শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৯ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিতরণ করা হবে কোরবানির গোশত

কক্সবাজার থেকে বিশেষ সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ১৯ আগস্ট, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে আশ্রয় নেয়া ১ লাখ ৯৫ হাজার রোহিঙ্গা পরিবারে ঈদুল আজহার খুশী উপভোগ করতে কোরবানীর গোশত সরবরাহ করতে যাচ্ছে সরকার। মিয়ানমারের আরাকান রাজ্য থেকে পালিয়ে উখিয়া টেকনাফের ৩০টি ক্যাম্পে অবস্থানরত ১১ লাখ রোহিঙ্গাদের কোরবানির সহায়তা দিতে যাচ্ছে সরকার। কোরবানিতে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সুষ্ঠুভাবে গোশত বিতরণ ও শৃঙ্খলা বিধানের জন্য কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কামাল হোসেনের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের একটি মনিটরিং সেলও গঠন কারা হয়েছে বলে জানা গেছে।
গত বছর কোরবানির আগে ২৪ আগষ্ট থেকে মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যে সেনা অভিযানে নির্যাতিত হয়ে পালিয়ে আসা এসব রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশ আশ্রয় দেয়। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ঈদে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গোশত সরবরাহের এই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্থ স্থানীয় জনগণের কাছেও গোশত বিতরণ করা হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে বিশাল এই জনগোষ্ঠীর কাছে গোশত সরবরাহের জন্য ১০-১৫ হাজার পশুর প্রয়োজন হতে পারে। এই কাজে সরকারী তহবিল ছাড়াও বিভিন্ন দাতা সংস্থা ও এনজিওদের নিকট থেকে সহায়তা নেয়া হচ্ছে।
৩০টি ক্যাম্পে জাতিসঙ্ঘের হিসেব মতে ১১ লাখ ১৮ হাজার ৫৫৭ জন নিবন্ধিত রোহিঙ্গা রয়েছে। গতকাল এই প্রতিবেদক কুতুপালং লম্বাশিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনকালে কথা হয় বেশ কিছু রোহিঙ্গা নারী পুরুষের সাথে। তারা বলেন, গত বছর কোরবানির আগেই মিয়ানমার সেনা-পুলিশ ও মগ দস্যুরা গোটা আরাকানকে মৃত্যুপুরিতে পরিণত করেছিল। ঈদ আর কোরবানি তো দূরে থাক, দেশ ছেড়ে পালিয়ে আসতে হয়েছে।
বাংলাদেশে তারা সরকারের আশ্রয়ে যেন নতুন করে প্রাণ পেয়েছে। কোরবানীর ঈদে কোরবানীর গোশত বিতরণের কথা জেনে তারা খুশী হয়েছে। এ সময় কথা হয় বুছিদং এর আলী আহমদ, মংডুর ফজল করিম, মরিয়ম খাতুন, খুইল্যা বিবি ও সাবেকুন নাহারের সাথে। তাদের সকলের একই কথা, তাদের গোছানো সংসার মিয়ানমার বাহিনী ধ্বংস করেছে। সেখানে তাদের প্রত্যেকের এক একটি গরু কোরবানি দেয়ার সামর্থ ছিল। এখন তারা নিঃস্ব। তবে বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতাকে তারা কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করছে। এদিকে ১০-১৫ হাজার পশু সংগ্রহ করতে হিমশিম খাচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা। স্থানীয় পশুর হাট, টেকনাফের করিডোর দিয়ে আসা মিয়ানমারের গরুতে এই চাহিদা মেটানোর চেষ্টা করা হবে। কক্সবাজারে পশু সঙ্কট যাতে না হয় সেজন্য অন্যান্য হাট থেকেও পশু সংগ্রহ করা হবে বলে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন