শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

পরিত্যক্ত ভবনের পাশে চলছে চিকিৎসা!

হাজীগঞ্জের শ্রীপুর উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে লুটপাট

হাজীগঞ্জ (চাঁদপুর) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

অঘোষিত পরিত্যক্ত ভবনের পাশে পরিত্যক্ত চিকিৎসা ব্যবস্থা দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জের বাকিলা ইউনিয়নের শ্রীপুর উপ-স্বাস্থকেন্দ্রটি। স্বাধীনতা পূর্ববর্তী স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি প্রতিষ্ঠা লাভ করলেও জনবলের অভাবে এখন মৃতপ্রায়। একজন ভালো চিকিৎসকের পোস্টিং থাকলেও দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক প্রায় আট বছর ধরে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। নতুন ভবনে চিকিৎসা কার্যক্রম চলে এলেও চিকিৎসক না থাকার কারণে বঞ্চিত রোগীরা। অপরদিকে কয়েক বছর আগে পুরাতন ভবনের সংস্কার হওয়ার বিষয়টি উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার জানা নেই বলে জানালেও সংস্কার কাজের কমিটির সদস্য অহিদুজ্জামান পাটোয়ারী জানান, পুরাতন ভবনের সংস্কার করা সকল মালামাল ইতোমধ্যে চুরি কিংবা নষ্ট করে ফেলেছে স্থানীয় একটি চক্র।
জানা যায়, এখানে সরকারিভাবে চারটি পদের বিপরীতে একজন এমবিবিএস, একজন মেডিক্যাল অ্যাসিসটেন্ট, একজন ফার্মাসিস্ট আর একজন এমএলএসএস থাকার কথা। কিন্তু নিয়োগকৃত এমবিবিএস চিকিৎসক অনুপস্থিত রয়েছেন টানা আট বছর ধরে, মেডিক্যাল অ্যাসিসটেন্ট আসেন না অনেক দিন। নামমাত্র দায়িত্ব পালন করছেন ফার্মসিস্ট আর এমএলএসএস। মূলত এখন একমাত্র ডাক্তার রোগীর সেবা দিয়ে আসছেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে।
শ্রীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি অহিদুজ্জামান পাটোয়ারী জানান, পুরাতন ভবনে বেশ কয়েক বছর আগে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় প্রায় চার লাখ টাকা ব্যয়ে একটি গভীর নলকূপ, পানি পাম্প ও ট্যাঙ্কি, দুটি টয়লেট, পুরো ভবনের ভেতর বৈদ্যুতিক লাইন বসানোসহ দরজা-জানালা লাগানো হয়। কিন্তু সম্প্রতি সময় ভবনের দরজা-জানালা ভেঙে ফেলা হয়েছে। পানির পাম্প ও ট্যাঙ্কি নিয়ে গেছে একটি চক্র। একই চক্র ভবনের ভেতরের বৈদ্যুতিক লাইন ছিড়ে, সুইচগুলো ভেঙে রেখেছে, বাথরুমের বেসিন দরজা আর কমেট ভেঙে রেখেছে, নলক‚পের উপরিভাগ নিয়ে গেছে সর্বসাক‚ল্যে ভবনটিকে পরিত্যক্ত করে রেখেছে একটি চক্র।
স্থানীয়রা জানান, সরকারি ওষুধের পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে, কিন্তু চিকিৎসক না থাকায় সরকারের বদনাম হচ্ছে। যে দুজন এখানে বর্তমানে আছেন তারা দুই-এক ঘণ্টা কাজ করে চলে যান। তাই রোগীরা ঠিকমতো চিকিৎসাসেবা পাচ্ছেন না। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: আনোয়ারুল আজিম ইনকিলাবকে জানান, ২০১০ সাল থেকে শ্রীপুর উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে একজন এমবিবিএস চিকিৎসক নিয়োগ দেয়া আছে। সেই চিকিৎসকের অনুপস্থিতির ব্যাপারে আমরা মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছি। সেই চিঠির আলোকে মন্ত্রণালয় পোস্ট শূন্য দেখালে নতুন চিকিৎসক নেবার প্রক্রিয়া শুরু হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন