গত দু’বছরের বন্যা আর সড়কের পাশে পর্যাপ্ত মাটি ভরাট না থাকায় বিলীন হয়ে যাচ্ছে বালাগঞ্জ উপজেলার আজিজপুর বাংলাবাজার সড়কের প্রায় এক কিলোমিটার এলাকা। বিভিন্ন স্থানে দেখা দিয়েছে খানাখন্দের। উদ্বোধনের মাত্র দেড় বছরের মধ্যে স্থানীয় পশ্চিম গৌরীপুর ইউনিয়নের প্রধান এ সড়কটির এমন বেহাল দশায় এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। হাজার হাজার মানুষের চলাচলের সড়কপথ যে কোনো সময় বন্ধ হয়ে যেতে পারে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ এলাকাবাসী জরুরি ভিত্তিতে সড়ক রক্ষণাবেক্ষণে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
জানা যায়, বালাগঞ্জ উপজেলার আজিজপুর-বাংলাবাজার সড়কটি ওসমানীনগর উপজেলার উছমানপুর ইউনিয়ন থেকে বালাগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম গৌরীপুর ইউনিয়ন পর্যন্ত বাস্তবায়িত প্রকল্পের আওতায় রয়েছে। পর্যায়ক্রমে নির্মাণধীন এ প্রকল্পের আজিজপুর বাংলাবাজার সড়কের নির্মিত পাকা অংশের কাজের ভিত্তি স্থাপন করেন সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী কয়েস। ২০১৬ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি ভিত্তি স্থাপনের পর ২০১৭ সালের শুরু দিকে কাজ শেষ হয়। কাজ শেষের পর গত বছরের বৃষ্টি আর বন্যায় সড়কটি মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এরপর চলিত বছরের বন্যার কারণেও সড়কটি আরো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিশেষ করে সড়কের পাশে পর্যাপ্ত মাটি ভরাট না থাকায় সড়ক দ্রুত বিলীন হয়ে যাচ্ছে। ভাঙনের ফলে সড়কের কোথাও কোথাও প্রশস্থতা কমে গেছে। নেমে গেছে উচ্চতাও। আগামী শুকনো মৌসুমে সড়কে যানবাহন চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সড়ক রক্ষায় জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং এলাকাবাসী জোর দাবি জানিয়েছেন।
পশ্চিম গৌরীপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুস সালাম কালাম, স্থানীয় লোহামোরা গ্রামের জমসেদ আলী জানান, অবিলম্বে সড়ক সুরক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের ব্যবস্থা করা হোক। অন্যথায় যোগযোগ একেবারেই বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। পশ্চিম গৌরীপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. ফজির আহমদ বলেন, ২০১৭ সালের প্রথম দিকে সড়কের উন্নয়ন কাজ শেষ হওয়ার মাত্র কয়েক মাসের মধ্যেই অতিবৃষ্টি আর ভয়াবহ বন্যায় সড়কটি তলিয়ে যায়। সড়কের পাশে প্রয়োজনীয় মাটি ভরাট না থাকায় সড়কটি দ্রুত বিলীন হয়ে পড়ছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি।
এ ব্যাপারে বিদায়ী বালাগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, চলতি বছর সড়কটির ভাঙন অংশে মাটি ভরাট এবং পুনঃসংস্কারের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। বালাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আবদুল হক জানান, তিনি সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন