চলনবিলের উপজেলাগুলোতে কমবয়সী শিশু শ্রমিকের সংখা উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। সরকারি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং এনজিওদের চালুকৃত গণশিক্ষা কেন্দ্রগুলোতে আপাতত ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও অনেক শিশু লেখাপড়া ছেড়ে পেশাভিত্তিক কাজেই বেশি ঝুঁকে পড়েছে। রিকশা-ভ্যান, চালিয়ে, রাজমিস্ত্রী, কাঠমিস্ত্রী, লেদ ওয়েল্ডিংয়ে, পান-বিড়ি দোকানে, হোটেলে, রেস্টুরেন্টে, ইটভাটায়, দর্জির দোকানে শ্রম দিয়ে উপার্জন করে পরিবার চালায়। শিক্ষিত, অর্ধ-শিক্ষিত, বেকার যুবক-যুবতি অপেক্ষাকৃত এ সব উপার্জনক্ষম শিশুশ্রমিকদের সামাজিক মর্যাদাও কম। আস্তে আস্তে বয়স বাড়ার সাথে সাথে দক্ষতাও বাড়ে। একদিন পরিণত হয় দক্ষ শ্রমিক হিসেবে। চলনবিলের চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া, ফরিদপুর, গুরুদাসপুর, তাড়াশ, রায়গঞ্জ, সিংড়া, উলাপাড়া, শাহাজাদপুর, উপজেলার প্রতিটি হাটে ঘাটে, ইটভাটায়, লেদ ওয়েল্ডিং, রাজমিস্ত্রী, কাঠমিস্ত্রী, পান-বিড়ি দোকানে হোটেলে, রেস্টুরেন্টে, প্রভৃতি স্থানে তারা শ্রম দিয়ে অর্থ উপার্জন করে। অধিকাংশ বাবা-মা ছেলেমেয়েদের শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে চাইলেও পারিপার্শ্বিক অবস্থার চাপে এবং নিজের আর্থিক অসচ্ছলতার কারণেও শিশুদের উপার্জনকে সহায়ক শক্তি মনে করেন। অষ্টম শ্রেণি পাস সার্টিফিটেই তাদের বেশি প্রয়োজন। যে বয়সে শিশুদের বইখাতা নিয়ে বিদ্যালয়ে যাওয়ার কথা, সেই বয়সের শিশুদের অন্যের দোকানে কমদামে শ্রম বিক্রি করে সংসারের হাল ধরতে দেখা যাচ্ছে। তাদের ভাষা ‘বড় পড়া’ পড়ে লাভ কি, এ মনোভাবে ও আর্থিক অনটনেই শিশুশ্রমিকের সংখ্যা বাড়ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন