পাবনার চাটমোহর উপজেলার অধিকাংশ সড়কের এখন বেহাল অবস্থা। উপজেলার ১১ ইউনিয়নের সাথে উপজেলা সংযুক্ত সব সড়কই ভেঙে গেছে। সামান্য বৃষ্টিতেই এসব ভাঙাচোরা সড়কে পানি জমে অচলাবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে।
চাটমোহর পৌরসভার প্রধান সড়কটিরও বেহাল দশা। এলজিইডির আওতাভুক্ত গ্রামীণ কাঁচা ও পাকা সড়কের অধিকাংশই রক্ষণাবেক্ষণ ও সংস্কারের অভাবে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধীনে পাবনার চাটমোহর-ফরিদপুর, চাটমোহর-হান্ডিয়াল-মান্নাননগর, চাটমোহর-হরিপুর, চাটমোহর-পার্শ্বডাঙ্গা, চাটমোহর-ছাইকোলা-কাছিকাটা, চাটমোহর পৌরসভার সড়কের বেহাল দশা।
অসংখ্য খানাখন্দে পরিপূর্ণ সড়কগুলো যেন ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। চাটমোহর-ছাইকোলা সড়কের রামনগরে বড়াল নদীর উপর সেতু নির্মাণে ধীরগতির কারণে বেড়েছে জনদুর্ভোগ।
সরেজমিন দেখা গেছে, উপজেলার সঙ্গে সংযুক্ত সব সড়কই ভেঙে গেছে। ইউনিয়ন পর্যায়ের গ্রামীণ সড়ক ও মাটির রাস্তাগুলোরও বেহাল অবস্থা। গ্রামীণ সড়কগুলোর সবই এলজিইডির এবং উপজেলা থেকে মহাসড়কের সঙ্গে সংযুক্ত সড়কগুলো সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের অধীনে বলে জানা গেছে। গ্রামীণ কাঁচা-পাকা সড়কের অধিকাংশই ভাঙাচোরা। দীর্ঘদিন এসব সড়ক সংস্কার না করায় চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। সংশ্লিষ্ট দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গ্রামীণ অধিকাংশই রাস্তাই মেরামত করা হচ্ছে। এসব সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ এবং সংস্কার করার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের। কিন্তু তারা ফান্ডের অভাবে এগুলো মেরামত করতে পারছে না।
তাছাড়া সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধীনে কিছু সড়কের বেহাল দশা। একটানা বৃষ্টিতে অনেক সড়ক-মহাসড়ক মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তহবিল হাতে থাকা সাপেক্ষে পর্যায়ক্রমে সড়কের মেরামত করা হচ্ছে। এদিকে প্রথম শ্রেণির পৌরসভা চাটমোহর। কিন্তু সুফল পাচ্ছে না পৌরবাসী। এ পৌরসভার অধিকাংশ সড়কের বেহাল দশা।
পৌরসভাগুলোর কর্মকর্তাগণ বলেছেন, তাদের অকেজো সড়ক মেরামতের জন্য পর্যাপ্ত ফান্ড নেই। স্থানীয় আয় দিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দিতেই তারা হিমশিম খাচ্ছে। তাদের হাতে রাস্তার সমস্যা সমাধানের জন্য কোনো তহবিল নেই।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন