রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ব্যবসা বাণিজ্য

নজর এবার প্যাকেটে

নিরাপদ খাদ্য

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : | প্রকাশের সময় : ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ১২:০৪ এএম

নিরাপদ খাদ্যের নিশ্চয়তায় শুধু মানেই নয়, নজর দেওয়া হচ্ছে এবার পণ্যের প্যাকেটে। একটি পণ্যের প্যাকেট কোনোভাবেই যেন তার ভেতরে থাকা খাবারকে বিষাক্ত বা দূষিত করে তুলতে না পারে এ জন্য প্যাকেটটি কেমন হবে তা নিয়ে কাজ শুরু করেছে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ (বিএফএসএ)।
নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি এ জন্য একটি প্রবিধানমালা তৈরির কাজ করছে। প্রবিধানমালাটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘নিরাপদ খাদ্য (খাদ্য স্পর্শক) প্রবিধানমালা, ২০১৮। প্রবিধানমালায় কোন ধরনের প্যাকেট বা মোড়ক ব্যবহার করা যাবে বা যাবে না তার বিস্তারিত নিয়ম-নীতি থাকছে। নিরাপদ খাদ্য আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ৪৩ নং আইন) এর ৮৭ ধারার ক্ষমতাবলে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ আইনের ধারা ৩২ এর আলোকে খাদ্যদ্রব্য প্যাকেটজাত করার উপকরণ নিয়ে এটি প্রণয়ন করা হয়েছে, যা এরই মধ্যে মতামতের জন্য সংস্থাটির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। প্রবিধানমালায় খাদ্যের স্পর্শক বলতে সেই সব উপকরণকে বোঝানো হয়েছে, যা খাদ্যের সংস্পর্শে আসার সম্ভাবনা আছে, এরই মধ্যে খাদ্যের সংস্পর্শে এসেছে অথবা যা খাদ্যের সংস্পর্শে আসতে পারে।
দেশে বিভিন্ন প্যাকেটজাত খাবারের রয়েছে নানা ধরনের মোড়ক। প্লাস্টিক হলে সেগুলো যেন ফুড গ্রেডের হয়, ছাপার কালি যেন খাবারের সঙ্গে লেগে না যায় এ ধরনের বিভিন্ন বিষয় সামনে নিয়েই প্রবিধানটি তৈরি করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। বিভিন্ন ধরনের প্যাকেট তৈরিতে সাধারণত আঠা, সিরামিক, ছিপি, রাবার, কাচ, আয়ন-এক্সচেঞ্জ রজন, ধাতু ও সংকর ধাতু, প্লাস্টিক, ছাপানোর কালি, প্রক্রিয়াজাত সেলুলোজ, সিলিকন, কাপড়, বার্নিশ ও আচ্ছাদন, মোম, কাঠসহ আরো অনেক বস্তু ব্যবহার করা হয়। যেগুলো সরাসরি খাদ্যের সংস্পর্শে আসার সম্ভাবনা থাকে। এগুলো সংস্পর্শে খাদ্যবস্তু কতটা নিরাপদ থাকবে সে লক্ষ্যেই তৈরি হচ্ছে প্রবিধানমালাটি।
প্রবিধানমালায় প্যাকেট বা স্পর্শক ব্যবহারে কিছু আবশ্যকতার কথা বলা হয়েছে। খাদ্য স্পর্শকের অনুমোদিত তালিকার ক্ষেত্রে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, ইউএস এফডিএ এবং আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত অনুমোদিত তালিকার সর্বশেষ তালিকা প্রযোজ্য হবে। এই প্রবিধানমালায় নির্ধারিত আবশ্যক শর্তাবলি পূরণ সাপেক্ষে কোন উপকরণ অথবা বস্তু বাজারজাত করা যাবে। কোন বিশেষ উপকরণের বিষয়ে যেকোনো বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতা কর্তৃপক্ষ সংরক্ষণ করবে। আবার কর্তৃপক্ষই নিশ্চিত করবে যে দেশে উৎপাদিত ও আমদানীকৃত মোড়কজাত পণ্যসামগ্রী আন্তর্জাতিক বিধি বিধান ও শিল্পমানের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ হয়েছে। এ ছাড়া ব্যবসায়ীর সব উপকরণ ও বস্তু আন্তর্জাতিক মান এবং খাদ্যের সংস্পর্শকের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য মানের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ বলে সত্যায়ন করার সামর্থ্য থাকতে হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন