চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কের রাউজান অংশে বড় গর্ত চলাচলে ঝুঁকি আর বেহাল অবস্থা। সরেজমিন পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়, চুয়েট হতে পাহাড়তলি-চৌমহনী বাজারের পশ্চিম পাশ পর্যন্ত আধা-কিলোমিটার সড়কে কয়েক শ’ ছোট বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সড়কে চলাচলকৃত বিভিন্ন যানবাহন ঝুঁকি নিয়ে চলছে। একেকটি গর্ত যেন মিনি পুকুর সমান। পাহাড়তলি-চৌমহুনী এলাকাটি রাউজানের দক্ষিণাংশের বৃহৎ জনসমাগম এলাকা হিসেবে পরিচিত। কিন্তু সড়কের বেহাল অবস্থা দেখে বোঝাই মুশকিল এটি কি সড়ক না জলাশয়। পাহাড়তলি এলাকায় চুয়েটের মতো প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, ৪২০ মেগাওয়াট সম্পন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্র, সহকারী পুলিশ সুপারের কার্যালয়, কলেজ-স্কুল, বাজার, ব্যাংক-বীমাসহ যাবতীয় কাজে হাজার হাজার মানুষের পদচারণায় মুখর থাকে এ এলাকাটি। আর এখানে হাজার হাজার মানুষের যন্ত্রণার শেষ নেই। সড়কের এক পাশ থেকে অন্য পাশে যাওয়ায় মুশকিল। ছোট-বড় গর্ত কিংবা গাড়ি দ্রুত চালাতে গিয়ে গর্তে পড়ে কাদাপানি চিটকে দিচ্ছে পথচারী কিংবা স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীদের। সড়কে গর্তের কারণে ব্যবসায়ীরাও অতিষ্ঠ।
ব্যস্ততম কাপ্তাই সড়কের বেহাল অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে এক পথচারী জানান, সড়ক নিচু, নতুন করে বড় বড় তৈরি করা ভবনগুলো উঁচু, যার কারণে সমস্ত পানি জমে থাকে সড়কে, এতে যানবাহনের ভারে রাস্তা দ্রুত গর্ত হয়ে যায়। ওই এলাকার স্থানীয় সাংবাদিক গাজী জয়নালের মতে, সড়কে মাটি ভরাট করে উঁচু করলেই পানি নিষ্কাশন সহজে হতে পারে। আর এটি করলে রাস্তা সহজে ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। এ ব্যাপারে সওজের চট্টগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী জুলফিকার আলী চট্টগ্রাম ওয়াসাকে দায়ী করে বলেন, তাদের সাথে চুক্তি ছিল কাপ্তাই সড়কের পানির পাইপলাইন যতটুকু যাবে তার ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক ওয়াসাই ঠিক করে দেবে। কিন্তু ওয়াসা কেন করছে না তারাই ভালো বলতে পারবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন