ভাসানচরের অদূরে বঙ্গোপসাগরে গমবোঝাই একটি লাইটার জাহাজ ডুবে গেছে। এ ঘটনার পর জাহাজের সাতজন নাবিক-শ্রমিককে উদ্ধার করা গেলেও এখনো নিখোঁজ রয়েছে সাতজন। গতকাল সোমবার দিনগত রাত আড়াইটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। তাঁদের উদ্ধারে একটি জাহাজ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
ডুবে যাওয়া জাহাজটির নাম ‘এমভি পাটগাটি-২’। গম বোঝাই অবস্থায় এটি গতকাল রাত একটার দিকে কর্ণফুলী নদী থেকে নারায়ণগঞ্জের উদ্দেশে রওনা হয়।
উদ্ধার হওয়া নাবিক মো. নুরউদ্দিন মোবাইলে দুর্ঘটনাস্থল থেকে জানান, রওনা হওয়ার প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর সন্দ্বীপ ও ভাসানচরের মাঝামাঝি সাগরে আরেকটি জাহাজের সঙ্গে তাদের জাহাজের প্রচণ্ড ধাক্কা লাগে। এতে তাদের জাহাজটিতে ফুটো হয়ে পানি ঢুকতে শুরু করে। সাগর তখন উত্তাল। জাহাজটি ডুবতে থাকায় ১৪ জন নাবিক-শ্রমিকের সবাই লাইফ বয়া নিয়ে সাগরে ঝাঁপ দেন। তিনিসহ তিনজন কাছাকাছি থাকা এমভি আবদুল্লাহ আল আসিফ-১০ জাহাজে ওঠে রক্ষা পান। আরও তিনজন নাবিক একটি ট্রলারে এবং একজন আরেকটি জাহাজে ওঠেন। জাহাজে থাকা আরও সাতজনের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।’
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) জানায়, এমভি আবদুল্লাহ আল আসিফ-১০ জাহাজের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে তলা ফেটে ডুবে যায় ‘এমভি পাটগাটি-২’ জাহাজটি। জাহাজটিতে ১ হাজার ১০০ টন গম ছিল।
বিআইডব্লিউটিএ এর উপপরিচালক মো. সেলিম আজ সকালে জানান, নিখোঁজ নাবিকদের উদ্ধারে নৌবাহিনীর একটি জাহাজ এখন দুর্ঘটনাস্থলের আশপাশে সন্ধান চালাচ্ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন