বগুড়ায় তুফান কাণ্ডের মতই আরেকটি তরুণী নির্যাতনের ঘটনায় ছুরিকাহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে জিতু খাতুন ( ১৮) নামের তরুণী । তাকে ছুরিকাঘাতে আহত করেছে বগুড়া শহর যুবলীগের সভাপতি মাহফুজুল আলম জয়ের ছেলে বখাটে অভি ( ২২)। ঘটনাটি গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঘটলেও গতকাল শুক্রবার বিকেলে এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বগুড়া সদর থানায় কোন মামলা হয়নি, আর মামলা না হবার অজুহাতে পুলিশ গ্রেফতারও করেনি অভিকে । অভিকে না ধরার কারন, তারার বাবার মত চাচারাও বগুড়া শহরের প্রভাবশালী। ফলে ঘটনাটি সম্পর্কে মিডিয়াও নিরব ভুমিকা পালন করছে ।
চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি সম্পর্কে জানা যায় , বগুড়া শহরতলীর পালশা এলাকার নি¤œবিত্ত জাহিদুল ইসলামের মেয়ে জিতু খাতুন স্থানীয় একটি কলেজে পড়াশোনার পাশাপাশি বিউটিশিয়ানের কাজ করতো। জিতু নিজেও সুন্দরী হওয়ায় তার ওপর নজর পড়ে অভির। এরপর সে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছিল জিতুকে পাবার। এদিকে বিষয়টি জানতে পেরে জিতুর বাবা মেয়ের বিয়ে ঠিক করে। সোর্স মারফত এখবর জানতে পরে অভির সঙ্গী সাথীরা তাদের বসের নির্দেশে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে বাদুরতলা এলাকায় যে পার্লারে কাজ করতো জিতু সেখানে তারা হানা দেয়। সবার সামনেই তাকে জোর করে তুলে নিয়ে যায় কার্টনারপাড়ার একটি বাসায় । সেখানে দীর্ঘসময় তাকে আটকে অভির কথায় রাজী হতে বলা হয় , জিতু কোনোমতেই রাজী না হওয়ায় তার শরীরের পিছন দিকের গোপন ও স্পর্শকাতর অংশে নিজ হাতে ছুরি বসিয়ে দেয় অভি। এরপর কোথায় কার কাছে কি অভিযোগ করবি, বলে তাকে ওই বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়। বাড়ি থেকে বের হয়ে জিতু স্থানীয় কয়েকজনের সহায়তায় নামজগড়ের বেসরকারি স্বদেশ হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা নেবার পর জিতুকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ।
ঘটনার পর থেকেই ঘটনাটি ধামচাপা দিতে তৎপর রয়েছে অভির অভিভাবকরা। আহত জিতুর বাবাও অন্যান্যদের এই বলে শাসানো হচ্ছে ‘ থানায় অভিযোগ বা মিডিয়ায় জানিয়ে কোনো লাভ হবেনা , তার চেয়ে আপোষ করাই ভাল।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন