শঙ্কায় রাজধানীর হোটেল মালিকরা। রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের দলটির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় বন্ধ করে দেয়া হয় এ এলাকার বেশকয়েকটি সড়ক। ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় অঘোষিতভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে আবাসিক হোটেল। এতে মহাবিপাকে পড়েছেন মালিকরা। তাদের আয় বন্ধ হয়ে গেছে। লুকোচুরি করে দু একটি হোটেল খোলা রাখার চেষ্টা করলেও সেখানে পুলিশের অভিযানের ভয়ে কেউ উঠেনা। বিপাকে পড়েছেন রাজধানীর বাইরে থেকে আসা লোকজন। রোগী ও বিদেশগামীরা পড়েছেন মহাসঙ্কটে। যারা দেশের বিভন্ন এলাকা থেকে এসেছেন জরুরি কাজে তারা এখন চরম ভোগান্তিতে।
রাজধানীতে গত ১ ডিসেম্বর থেকে পুলিশি অভিযান শুরু হয়। এরপর থেকে হোটেল মালিকদের লোকসান গুনতে হচ্ছে। কারণ কেউ সেগুলো ভাড়া নিচ্ছেন না। কিছু আবাসিক হোটেলে অতিথির সংখ্যা এতই কম যে মালিকরা সাময়িকভাবে হোটেল বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছেন। হোটেল ব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা এসব তথ্য জানিয়েছেন। তারা জানান, ইউনিফর্ম পরে ও সাদা পোশাকে পুলিশ প্রায়ই হোটেলগুলোতে যান এবং নির্দিষ্ট কিছু মানুষকে রুম ভাড়া না দেয়ার কথা বলেন। সেই কারণেই অতিথিরা হোটেলে আসছেন না বলে জানান তেজতুরি বাজার, গ্রীন রোড ও বনানী এলাকার বেশ কিছু হোটেলের কর্মকর্তারা। মেস মালিক ও বাসিন্দারাও জানান, পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে, এমনকি এখানে যারা থাকছেন, তাদের ফোনও চেক করছে। পুলিশি অভিযানের ভয়ে এসব জায়গায় বসবাসরত অনেক শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীরা চলে গেছেন।
একই সঙ্গে রাজধানীর বিভন্ন এলাকার রাস্তা বন্ধ করা হয় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণের জন্য। নিয়ন্ত্রণ করা হয় পথচারীদের চলাফেরাও। গতকাল বৃহস্পতিবারও সকাল থেকে এমন অবস্থা দেখা গেছে। জরুরি কোনো প্রয়োজন ছাড়া নয়াপল্টনের রাস্তায় পথচারীদের প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। কোনো ধরনের যানবাহন এসব সড়ক দিয়ে চলাচল করতে দেয়া হচ্ছে না। এই সড়কে নিয়মিত চরাচলকারী গণপরিবহনকে অন্য পথে চলতে হচ্ছে। তবে গত বুধবারের সংর্ঘষের পর থেকে রাজধানীর বিভিন্ন রুটে যানবাহন চলাচল সীমিত আকারে দেখা গেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে গণপরিবহন কম দেখা গেছে। অন্যান্য দিনের চেয়ে রাস্তায় গাড়ির সংখ্যা কম। নেই যাত্রীর চাপ। পরিবহন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ১০ ডিসেম্বরকে কেন্দ্র করে যে কোনও ধরনের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি এড়াতে পরিবহন মালিকরা রাস্তায় গাড়ি বের করেননি। এছাড়া বিএনপি কার্যালয়ের সামনের সড়কে পুরোপুরি বন্ধ। কোনো যানবাহন যাতে এ সড়কে প্রবেশ না করতে পারে বিজয়নগরের নাইটিংগেল মোড় ও ফকিরাপুল মোড়ে তাই ব্যারিকেড বসিয়েছে পুলিশ। এলাকাটিতে যাদের বাসা-বাড়ি ও কর্মস্থল রয়েছে, তাদের চলাচলও নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। পথচারীদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর ব্যাগ ও শরীর তল্লাশি করে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে। যাদের পরিচয় পুলিশ নিশ্চিত হতে পারছে না, তাদের ব্যারিকেড থেকেই ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে।
প্রজাপতি পরিবহনের চালক বলেন, অন্যদিনের চেয়ে রাস্তায় বাস কম। উত্তরা থেকে ছেড়ে এসেছি কিন্তু অন্যান্য দিনের চেয়ে যাত্রী কম। আমাদের গাড়িও আজ কম নেমেছে। অনেক মালিক গাড়ি রাস্তায় নামাতে চাচ্ছেন না।
মিরপুর থেকে গুলিস্তানগামী ট্রান্স সিলভা পরিবহনের হেল্পার বলেন, সবকিছু খোলার দিনেও রাস্তায় গণপরিবহনের সংখ্যা কম। রাস্তায় লোকজন কম। সপ্তাহের অন্য দিনগুলোতে যেমন যাত্রীর চাপ থাকে সেরকম নেই।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান বলেন, নয়াপল্টনসহ আশপাশের এলাকায় গত বুধবার বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের যে সংঘর্ষ হয়েছে সে ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে অনেকেই রাস্তায় গাড়ি নামাতে ভয় পাচ্ছেন। সে কারণেই সড়কে গণপরিবহনের সংখ্যা কম। মালিকরা এমনিতেই লোকসানে রয়েছে। তারপর যদি কোনও বাস ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে তাহলে মালিকদের আরও ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে।
এ বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মতিঝিল বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) এনামুল হক মিঠু বলেন, নিরাপত্তার কারণে ভিআইপি রোডে কোনো যানবাহন প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। তবে যারা সরকারি দফতর, ব্যাংক, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কাজ করে এবং গুরুত্বপূর্ণ কাজে বের হয়েছেন তাদের আমরা চেক করে পায়ে হেঁটে ঢুকতে দিচ্ছি।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও ট্রাফিক বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার সাহেদ আল মাসুদ বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই বিভিন্ন সড়কে গণপরিবহনের চাপ অনেকটা কম। যানজটও তেমন নেই। ট্রাফিক পুলিশের যে সদস্যরা রাস্তায় রয়েছে তারা সব ধরনের বিষয় মাথায় রেখেই দায়িত্ব পালন করছেন।
সেরা পরিচালকের একী হাল!
ইনকিলাব ডেস্ক
রামগোপাল বর্মা নামটার সঙ্গেই জড়িয়ে আছে বিতর্ক। স¤প্রতি এ পরিচালক ইনস্টাগ্রামে একটি ছবি শেয়ার করেন, যাতে তার সঙ্গে দেখা মিলল দক্ষিণের নায়িকা আশু রেড্ডির। আর এটা শেয়ার করে তিনি লিখলেন, ‘আরো কিছুর জন্য অপেক্ষা করো’। আশু নিজেও ইনস্টাগ্রামে একটা ভিডিয়ো শেয়ার করেছেন, যা নজর কেড়েছে একাধিকের। ভিডিয়োর ক্যাপশনে এ অভিনেত্রী লিখেছেন, ‘একটি মানুষের উপাসনা অগণিত, অন্তহীন এবং প্রায়ই বিপজ্জনক! ৮ লাখের বেশি ভিউজ পেয়েছে ভিডিওটি এবং আরো বাড়ছে।’ তবে নেটিজেনদের কাছে এ ভিডিয়ো অনুপযুক্ত লেগেছে।
ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, সোফায় বসে আছেন আশু। আর পায়ের কাছে বসে আছেন রামগোপাল। পেছনের টেবিলে সাজানো রয়েছে মদের বোতল। আশুর পায়ে চুমু খাচ্ছেন রামগোপাল।
এরপর রামগোপাল নিজেও ৩০ মিনিটের একটা বিস্তৃত ভিডিয়ো শেয়ার করেন বুধবার রাতের দিকে। যার ক্যাপশনে বলিউডের একসময়ের খ্যাতনামা পরিচালক লিখলেন, ‘পুরো ভিডিয়ো পোস্ট করলাম। নিজের রিস্কে দেখবেন।’ তাতে দেখা যায়, হুক্কায় টান দিচ্ছেন দক্ষিণের সেই নায়িকা। পায়ের সামনে বসে প্রথমে জুতো খুলে দিলেন। তারপর শুধু পায়ে চুমুই খেলেন না, ওই নায়িকার থেকে অনুমতি নিয়ে আঙুলও চাটলেন। রাম গোপালের দাবি, এ ভিডিয়োর মাধ্যমে তিনি সকলকে মনে করিয়ে দিতে চেয়েছেন কীভাবে মহিলাদের সঙ্গে ব্যবহার করা উচিত।
আপাতত সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল রামগোপাল আর আশু রেড্ডির এই ভিডিওগুলো। যা নেটপাড়ার বেশিরভাগেরই ‘অরুচিকর’ এবং ‘ঘৃণ্য’ লেগেছে। একজন কমেন্টে লিখেছেন, ‘একসময় বলিউডের অন্যতম বড় পরিচালক ছিল রামগোপাল। অভিনেতারা ওর সঙ্গে কাজ করতে অধীর থাকত। আজ নিজেকে কোথায় নামিয়ে নিয়েছেন দেখেও খারাপ লাগছে।’ আরেকজন লিখলেন, ‘দেখেই তো বোঝা যাচ্ছে গলা অবধি মদ খাওয়া। জড়িয়ে যাচ্ছে কথা। ছিঃ।’ সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন