ঢাকার কুর্মিটোলায় সড়ক দুর্ঘটনায় দুই শিক্ষার্থী মারা যাওয়ার ঘটনায় গত সাতদিন ধরে মাঠে ছিল ঢাকার বিভিন্ন শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। নিরাপদ সড়কের দাবিতে এই আন্দোলন ছিল ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন।
কিন্তু জিগাতলায় স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শনিবার (৪ আগস্ট) দফায় দফায় সংঘর্ষের পরিপ্রেক্ষিতে ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা রোববার তেমন নামেনি। তবে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে রোববার সকাল থেকে মাঠে নেমেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এর ফলে ছোটদের হাতে গড়ে ওঠা এই আন্দোলন এখন পরিণত হয়েছে বড়দের আন্দোলন।
জিগাতলায় ছাত্রদের ওপর হামলার বিচার ও নৌমন্ত্রীর পদত্যাগ এবং নিরাপদ সড়কের দাবিতে রোববার সকালে শাহবাগ অবরোধ করে রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এরপর তারা জড়ো সায়েন্সল্যাব-জিগাতলার দিকে যান। এ সময় পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে বুয়েটের শিক্ষার্থীরাও।
দুপুর ১টার দিকে শাহবাগ থেকে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে জিগাতলার দিকে যায়। এ সময় পুলিশ তাদের থামাতে ব্যারিকেড দিয়ে রাখে। শিক্ষার্থীরা ব্যারিকেড সরাতে গেলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তখন জিগাতলা বাসস্ট্যান্ডের সামনে পুলিশ তাদের ওপর টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরে শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে শাহবাগের দিকে রওয়ানা হয়।
এ সময় বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়।
এদিকে রামপুরা এলাকার রাস্তায় নেমেছেন বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা বিভিন্ন স্লোগানে রামপুরার সড়ক অবরোধ করেন। এর কিছুক্ষণ পরই শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার চেষ্টা চালালে সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষের একপর্যায়ে হামলাকারীরা পিছু হটে।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, স্থানীয় আওয়ামী লীগ-যুবলীগ নেতাকর্মীরাই হামলায় জড়িত।
মহাখালীতে নেমেছে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তারা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার সামনে অবস্থান নিয়ে যানচলাচল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন