বুধবার ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

বঙ্গোপসাগরে ক্লিংকারবাহী লাইটার জাহাজ ডুবি

১৩ নাবিক উদ্ধার

চট্টগ্রাম ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ১২:০১ এএম

সংঘর্ষের পর সিমেন্ট ক্লিংকারবাহী একটি লাইটার জাহাজ বঙ্গোপসাগরে ডুবে গেছে। গতকাল (রোববার) সাগরের ভাসানচরের এক নম্বর বয়া থেকে প্রায় এক কিলোমিটার পশ্চিমে নোয়াখালীর ঠেঙ্গারচরের কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে বিআইডব্লিউটিসি। বিআইডব্লিউটিসির উপ-পরিচালক মো. সেলিম জানান, চট্টগ্রাম থেকে দেড় হাজার টন সিমেন্ট ক্লিংকার নিয়ে ‘এসকে ফারদিন’ নামের লাইটার জাহাজটি নারায়ণগঞ্জে যাচ্ছিল। ঠেঙ্গারচরের কাছে সাগরে বসুন্ধরা-২৭ নামে আরেকটি লাইটার জাহাজের সঙ্গে সংঘর্ষ হলে এসকে ফারদিন আংশিক ডুবে যায়। পেছনের কিছু অংশ ছাড়া জাহাজটির বেশিরভাগ পানিতে তলিয়ে গেছে জানিয়ে বিআইডব্লিউটিসি কর্মকর্তা সেলিম বলেন, ওই জাহাজের ১৩ জন নাবিকের সবাইকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। জাহাজের মাস্টার জানিয়েছেন- বসুন্ধরা গ্রুপের জাহাজ বসুন্ধরা-২৭ এর সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে। এরপর এসকে ফারদিন ডুবে যেতে থাকে। তবে বসুন্ধরা-২৭ জাহাজের কোন বক্তব্য পায়নি বিআইডব্লিউটিসি। জানা যায়, কর্ণফুলী নদীর ১৮ নম্বর ঘাট থেকে সিমেন্ট ক্লিঙ্কার নিয়ে জাহাজটি নারায়ণগঞ্জ যাচ্ছিল। স্নদ্বীপের পশ্চিমে ভাসানচর-১ বয়া থেকে ১ নটিক্যাল মাইল দূরে ঠেঙ্গারচরের কাছে দুর্ঘটনা ঘটে।
জাহাজটি ডুবে যাবে বুঝতে পেরে দ্রুত সেটিকে ঠেঙ্গারচরের কাছাকাছি নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে ১৩ জন নাবিক অন্য জাহাজে উঠে যান। আস্তে আস্তে জাহাজটি প্রায় পুরোপুরি ডুবে গেছে। বিআইডব্লিউটিএ’র কর্মকর্তা মো. সেলিম জানিয়েছেন- দুর্ঘটনা হলেও ওই রুট দিয়ে জাহাজ চলাচলে কোন সমস্যা নেই। দুর্ঘটনাস্থল চিহ্নিত করে দেওয়া হয়েছে। জাহাজটি উদ্ধারের জন্য মালিককে চিঠি দেওয়া হচ্ছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন