রাজধানীতে অজ্ঞাত এক যুবকের (৩৫) রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার গলায় ও পেটে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। গতকাল সকালে বাড্ডার সাতারকুল ইউনাইটেড বিশ্ববিদ্যালয়ের পশ্চিম পাশের ফাঁকা জায়গা থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়। পুলিশের ধারণা, রাতের তাকে হত্যা করে লাশটি ওই স্থানে ফেলে গেছে দুর্বৃত্তরা। এ দিকে পৃথক ঘটনায় রাজধানীতে আরও চারজনের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে।
বাড্ডা থানার এসআই শহিদুল আলম জানান, স্থানীয়দেররা খবর দিলে ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই যুবকের গলা কাটা লাশ উদ্ধার করা হয়। তাকে কে বা কারা হত্যা করেছে সেটি জানা যায়নি। নিহতের পড়নে সাদা শার্ট ও ছাই রংয়ের প্যান্ট পরিহিত ছিল। তার পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। লাশ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।
পৃথক ঘটনায় চারজনের মৃত্যু: এ দিকে পৃথক ঘটনায় রাজধানীতে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন- আলী মিয়া (৭১), বাবলু মিয়া (৩০), উলেমা খাতুন (২০) ও হানিফ (৫০)। গত শুক্রবার রাতে ও গতকাল তাদের মৃত্যু হয়। উত্তরা থানার এসআই মুশফিকুর রহমান জানায়, উত্তরার এক বাসায় নিরাপত্তা রক্ষী ছিলেন আলী মিয়া। শুক্রবার রাতে আরেক রক্ষীর সঙ্গে তার ঝগড়া ও হাতাহাতি হয়। এ সময় সিঁড়িতে পড়ে গিয়ে আহত হয় আলী। পরে তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নিগে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিহতের বাড়ি চাঁদপুরের শাহারাস্তি উপজেলার বাটুনিখোলা গ্রামে।
খিলগাঁও থানার এসআই এমদাদুল হক জানান, জমি বিক্রির টাকা ভাগাভাগি নিয়ে ভাইদের সাথে মনোমালিন্য হলে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন বাবলু মিয়া। খিলগাঁও উত্তর গোড়ান আইসক্রিম গলির একটি বাসায় এ ঘটনা ঘটে। তার বাড়ি চাঁদপুর উত্তর মতলব উপজেলায়।
মুগদা থানার এসআই মো. শামীম আকতার জানান, গতকাল ভোর ৪ টার দিকে মুগদার ‘জাতীয় নার্সিং উচ্চ শিক্ষা গবেষণা প্রতিষ্ঠান’র ২য় তলা থেকে উলেমা খাতুনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি ওই প্রতিষ্ঠানের পরিচ্ছন্নকর্মী ছিলেন। হতাশা থেকে তিনি আত্মহত্যা করেন। উলেমার বাড়ি চাপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে। লালবাগ থানার এসআই মোতালেব হোসেন জানান, তিন বছর ধরে দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত ছিলেন হানিফ। এক সময় তার স্ত্রীও তাকে ছেড়ে চলে যায়। এই হতাশা থেকেই তিনি বিষপানে আত্মহত্যা করেছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন