উত্তর: আমাদের এ সমাজ ধনী, বিত্তবান ও গরিব, এতিম, মিসকিন, আশ্রয়হীন, অসহায় লোকদের নিয়ে বসবাস। এ অসহায় লোকদের সহায়দান, গরীব-দুঃখীদের দুঃখ-কষ্ট মোচনে সাহার্য সহযোগিতা করা, দান খয়রাত এবং সেবা-যত্ম করা ধনীদের হক ও অনেক সাওয়াবের কাজ। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ তা’আলা এর ফরমান হচ্ছে, “তোমরা যে পর্যন্ত না নিজেদের প্রিয় বস্তু দান খয়রাত করবে, সে পর্যন্ত কোনো সাওয়াব পাবে না।” তিনি আরো এরশাদ ফরমান, “যারা অঢেল ধন সম্পদ অর্থ সঞ্চয় করেছে, তারা যেন দুনিয়া থেকে বিদায় নেয়ার আগেই মহান আল্লাহ তা’আলার নামে দান খায়রাত করে যেতে থাকে।”
এমন অনেক লোক রয়েছেন যারা সাহায্য প্রাথীকে সাহায্য না দিয়ে উল্টো ধমক দিয়ে বসে। এমনটি করা মটেই ঠিক নয়। এ সম্পর্কে আল্লাহ বলেছেন, “তোমরা দান প্রার্থীকে ধমক দিও না।” আরো বলেন, “হে ইমানদারগণ, তোমরা দান গ্রহীতাকে কোনো খোটা বা কষ্ট দিয়ে তোমাদের দান খায়রাত সাহায্য ও সেবাকে বরবাদ করে দিও না।” আমাদের প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম ও সাহাবায়ে কেরাম রাদি-আল্লাহু তা’আলা আনহুগণ অত্যন্ত দানশীল ছিলেন। তাদের কাছে কেউ কিছু চাইলে যা থাকতো তাই দান করে দিতেন। নিজেরা না খেয়েও অন্যকে খাওয়াতেন।
সুতরাং দানশীলতার মাধ্যমেই সমাজে শান্তির সুবাতাস নেমে আসে।
উত্তর দিচ্ছেন: মুহাম্মদ বশির উল্লাহ
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন