শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নিবন্ধ

নমরুদের তথাকথিত খোদায়িত্ব ধ্বংস করে দেয় এক ল্যাংড়া মশা

প্রকাশের সময় : ২২ এপ্রিল, ২০১৬, ১২:০০ এএম

কে এস সিদ্দিকী
যুগে যুগে আম্বিয়ায়ে কেরাম তওহিদের বাণী প্রচার করতে গিয়ে কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছেন, নির্যাতিত হয়েছেন এবং খোদাদ্রোহী নাফরমানদের হাতে নিহত-শহীদ হয়েছেন, অন্যায়ভাবে অনেককে হত্যা করার কথা খোদ কোরআনে বর্ণিত হয়েছে। খোদাদ্রোহী, অত্যাচারী নমরুদ-ফেরাউনের খোদাদ্রোহিতার কাহিনীগুলোর মধ্যে হযরত ইবরাহিম (আ.)-এর সাথে নমরুদের নকল খোদা সাজার কথা খুবই প্রচলিত। হযরত ইবরাহিম (আ.)-কে অগ্নিকু-ে নিক্ষেপ করে তাকে হত্যার ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে আল্লাহ অগ্নিকু-কে শান্তির বাগানে পরিণত করেন। এ কাহিনী কোরআনে বর্ণিত হয়েছে। নমরুদ ছিল সে যুগে মহাপ্রতাপশালী জালেম-অত্যাচারী বাদশাহ। তার মিথ্যা খোদায়িত্ব প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে আসল খোদার সাথে আকাশে ওঠার চেষ্টা করে পাগলামি-উন্মাদনার এক অভিনব রেকর্ড সৃষ্টি করেছিল। ইবলিশ শয়তানের প্ররোচনা ও কুমন্ত্রণায় নমরুদ আকাশকে রণক্ষেত্র করার আহাম্মকী করেছিল এবং তাবুত নামক যে আকাশযান শয়তানের পরামর্শে তৈরি করেছিল, তা অবশ্যই এক অভিনব শয়তানি উদ্যোগ। বলা যেতে পারে, নমরুদের সেই তাবুত আধুনিক যুগের রকেট ছিল। নমরুদ কৃত্রিম নকল খোদা হতে চেয়েছিল। তার তথাকথিত শক্তিমত্তার অহংকার-ঔদ্ধত্য একটি অতি ক্ষুদ্র প্রাণী ল্যাংড়া মশা কীভাবে চূরমার করে দেয়, সে কাহিনীর বিবরণ ইতিহাসের আলোকে নি¤েœ তুলে দেওয়া হলো। প্রভুত্ব প্রতিষ্ঠার এই স্বল্প¯্রষ্টার করুন পরিনতিতে হয়েছে অন্যান্য শিক্ষা নমরুদ খোদা সেজেও একটি ল্যাংড়া মশা হতে আত্মরক্ষা করতে পারেনি। শয়তানের প্ররোচনায় সে হযরত ইবরাহিমকে (আ.) অগ্নিকু-ে নিক্ষেপ করে। উদ্দেশ্য ছিল ইবরাহিম (আ.)-কে দুনিয়া হতে সরিয়ে দিতে পারলে তার খোদায়িত্বে কোনো প্রতিবন্ধকতা থাকবে না। আল্লাহতায়ালা আগুনকে নির্দেশ প্রদান করেন : ইয়ানারু কুলি বারদান অ-সালামান আলা ইবরাহিম (আ.)Ñ হে আগুন, ইবরাহীমের জন্য শীতল ও শান্তিদায়ক হয়ে যাও। নমরুদের ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হয়ে যায়। নমরুদের অগ্নিকু- ইবরাহিম (আ.)-এর জন্য শান্তির বাগান হয়ে যায়। তিনি নিরাপদে বের হয়ে আসেন। নমরুদের দুঃখের সীমা থাকে না।
নমরুদ বুঝতে পারে ইবরাহিমের (আ.) খোদা মহাশক্তিশালী, তার সাথে যুদ্ধ করতে হবে। নমরুদ তার দরবারের শীর্ষস্থানীয়দের সাথে পরামর্শক্রমে একটি সুউচ্চ মিনার নির্মাণ করে, খোদার সাথে যুদ্ধ করবে বলে। তিন বছর মুদ্দতে দুই কোস অর্থাৎ তিন হাজার গজ উঁচু মিনার প্রস্তুত হয়ে যায়। নমরুদ যখন এ মিনারের শীর্ষদেশে পৌঁছে যায় তখনো আসমান এত উঁচুতে দেখা যাচ্ছিল। সে নিরাশ হয়ে নেমে আসে। তার এ ব্যবস্থা কাজে আসল না। খোদার অসীম কুদরত কারো বোঝার সাধ্য নেই। মিনারটিও উপড়ে পড়ে এবং হাজার হাজার ঘরবাড়ি ও অসংখ্য লোকজন ধ্বংস হয়ে যায়। এতে নমরুদ আরো ক্ষিপ্ত হয়ে পড়ে এবং সে বলে, ইবরাহিমের (আ.) খোদার সাথে যুদ্ধ অপরিহার্য হয়ে পড়েছে।
শয়তান-নমরুদকে আকাশে পৌঁছার একটি পথ দেয় বলে, চারটি শকুন পালন কর এবং কাঠের একটি বক্স তৈরি করো, যাতে দুজন লোকের বসার সঙ্কুলান হয়। বক্সটি এমন আকারের হবে, যার চতুর্দিকে লাটির আকারে বাইরের দিকে থাকবে। অতঃপর একদিন একরাত শকুনগুলোকে সম্পূর্ণভাবে ভুখা-অভুক্ত রাখতে হবে এবং চারটি ডান্ডালাঠি ওদের দেহে বেঁধে দেবে এবং ওই বাক্সে আরোহন করে চারটি শকুনের মাথার ওপর গোশতের টুকরো ঝুলিয়ে দেবে। শকুনগুলো ভুখা থাকার কারণে গোশতের টুকরোগুলো খাওয়ার জন্য উপরের দিকে উড়তে থাকবে।
শয়তানের পরামর্শ অনুযায়ী নমরুদ কাজ করে এবং তার প্রধানমন্ত্রীকে তার সঙ্গে সোয়ারী বসিয়ে আকশে উড়াল দেয়। এ আকাশ যানটি ভূখ- থেকে এত উঁচুতে পৌঁছে যে, ভূমি দৃষ্টি হতে আড়াল হয়ে যায়। তখন নমরুদ তীর বের করে আকাশের দিকে নিক্ষেপ করে। আল্লাহর কুদরতে তীরটি রক্তে রঞ্জিত হয়ে ফিরে আসে। আহম্মক নমরুদ মনে করে, ইবরাহিম (আ.)-এর খোদাকে হত্যা করতে সে কামিয়াব হয়েছে। এবার নমরুদ গোশতের টুকরোগুলো শকুনদের পায়ের নিচে রেখে দেয়। শকুনগুলো ভূমিতে অবতরন করে।
নমরুদ ইবরাহিম (আ.) কে বলে, আমি তোমার খোদার কেসসা খতম করে দিয়েছি, এখন তো আমাকে খোদা স্বীকার করে নিতে তোমার দ্বিধা থাকতে পারে না। হযরত ইবরাহিম (আ.) বলেন, তুমি তো আস্ত পাগল, কোনো মানুষ কি খোদাকে মারতে পারে? নমরুদ বলে, যদি ব্যাপার এরূপ হয় তাহলে তুমি আমাকে বল খোদার সৈন্যসংখ্যা কত? হযরত ইবরাহিম (আ.) বলেন, খোদাতায়ালার সৈন্যসংখ্যা কত, তা তিনি ছাড়া আর কেউ বলতে পারবে না। নমরুদ বলল, তুমি স্বীয় খোদার কাছে বল, তিনি যেন আমার সাথে সর্বশেষ যুদ্ধ করার জন্য প্রস্তুত থাকেন। আমি ও আমার সৈন্যবাহিনী একত্রিত করছি এবং খোদাও যেন তার সৈন্যবাহিনীসহ মোকাবিলা করতে আসেন। খোদার সাথে যুদ্ধ করার জন্য নমরুদ তার সৈন্য বাহিনীকে একত্রিত করে। আল্লাহতায়ালা কুহেকাফের দিকে মশক কূলের একটি বাহিনী প্রেরণ করেন। মশক দল নমরুদ বাহিনীর সকল সৈন্যের মগজ খেয়ে ফেলে এবং সেখানেই তাদের সকলের মৃত্যু ঘটে। একটি ল্যাংড়া মশা নমরুদের মগজে প্রবেশ করে। সে খোদায়ী দাবিও ভুলে যায়। তার মস্তকে জুতা বর্ষিত হতে থাকে, তাতে সে কিছুটা স্বস্তিবোধ করতে থাকে। না হলে সে অস্থির হয়ে যায়। অবশেষে জুতার মার তার মস্তকে পড়তে পড়তে নমরুদ জাহান্নামে পৌঁছে যায়।
অপর এক বর্ণনায় ঘটনাটি নি¤œরূপ :
হযরত আলী (রা.) বর্ণনা করেন যে, অত্যাচারী নমরুদ যখন ইবরাহিম (আ.)-এর রব সম্পর্কে বিতর্কে লিপ্ত হয় তখন বলে ইবরাহিম (আ.)-এর কথা সত্য হলে আমি অবশ্যই আসমানে উঠে যাব এবং খোদার সন্ধান করব। অতঃপর নমরুদ শকুনের চারটি ছানা তলব করে এবং সেগুলোর লালন-পালন করে এবং সেগুলো যুবক হয়ে যায়। অতঃপর একটি তাবুত বানায়, যার উপরে ও নিচে দুইদিক থেকে দরজা রাখা হয় এবং এ তাবুতে নমরুদ তার এক সঙ্গীসহ আরোহণ করে। তাবুতের চতুর্দিকে ডা-া লাগিয়ে দেওয়া হয় এবং তাতে গোশতের টুকরো ঝুলিয়ে দেওয়া হয় এবং তাবুতের সাথে শকুনকে রশি দিয়ে বেঁধে দেওয়া হয়, যাতে ওরা গোশতের নাগাল না পায় এতটুকু দূরত্ব রাখা হয় এবং ডা-াগুলো এমনভাবে বাঁধা হয়, যাতে প্রয়োজনে সেগুলো উপরে উঠানো যায় এবং নিচেও নামানো যায়। শকুনগুলো গোশত দেখে লোভ সামলাতে না পেরে সেদিকে উড়তে শুরু করে এবং উড়তে উড়তে উপরের দিকে বাড়তে থাকে। নমরুদ তার সাথীকে বলে, উপরের দরজা খোলো এবং দেখ আমরা আসমানের নিকটবর্তী হয়েছি কিনা। সে দরজা খুলে দেলে এবং বলে আসমানের দূরত্ব পূর্বের নমরুদ বলে, নিচের দরজা খুলে দেখ মৃত্তিকা কত দূরে। সে পর্যবেক্ষণ করে বলে, জমিন সমুদ্রের পানির মতো এবং পর্বতমালা ধোঁয়ার মতো দেখা যায়। অতঃপর শকুনগুলো দ্বিতীয় দিনও উড়তে থাকে এবং উঁচুতে উঠতে থাকে। এরপর এক তীব্র বাতাস তাদের মধ্যে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করে। তাই নমরুদ তার সাথীকে বলে, এবার দরজা দুটি খুলে আসমান ও জমিনের দূরত্ব যাচাই কর সে  দরজা খুলে আসমানকে পূর্বাবস্থায় দেখতে পায় এবং নিচের দরজা খুলে জমিনকে গাঢ় কালো দেখতে পায় এবং এক শব্দ শুনতে পায়Ñ আইয়্যু হাত-ত্বাগিয়া ইলা-আয়না তুরিদ? অর্থাৎ হে অবাধ্য অহংকারী? কোথায় যাবে? হযরত একরাম (রা.)-এর বর্ণনা অনুযায়ী তাবুতে একটি বালক তীর ও কামান নিয়ে বসা ছিল। সে আসমানের দিকে তীর নিক্ষেপ করে এবং তীর একটি মাছের রক্তে অথবা শূন্য জগতে উড়ন্ত পাখির রক্তে মিশ্রিত হয়ে তার কাছে ফিরে আসে। সে বলে, আসমানের খোদাকে আমি খতম করে দিয়েছি। অতঃপর নমরুদ তার সাথীকে বলে, গোশত ঝুলানো ডা-াগুলো নিচের দিকে ঝুঁকিয়ে দাও।
নমরুদের কথা অনুযায়ী তার সাথী ডা-াগুলো নিচের দিকে ঝুঁকিয়ে দেয়, তখন শকুনরা নিচের দিকে উড়তে থাকে। পর্বতসমূহ শকুন ও তাবুতের ওড়ার শব্দ শুনে ভীতসম্ভ্রন্ত হয়ে পড়ে। ওরা মনে করে, নিশ্চয়ই আসমান হতে কোনো বিপদ এসে গেছে এবং কেয়ামত নিকটবর্তী হয়েছে। তাই ওরা ভয়ে প্রকম্পিত হতে থাকে এবং ওদের স্থানচ্যুতির আশংকা দেখা দেয়। এ সম্পর্কেই কোরআনে বলা হয়েছে :
“ওরা ভীষণ চক্রান্ত করেছিল, কিন্তু ওদের চক্রান্ত আল্লাহ রহিত করেছেন, যদিও ওদের চক্রান্ত এমন ছিল, যাতে পর্বত টলে যেত” (সূরা : ১৪ ইবরাহিম, আয়াত : ৪৬)
উল্লিখিত বর্ণনাটি হায়াতুন হাওয়ান হতে গৃহীত হয়েছে। একই গ্রন্থের অন্যত্র নমরুদের নাকে মশা ঢোকার ঘটনাটি এভাবে বর্ণিত হয়েছে।
“ওহাব ইবনে মোনাবেবহ বলেন যে, আল্লাহতায়ালা মশককুলকে নমরুদের জন্য প্রেরণ করেন। নমরুদ এমন এক বিশাল বাহিনীর মধ্যে ছিল, যা কল্পনাতীত। যখন নমরুদ মশক দলকে দেখল, সেখান থেকে সে আলাদা হয়ে গেল। প্রাসাদে ঢুকে তার সব দরজা বন্ধ করে দিল এবং পর্দাগুলো টানিয়ে দিল। কিছুক্ষণ পরে গদিতে কাত হয়ে শুয়ে উপায় চিন্তা করতে থাকলো। এমন সময় একটি মশা তার নাকে ঢুকে যায় এবং তার মস্তিষ্কে চলে যায়। মশাটি ৪০ দিন পর্যন্ত বিরক্ত করতে থাকে, বের হয় না। অবস্থা এমন ভীষণ আকার ধারণ করে যে, নমরুদ তার মস্তক জমিনে মারতে থাকে। অবশেষে নমরুদের এমন করুণ অবস্থা হয় যে, তার কাছে সবচেয়ে প্রিয় ছিল সেই ব্যক্তি যে তার মস্তকে আঘাত করত। অতঃপর মশাটি পাখির ছা-এর ন্যায় জমিনে পতিত হয়, যেন সে বলছিল আল্লাহতায়ালা অনুরূপভাবে যার উপরে ইচ্ছা তার রাসূলদেরকে কর্তৃত্ব দান করেন। (সূরা ঃ ৫৯ হাশর, আয়াত : ৬)
ফেকাই দৃষ্টিকোণ থেকে মশা খাওয়া হারাম। মশা ময়লা, দুর্গন্ধ, অপবিত্র বস্তু, রক্ত ইত্যাদি চুষে খায়। কারো কানে বা নাকে মশা প্রবেশ করলে ‘ইয়া হালিমু, ইয়া হালিম, ইয়া আলিয়ু, ইয়া আজিম’ এ দোয়া পড়ার কথা বুজুর্গকে দ্বীন বলে থাকেন। মশা সম্পর্কে হযরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা.)-এর এক বিখ্যাত ঘটনা আছে। আবদুর রহমান ইবনে নাঈম বর্ণনা করেন যে, একদিন আমি আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা.)-এর নিকট উপস্থিত ছিলাম। এ সময় এক ব্যক্তি এসে তাঁকে মশার রক্ত সম্পর্কে প্রশ্ন করে। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি কোন বংশের লোক? লোকটি বলল, আমি ইরাকের অধিবাসী। ইবনে উমর (রা.) বললেন, হে লোকসকলÑ এ ব্যক্তিকে দেখ, আমার নিকট মশার রক্ত সম্পর্কে নির্দেশ চাইছে, অথচ ওই লোকেরা রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর দৌহিত্রকে হত্যা করেছে এবং আমি রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে শুনেছি তিনি বলেছেন : হাসান (রা.) ও হোসেন (রা.) উভয়ই দুনিয়ায় আমার ফুল। আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) বলেন, হাসান (রা.) ও হোসেনকে অপেক্ষা আর কেউ তাঁর অধিক সদৃশ ছিল না।  বোখারি, তিরমিজি)

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (5)
১২ জুলাই, ২০১৭, ১০:৫৬ পিএম says : 0
ধন্যবাদ নমরুদের ইতিহাস কিছুটা হলেও জানলাম
Total Reply(0)
এমডি জুবায়ের ২০ নভেম্বর, ২০১৭, ৬:৩৪ পিএম says : 0
অনেক ভালো লেগেছে
Total Reply(0)
shigab ২৮ এপ্রিল, ২০১৯, ৮:০০ পিএম says : 0
মাশা-আল্লাহ,,,অনেক ভালো লিখেছেন
Total Reply(0)
md.sagir uddin shek ২ আগস্ট, ২০১৯, ৮:১২ পিএম says : 0
thanks for your collection.may Allah bless you.
Total Reply(0)
মোঃ হোসেন গাজী ২৭ আগস্ট, ২০১৯, ২:২২ পিএম says : 0
ধন্যবাদ, ভবিষ্যতে আরো এইরকম লেখা চাই
Total Reply(0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন