শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

টিসিএএল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার, গোপালগঞ্জ | প্রকাশের সময় : ৩১ আগস্ট, ২০১৮, ৮:৩১ পিএম

গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার গোহালা টিসিএএল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও অফিস সহকারীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
এ ব্যাপারে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সদস্য বাচ্চু বিশ্বাস গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসকের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগে বলা হয়েছে, ১৯৩৭ সালে প্রতিষ্ঠত হয় ঐতিহ্যবাহী গোহালা টিসিএএল উচ্চ বিদ্যালয়। গিয়াস উদ্দিন গাজী ২০১২ সালে এ স্কুলের প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পান। স্কুলের অফিস সহকারী শেখ নূর মোহাম্মদ প্রধান শিক্ষকের সহপাঠী। তাদের গ্রামের বাড়ি গোহালা ইউনিয়নের বামনডাঙ্গা গ্রামে। এলাকার প্রভাব খাঁটিয়ে অবৈধভাবে তারা ম্যানেজিং কমিটির অনুমোদন ছাড়াই এ পর্যন্ত উন্নয়ন মূলক কাজের অন্তত ৫ লাখ টাকা অতœসাৎ করেছেন। এছাড়া স্কুল ম্যানেজিং কমিটিকে না জানিয়ে গোপানে স্কুল ক্যাম্পাসের বড় বড় ৬০ টি বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কেটে বিক্রি করে টাকা আতœসাৎ করেছেন। ২০১৮ শিক্ষা বর্ষের ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী ভর্তির কার্ড জালিয়াতি করে ১ লাখ টাকা প্রধান শিক্ষক ও অফিস সহকারী আতœসাৎ করেন। গত জুনে এ জালিয়াতি ম্যানেজিং কমিটির কাছে ধরা পড়ে। এ ব্যাপারে ২৮ জুন স্কুলের অফিস সহকারীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয়। স্কুলের প্রধান শিক্ষক ১ লাখ টাকা অফিস সহকারীর বাড়ি গিয়ে তার কাছে দিয়ে আসেন। টাকা আতœসাতের দায় থেকে রক্ষা পেতে অফিস সহকারী ১৯ জুলাই স্কুলের ব্যাংক হিসাবে টাকা জমা দিয়ে দেন। এভাবে প্রধান শিক্ষক ও অফিস সহকারী একের পর এক দুর্নীতি করে যাচ্ছেন।
স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সদস্য বাচ্চু বিশ্বাস বলেন, প্রধান শিক্ষক ও অফিস সহকারীর দুর্নীতির অসংখ্য প্রমান আমাদের কাছে আছে। স্কুলটিকে রক্ষা করতে হলে অনতি বিলম্বে প্রধান শিক্ষক ও অফিস সহকারীকে স্কুল থেকে বিতারিত করতে হবে।
অভিযুক্ত স্কুলের অফিস সহকারী শেখ নূর মোহাম্মদ বলেন, ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী ভর্তির ১ লাখ টাকা স্কুলের আলমারিতেই গচ্ছিত ছিলো। ভুল করে ব্যাংকে দেয়া হয়নি। স্কুল কর্তৃপক্ষ কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়ার পর জুন মাসে প্রধান শিক্ষক ওই টাকা আমার বাড়িতে দিয়ে আসেন। পরে আমি স্কুলের ব্যাংক হিসেবে টাকা জমা দিয়ে দেই।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক গিয়াস উদ্দিন গাজী দুর্নীতি ও অনিয়েমের কথা অস্বীকার করে বলেন, স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সদস্য বাচ্চু বিশ্বাসের অভিযোগ সত্য নয়। স্কুলে উন্নয়মূলক কাজ শুরু হয়েছে। সে কারণে কিছু গাছ কাটা পড়েছে। স্কুলের উন্নয়ন মূলক কাজের কোন টাকা আতœসাৎ করা হয়নি। আমি ২০১২ সালে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব নেয়ার পর স্বচ্ছভাবে স্কুলে কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছি।
গোপালগঞ্জে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোখলেসুর রহমান সরকার বলেছেন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। অভিযোগের সত্যতা পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন