বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ধর্ম দর্শন

আপনাদের জিজ্ঞাসার জবাব

উত্তর দিচ্ছেন: এম. এম. এইচ. খান | প্রকাশের সময় : ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ১২:০২ এএম

প্রশ্ন: একটি মহল বিশ্বব্যাপী একদিনে ঈদ পালন ও একসঙ্গে রোযা রাখার দাবি তুলেছে। এ দেশের কিছু কিছু গ্রামে এভাবে পালিতও হচ্ছে। এ বিষয়ে আপনার বক্তব্য কী?

উত্তর: দেখুন, সাহাবায়ে কেরামের যুগেও ইসলাম যখন বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছিল তখনও ভিন্ন ভিন্ন এলাকা ভেদে ঈদ ও রোযার দিন ভিন্ন হয়েছে। সিরিয়া ও মদীনায় একই দিনে ঈদ হয়নি। সুতরাং পুরো বিশ্বে একই দিনে রোযা ও ঈদ করার নামে দেশের কোনো কোনো গ্রামে অগ্রিম রোযা বা ঈদ করে ফেলা ঐক্যের নামে অনৈক্যেরই একটি নিদর্শন। তবে এসব বিষয় নিয়ে বাড়াবাড়ি করা বা পরস্পর তিক্ততার সৃষ্টি করা কিছুতেই কাম্য নয়।

মনে রাখতে হবে যে, মুসলমানদের মূল সৌন্দর্য এবং ঐক্যের ভিত্তি হচ্ছে শরীয়তের অনুসরণের মধ্যে। পুরো পৃথিবীতে একই দিনে রোযা ও ঈদ করা জরুরি কোনো বিষয় নয়।

যেমনিভাবে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ তাদের পাঁচ ওয়াক্ত নামায বিভিন্ন সময়ে পড়ে থাকে। যেমন আপনি যখন ফজর পড়ছেন জাপানে তা পড়া হয়ে গেছে আরো ৩ ঘণ্টা আগে। আর সৌদী আরবে তা পড়া হবে ৩ ঘণ্টারও বেশি সময় পরে। এতে তো কোনো অনৈক্য সৃষ্টি হয় না।
রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন, তোমরা চাঁদ দেখে রোযা রাখ এবং চাঁদ দেখে ইফতার কর।-সহীহ বুখারী, হাদীসহ: ১৯০৯; সহীহ মুসলিম, হাদীস : ১০৮৯; মুসনাদে আহমদ, হাদীস : ৯৫৫৬;কুরআন মজীদেও (সূরা বাকারা: ১৮৯) হজ্বের বিষয়কে চাঁদের ওপর নির্ভরশীল ঘোষণা করা হয়েছে। বিষয়টি হাজার বছর ধরে মুসলমানদের মাঝে মীমাংসিত। সুতরাং এ বিষয়ে নতুন করে বিভ্রান্তি সৃষ্টির সুযোগ নেই।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন