শুক্রবার, ২৪ মে ২০২৪, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৫ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

১৫ আগস্ট সুনির্দিষ্ট কোনো হুমকি নেই : ডিএমপি কমিশনার

হোটেল ওলিওর ঘটনায় ১৪ জন গ্রেফতার, ১০ জনের স্বীকারোক্তি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৫ আগস্ট, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের নিরাপত্তায় সুনির্দিষ্ট কোনো হুমকি নেই বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া। তিনি বলেন, পুলিশ নিরাপত্তার জন্য কোন আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছে না। যার কারণে রাজধানীজুড়ে দৃশ্যমান ও অদৃশ্য কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। গতকাল ধানমন্ডির ৩২ নম্বর এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ শেষে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এদিকে গত বছর শোক দিবসের প্রাক্কলে পান্থপথের হোটেল ওলিওর ঘটনায় ১৪ জনকে গ্রেফতার করেছে। যাদের মধ্যে ১০ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে বলে কমিশনার জানান। ডিএমপি কমিশনার বলেন, ১৫ আগস্ট উপলক্ষ্যে ডিএমপির পক্ষ থেকে ব্যাপক সমন্বিত সুদৃঢ় নিরাপত্তা ব্যবস্থা হাতে নেয়া হয়েছে। ৩২ নম্বর ও আশপাশের এলাকায় কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থার পাশাপাশি পুরো এলাকা সিসিটিভির আওতায় আনা হয়েছে। প্রবেশ পথে আর্চওয়ের মধ্য দিয়ে তল্লাশি করে সবাইকে অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশ করতে হবে।
তিনি বলেন, ১৫ আগস্ট ঘিরে সুস্পষ্ট কোনো হুমকি নেই। তারপরেও আমরা কোনো আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছি না। একটি স্বার্থান্বেষী মহল সেই ১৯৭১ সাল থেকেই সক্রিয়। অতীতেও সেই স্বার্থান্বেষী মহলের অপতৎপরতা আমরা কঠোরভাবে দমন করেছি। এবারো কোন হুমকি না থাকা সত্তে¡ও গত এক সপ্তাহ ধরে রাজধানীজুড়ে ব্যাপক ব্লকরেইড ও তল্লাশি চলছে। নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কার কোন কারণ নেই। সারা শহরে দৃশ্যমান এবং অদৃশ্য কঠোর নিরাপত্তা প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ধানমন্ডি ৩২ ও বনানী কবরস্থান এলাকা পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের মাধ্যমে সুইপিং করা হবে। ডিএমপি ও র‌্যাবের ডগ স্কোয়াডের মাধ্যমেও সুইপিং করা হবে। ৩২ নম্বরে পুলিশের কন্ট্রোল রুম থেকে সিসিটিভি ক্যামেরাগুলো রিয়েল টাইম মনিটরিং করা হবে।
গত বছর ১৫ আগস্ট শোক দিবসের প্রাক্কালে ধানমন্ডির ৩২ সংলগ্ন হোটেল ওলিওতে একটি জঙ্গি তৎপরতা নস্যাৎ করে দেয় পুলিশ। এ বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, জঙ্গিরা একেক সময় একেক নামে সামনে আসলেও এদের রুট আসলে একটাই। গত বছরের এ ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্ত শেষ পর্যায়ে। এ পর্যন্ত আমরা ১৪ জনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি। যার মধ্যে ১০ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। তাদের পরিকল্পনা ছিলো ১৫ আগস্ট ধানমন্ডির ৩২ এ শোক দিবসের অনুষ্ঠানে হামলা চালিয়ে আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা। কিন্তু আমাদের তৎপরতায় তাদের পরিকল্পনা নস্যাৎ করে দেওয়া সম্ভব হয়েছে।
গত এক সপ্তাহ ধরে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বøকরেইড চলছে। গতকালও দুই হাজার পুলিশ সদস্যদের সমন্বয়ে আগারগাঁও, ধানমন্ডির, হাজারীবাগ এলাকায় বøকরেইড চালানো হয়েছে। রাজধানীজুড়ে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, সকাল সাড়ে ৬টায় রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী পুস্পার্ঘ্য অর্পণের পর সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। জন সাধারণ রাসেল স্কয়ার হয়ে প্রবেশ করে পুস্পার্ঘ্য অর্পণ শেষে পশ্চিম পাশ দিয়ে বের হয়ে যাবেন। বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতির সামনে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে কেউ সেলফি তুলে সময় নষ্ট না করে অন্যকে শ্রদ্ধা নিবেদনের সুযোগ করে দেবেন।
তিনি আরও বলেন, শ্রদ্ধা নিবেদনে আসার সময় কেউ হ্যান্ডব্যাগ, ভ্যানিটিব্যাগ, ব্যাকপ্যাক, দাহ্য পদার্থ, ছুরি-কাঁচি বহন করতে পারবে না। চারপাশ দিয়ে প্রবেশের সময় তল্লাশি করা হবে, অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশের সময় আর্চওয়ের ভেতর দিয়ে যেতে হবে। অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তায় এসএসএফ দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়া বিভিন্ন মহল্লায় কাঙালি ভোজের আয়োজন করা হবে। সেসব স্থানের নিরাপত্তায় প্রয়োজনে আর্চওয়ের মাধ্যমে তল্লাশি করা হবে এবং সিসিটিভি বসানো হবে। অনুষ্ঠানে যে কোনো ত্রæটি এবং নাশকতা এড়াতে আয়োজকদের সঙ্গে সমন্বয় করে পুলিশ কাজ করবে।
শোক দিবসের দিন বুধবার ভিভিআইপি মুভমেন্টের সময় সোনারগাঁও ক্রসিং থেকে রাসেল স্কয়ার, ধানমন্ডি ২৭ থেকে রাসেল স্কয়ার, সিটি কলেজ থেকে রাসেল স্কয়ারে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে বলে ডিএমপি থেকে জানানো হয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন