লাইট আর খালি যাবে না অথবা বাতিল করতে হবে না।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন