শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

জেলাজজ না থাকায় জামিন বন্ধ কক্সবাজার জেলা কারাগারে ধারণ ক্ষমতার ৭ গুণ বন্দি

কক্সবাজার থেকে বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ৬:৩৬ পিএম

কক্সবাজার জেলা কারাগারে গিজ গিজ করছে ধারণ ক্ষমতার ৭ গুণ বেশী বন্দি। ৫৩০ জন ধারণ ক্ষমতার কারাগারে রয়েছে এখন সাড়ে তিন হাজার বন্দি। এতে কারা কর্তৃপক্ষ যেমন দর্শনার্থী আত্মীয় স্বজনদের ভীষণ চাপে রয়েছেন, তেমনি ভোগান্তিরও শেষ নেই দর্শনার্থীদের।
এদিকে জেলাজজ মীর শফিকুল আলম বদলী হয়েগেলেও নতুন জেলাজজ যোগদান করেননি এখনো। গত ১৫ দিন ধরে কক্সবাজারে জেলাজজ না থাকায় এক দিকে সৃষ্টি হয়েছে জামিন জট। অন্যদিকে প্রতিদিন আসছে নতুন বন্দি। এতে করে বন্দির চাপে হাঁপিয়ে উঠছেন কারা কর্তৃপক্ষ। তবে গত এক মাসে শতাধিক বন্দি জামিনে কারাগার থেকে বেরহয়ে গেছেন বলেও জানাগেছে।
গতকাল দুপুরে কারাগারে আলাপকালে জেল সুপার বজলুর রশীদ আকন্দ বলেন, সাড়ে তেরশত ভূমির উপর স্থাপিত কক্সবাজার জেলা কারাগার দেশের অন্যতম একটি আদর্শ কারাগার। তবে ৫৩০ জন ধারণ ক্ষমতার কারাগারে এখন বন্দি আছে সাড়ে তিন হাজার। প্রতিদিন এসব বন্দিদের কাছে আসা দুই সহস্রাধিক দর্শনার্থীদের চাপে স্বভাবতই হাঁপিয়ে উঠতে হয়।
জানাগেছে, বন্দিদের মধ্যে আছে মহিলা ১৪১, মিয়ানমার ও ভারতের বিদেশী নাগরিক ৪০০। এদের মধ্যে আবার যাবজ্জীবন সাঁজা প্রাপ্ত আছেন ২৫ জন।
জেল সুপার জানান, সুন্দর মনোরম ছায়া ঘেরা কক্সবাজার জেলখানার ভেতরে গাছ গাছালী ও ফুল বাগান শুসোভিত। ২ তলার ৪ টি ও ১ তলার ২ টি ভবনে রয়েছে ২০টি ওয়ার্ড। এতে মহিলা ও শিশুদের জন্য রয়েছে পৃথক থাকার ব্যবস্থা।
জেলার শাহাদত হোসেন জানান, কক্সবাজার কারাগার হচ্ছে দেশের প্রথম কারাগার। যেখানে
শিশুদের বিনোদনের জন্য কারাগারের ভেতরে
শিশু পার্ক স্থাপন কার হয়েছে। আর এদিক থেকে ২য় হচ্ছে কাশিমপুর কারাগার।
তবে বন্দিদের বালিশ ও মোবাই ব্যবহারের সুযোগ সুবিদার বিষয়টি সরকারের নির্দেশের উপর নির্ভর করবে বলে জানান জেল সুপার।
তিনি আরো জানান, বন্দিদের বিনোদন, বিভিন্ন হাতের কাজ দিয়ে কর্ম সংস্থানেরও ব্যবস্থা রয়েছে কক্সবাজার জেলা কারাগারে।
দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মাদকের ব্যাপারে জিরো টলারেন্সের কথা জানালেন জেল সুপার বজলুর রশীদ আকন্দ। দেখাগেছে, কারা কম্পাউন্ডে ব্যানার, ফেস্টুন টাঙিয়ে এ ব্যাপারে সতর্ক করা হয়েছে
দর্শনার্থীদের।
সেখানে ভিড়করা কয়েকজন দর্শনার্থী জানান, অহেতুক মামলায় জড়িয়ে তাদের বাপ চাচাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। কয়েকমাস ধরে জামিন হচ্ছেনা।
কয়েকজন মহিলা জানান, মাদকের মামলায় একজনের স্বামী ও অন্য জনের ছেলে জেল খাটছে। জামিন হচ্ছেনা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন